ভাবসম্প্রসারণ বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ জেনে নিবো। তোমরা যদি বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ  টি।

বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ

বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ 
এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।

ভাব-সম্প্রসারণ: বিদ্যা মানুষের জীবনকে উন্নত করে। তাই বিদ্যা অর্জন অত্যাবশ্যক। তবে যে বিদ্যার সঙ্গে বাস্তব জীবনের কোনাে সংযােগ নেই, সে বিদ্যা অকার্যকর। 

মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিদ্যাচর্চা করতে হয়। প্রকৃত বিদ্বান ব্যক্তি জীবনকে মহীয়ান করে গড়ে তােলেন। তিনি নিজে যেমন আলােকিত হন, তেমনি আলােকিত করেন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে। অপরদিকে বিদ্যাহীন মানুষ সমাজের বােঝাস্বরূপ। সে অজ্ঞানতার মধ্যে ডুবে থাকে। একমাত্র বিদ্যাই পারে সেই অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে তাকে মুক্ত করতে। একজন প্রকৃত জ্ঞানী মানুষ জীবনের বাস্তবতাকে ভালােভাবে উপলব্ধি করতে পারে। বিদ্যা তাকে জ্ঞানী করে, বিদ্যাই তার চিন্তা-ভাবনা ও আচার-ব্যবহারকে পরিশীলিত করে। এমনকি সংস্কৃতিবান ও উদার দৃষ্টির মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতেও বিদ্যার কোনাে বিকল্প নেই। তবে কিছু বিদ্যা মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন। এসব বিদ্যা অর্জন করা অর্থহীন। মুখস্থ বিদ্যা আর গ্রন্থগত বিদ্যা মানুষের ব্যবহারিক জীবনে কোনাে কাজে আসে না। জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা মানুষকে সত্য ও সুন্দরের পথ দেখায় না, কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে দৃষ্টিভঙ্গিকে উদার করে না, এমনকি জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে দেয়। এমন বিদ্যা অবশ্যই কাক্সিক্ষত নয়। 

প্রকৃত শিক্ষা জীবনের সব দিককে আলােকিত করে। সেই আলােয় উদ্ভাসিত হয় ব্যক্তি ও সমাজ। অন্যদিকে যে বিদ্যা জীবনকে ইতিবাচক পথে চালিত করতে পারে না, সে বিদ্যা মূল্যহীন।

বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: মানবজীবন গঠনে বিদ্যাশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বিদ্যা মানুষকে দেয় জীবন ও জগৎ দেখার চোখ । তাই বিদ্যাহীনের জীবন অন্ধের সমান । অনুরূপভাবে জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যাও অর্থহীন ও পঙ্গু।

সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্যা মানবজীবনের অজ্ঞানতা, কুসংস্কার ও হৃদয়ের অন্ধকার দূর করে জীবনকে করে তোলে মহীয়ান ও সুষমামণ্ডিত। বিদ্যার উদ্দেশ্য মানুষের চিন্তা-চেতনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করা, দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করা। প্রকৃত বিদ্যা জীবনমুখী, জীবনবিবর্জিত নয়। বিদ্যা যদি জীবনবিমুখ হয় তাহলে তা জীবনকে আলোকিত করতে পারে না বরং জীবনকে তা অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা বলতে পারি, জীবনের সাথে যে বিদ্যার কোনো সম্পর্ক নেই সে জীবন আলোক- বঞ্চিত অথবা অন্ধ। অন্যকথায়, যে বিদ্যা জীবনের সাথে সম্পর্কহীন, তা জীবনকে সামনে চালিত করতে পারে না। যে বিদ্যা জীবনকে এগিয়ে নেয় না, সে বিদ্যা চলার গতি হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে। জীবনকে আলোকমালায় উদ্ভাসিত করতে বিদ্যার সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। বিদ্যার সাহচর্যেই মানবজীবন হয় সতেজ ও আনন্দময়। মানবজীবনকে সুন্দর, সতেজ ও সাবলীল করে গড়ে তুলতে হলে বিদ্যাকে অবশ্যই জীবনধর্মী হতে হবে। যে বিদ্যার সাথে জীবনের বাস্তব সম্পর্ক নেই, সে বিদ্যা কখনো ফলপ্রসূ হয় না। তাই শিক্ষাকে জীবনের বাস্তবানুসারী করে তুলতে হবে। যে শিক্ষার সাথে জীবনের যোগ নেই, সে শিক্ষা অর্থহীন। জীবনকে গতিময়, বাস্তবধর্মী ও কর্মমুখী করতে হলে যেমন বিদ্যার্জন অত্যাবশ্যক তেমনই অর্জিত বিদ্যাও হতে হবে জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

মন্তব্য: বিদ্যার সাহায্যে জীবনকে সার্থক করে তোলা যায় । বিদ্যা জীবনকে দেয় আলো। আবার জীবনের সঙ্গে যে বিদ্যার যোগ নেই সে বিদ্যা তেমন ফলপ্রসূ হয় না। তাই বিদ্যা এবং জীবনকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত করতে হবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ  টি। যদি তোমাদের আজকের এই বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ ভাবসম্প্রসারণ  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ