প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা জেনে নিবো। তোমরা যদি প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা  টি।

প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা
প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা

প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা

উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরবের সর্বক্ষেত্রে অনিয়ম, অজ্ঞতা ও বর্বরতা বিরাজমান ছিল। আইন কানুন, নৈতিকতা, আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কোন দিকেই শৃঙ্খলাপূর্ণ ছিল না এবং সুস্থ, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবন সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ছিল না। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা এ সময় চরম অধঃপাতে চলে গিয়েছিল। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য একজন মহামানবের আবির্ভাবের প্রয়ােজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। সৈয়দ আমীর আলী বলেন, “বিশ্বের ইতিহাসে একজন ত্রাণকর্তার আবির্ভাবের জন্য এর আগে কখনও এতাে বড় প্রয়ােজন দেখা দেয়নি কিংবা তার উপযােগী সময়ও আসেনি।”

ইসলাম পূর্ব আরবের রাজনৈতিক অবস্থা : প্রাক ইসলামি যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শােচনীয়। কেন্দ্রীয় কোন শাসন থাকায় সমগ্র আরবের জনগণ শত শত গােত্রে বিভক্ত ছিল। নিজে ইসলাম পূর্ব আরবের রাজনৈতিক অবস্থা তুলে ধরা হলাে :

১. গােত্ৰশাসন : প্রাক ইসলামি যুগে গােত্রীয় শাসনই ছিল আরবদের রাষ্ট্রীয় জীবন কাঠামাে। প্রত্যেকটি গােত্রে একজন। করে দলপতি থাকতেন। দলপতির উপাধি ছিল শেখ। শেখের নিকট গােত্রের সকলে আনুগত্য প্রকাশ করতাে।

২. কেন্দ্রীয় শাসনের অভাব : প্রাক-ইসলামি যুগে আরবদের সরকার বা শাসন পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা ছিল না। কারণ এসময় আরব কোন কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা ছিল না। সমাজের সর্বত্র জোর যার মুলুক তার এই নীতি প্রচলিত ছিল। রক্তের বদলে রক্ত চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত নীতিতে তারা বিশ্বাসী ছিল।

৩, শেখ বা গোত্র প্রধান : ইসলাম পূর্ব যুগে গােত্র শাসিত সমাজব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। প্রত্যেক গােত্র থেকে দলপতি নির্বাচিত হতাে। গােত্র প্রধানকে শেখ বলা হতাে। বয়স, বিচার বুদ্ধি সাহস, পদমর্যদা, আর্থিক অবস্থা শিক্ষাদীক্ষা ও অভিজ্ঞতা বিচার করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিচার শেখ নির্বাচিত করা হতাে। যুদ্ধ সন্ধি ব্যবসায়িক যােগাযােগ প্রধান ছিল। 

৪. ব্যক্তি স্বাধীনতা : আরবরা ব্যক্তি স্বাধীনতাকে কখনােই খর্ব করতে রাজি ছিল না। কাজেই শেখ তার দলের লােকদেরকে শাসনের পরিবর্তে প্রশ্রয়ই দিতেন বেশি। যাতে প্রত্যেকেরই ব্যক্তি স্বাধীনতা বজায় থাকে।

৫. রাজনৈতিক অনৈক্য : “United we stand divided we fale.” কিন্তু কেন্দ্রীয় শাসন আর রাজনৈতিক অনৈক্যের জন্যই তখন রাজনৈতিক সচেতনতাবােধ পরিলক্ষিত হয়নি।

৬, সংবিধানের অভাব : “Constitution is the best pOwe of Organization.” কিন্তু তাদের মাঝে এটি ছিল একেবারেই অনুপস্থিত।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ইসলামের আবির্ভাবের | পূর্বে আরবীয়দের রাজনৈতিক জীবন ছিল অনেকটা গােত্র নির্ভর শাসন। তারা নিজ গােত্রের সবার সাথে মিলেমিশে থাকলেও অন্যান্য গােত্রের সাথে সর্বদা যুদ্ধে লিপ্ত থাকতাে। ইসলামের আবির্ভাবের পর এ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হতে থাকে ধীরে ধীরে। সময়ের সাথে সাথে সব পরিবর্তন হয়ে যায়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা  টি। যদি তোমাদের আজকের এইপ্রাক ইসলামী যুগে আরবের রাজনৈতিক অবস্থা  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ