বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি  টি।

বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি

বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি অথবা, বেদুইনদের চরিত্র কেমন ছিল? 

উত্তর : ভূমিকা : জাহেলিয়ার যুগে আরবে শত শত হাজার হাজার গােত্র ছিল। প্রত্যেক গােত্রের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ছিল। কিন্তু মরুবাসী অধিবাসীদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এদের আচার ব্যবহার, চলাচল, জীবনযাত্রা প্রণালি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে গড়ে উঠেছে। আরবের অধিবাসীদের শতকরা ৮০ জনই মরুভূমির অধিবাসী। এদেরকে আহল উল বাদিয়া বা মরুবাসী বলা হয়। এ মরুবাসী আরবগণ বেদুইন নামেও পরিচিত। যাদের কোন স্থায়ী কোন বাসস্থান ছিল না তারাই বেদুইন ছিল। | ০ বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : নিম্নে বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলােচনা করা হলাে :

১. বেদুইনদের জীবনযাপন ও পেশা : বেদুইনদের চরিত্রের অন্যতম দিক হলাে তাদের জীবনযাপন ও পেশা। বেদুইনদের স্থায়ী কোনাে বাসস্থান ছিল না। তাই তারা খাদ্যে সংগ্রহের জন্য এ স্থান থেকে অন্যস্থানে গমন করতেন। জীবন ধারণের জন্য তারা পশুপালনের সাথে সাথে বিভিন্ন বাণিজ্য বাফেলা ও আশপাশের বসতিতে লুটতরাজ চালাত। ঐতিহাসিক পি, কে, হিট্টি বলেন। লুটতরাজ ছিল বেদুইনদের অন্যতম মনুষ্যোচিত পেশা।

২. শ্রোত্রপ্রথা : গ্রোত্রপ্রথা ছিল আরব বেদুইনদের চরিত্রের আরেকটি অন্যতম দিক। তারা কয়েকটি তাবু নিয়ে গঠন করেন একটি শিবির এবং একাধিক শিবির নিয়ে গঠিত হয় গােষ্ঠী। স্বজাতীয় কয়েকটি গােষ্ঠী একত্রিত হলে গড়ে একটি উপজাতি, কাবিলা বা গােত্রের প্রধানকে শেখ বলা হতাে। শেখ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কতকগুলি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরােপ করা হতাে। যেমন- বয়ােজ্যেষ্ঠতা, বিজ্ঞতা, সাহস বীরত্ব প্রভৃতি। বিচার সংক্রান্ত সামরিক ও জনকল্যাণকর কার্যাবলির ব্যাপারে শেখগণ গােত্র পরিষদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। 

৩, আসাবিয়া বা গােত্রপ্রীতি : বেদুইনরা গােত্রপ্রীতি ও যুদ্ধ প্রীতির জন্য বিখ্যাত ছিল। বেদুইন আরবদের জাতীয়তাবােধ ও স্বদেশনুরাগ বলতে আসাবিয়া বা গােত্র প্রীতিই বুঝাতাে। গােত্র প্রথা ছিল বেদুইন সমাজের মূলভিত্তি। বেদুইনরা নিজ গােত্র বহির্ভূত সবকিছুকেই বিজাতীয় স্থানের পাত্র ও শত্রু ভাবাপন্ন বলে মনে করে গােত্রীয় সংহতিকে রক্ষা করেন।

৪. অতিথিপরায়ণতা : বেদুইনদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অতিথিপরায়ণতা। তারা একদিকে যেমন নির্দয় অন্যদিকে ছিল অতিথিপরায়ণ। তারা রক্তের বদলে রক্তের নীতিতে বিশ্বাসী হলেও অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ ছিল। বেদুইনদের অতিথিপরায়ণ এতো বেশি ছিল যে তারা চরম শত্রুকে ও তাদের ঘরে আশ্রয় দিয়ে অত্যন্ত সামাদর করতেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আরব বেদুইনরা স্থায়ী কোন বসতি স্থাপন না করলেও তারা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস করতো। নিরবচ্ছিন্ন কঠোর সংগ্রাম করে নির্দয় ও কঠোর হলেও তাদের অতিথিপরায়ণতা ছিল প্রশংসনীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি  টি। যদি তোমাদের আজকের এই বেদুইনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ