মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ জেনে নিবো। তোমরা যদি মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ টি।

মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ
মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ

মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, 
আড়ালে তার সূর্য হাসে, 
হারা শশীর হারা হাসি, 
অন্ধকারেই ফিরে আসে। 

ভাব-সম্প্রসারণঃ মানুষের জীবনে সুখ বা দুঃখ চিরস্থায়ী নয়। সুখের পরে দুঃখ আসে, আবার দুঃখের পরে সুখ আসে। এজন্য সুখে যেমন অতিরিক্ত আত্মহারা হতে নেই, তেমনি বিপদেও ধৈর্যহারা হওয়া ঠিক নয়।

আকাশ যখন মেঘে আচ্ছন্ন হয়, সূর্য বা চাঁদের আলাে তখন ঠিকমতাে পৃথিবীতে পৌছায় না। ফলে দিনের বেলায় সূর্য দেখা যায় না, রাতের বেলায় চাঁদ দেখা যায় না। কিন্তু এমন ঘটনা খুবই সাময়িক। দিনের অধিকাংশ সময়ে সূর্য দেখা যায়। একইভাবে মেঘও চাঁদকে বেশিক্ষণ আড়াল করে রাখতে পারে না। পূর্ণিমার রাতে চাঁদের হাসি তাই সবারই দেখার সুযােগ হয়। অর্থাৎ পৃথিবীতে মেঘের আড়াল যেমন সত্য, মেঘহীন আকাশও সত্য। একইভাবে মানুষের জীবনেও কখনাে কখনাে দুঃখ-দুর্দশার কালাে মেঘ হাজির হয়। মনে হয়, এই দুর্দশা যেন আর কাটবে না। দুর্বলচিত্তের মানুষ তখন দিশেহারা হয়ে পড়ে। কিন্তু তারা ভুলে যায়, মানুষের জীবনে কোনাে কিছুই নিরবচ্ছিন্ন নয়। জীবন-আকাশের এই কালাে মেঘও বাস্তব মেঘের মতাে সাময়িক। এজন্য বিপদে ভেঙে না পড়ে দৃঢ়তার সঙ্গে তা মােকাবেলা করতে হয়। মানুষের জীবনে কোনাে দুঃসময়ই চিরস্থায়ী বা অনিবার্য নয়। 

ধৈর্য ধরে দুঃসময়কে অতিক্রম করতে পারলেই সুখ-সূর্য বা সুখ-চাদের দেখা মেলে। জীবন তখন পুনরায় সুন্দর ও উপভােগ্য হয়ে ওঠে।

মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: দুঃখের অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়েই মানুষের মন হয়ে ওঠে শুচিশুভ্র। মানুষ লাভ করে মহিমান্বিত জীবন। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে মেঘের অন্তরালে সূর্য ঢাকা পড়লে তাতে বিব্রত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা ক্ষণিক বাধা ছাড়া আর কিছুই নয়। একসময় আলোকিত সূর্য স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবেই ।

সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের জীবন হলো সুখ এবং দুঃখ দিয়ে গাঁথা এক বিচিত্র মালার মতো। নিরবচ্ছিন্ন সুখ কিংবা দুঃখ কোনো মানুষের জীবনে স্থায়ী হয় না। তার জীবনে যখন আসে দুঃখের অমানিশা, দুঃখ-বেদনা তখন অসহ্য বোধ হয়। মনে হয় সেই দুঃখ রজনীর বুঝি শেষ নেই। কিন্তু একসময় তার দুঃখ-বেদনার সেই অমানিশার অবসান হয়। পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় সুখের সূর্য। কিন্তু সেই সুখও তার ভাগ্যে চিরস্থায়ী হতে পারে না। নদীর জোয়ার-ভাটার মতো তার জীবনে আবার আসবে দুঃখ, দুঃখের পর সুখ। কখনো কখনো আবার মানুষের জীবনের আকাশে জমাট বাঁধে দুঃখ এবং আপদ-বিপদের ঘন কালো মেঘ। অসহায় মানুষ সেই ঘোর বিপদের কালো মেঘ দেখে হয়ে পড়ে ভয়ে বিহ্বল । কিন্তু সেই ঝটিকা-সংকুল ভয়াল অন্ধকারের আড়ালে লুকিয়ে থাকে তার সুখের সূর্য। অচিরে সেই কৃষ্ণকুটিল কালো মেঘ কেটে গিয়ে দেখা যাবে সূর্যের মুখ। বিপদ-বাধা কেটে গিয়ে দেখা দেবে নতুন দিনের সূর্যোদয়। কাজেই দুঃখকষ্ট, বাধা-বিপত্তি সাময়িক। তা দেখে মানুষের ভয় পাওয়া বা বেদনায় ভেঙে পড়া উচিত নয় ।

মন্তব্য: মানুষের পার্থিব জীবন সংঘাতপূর্ণ তথাপি তার হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং ধৈর্য না হারিয়ে দৃঢ়ভাবে এগোতে পারলেই জীবন হয়ে উঠবে সাফল্যমণ্ডিত।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ  টি। যদি তোমাদের আজকের এই মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় ভাবসম্প্রসারণ  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Example.com - Your ACME Website Winner