দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ জেনে নিবো। তোমরা যদি দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ  টি।

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ
দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

ভাব-সম্প্রসারণ: দুর্জন মানে খারাপ লােক। খারাপ লােক যতই শিক্ষিত হােক না কেন, তার সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত।

সাধারণত মিথ্যাবাদী, দুর্নীতিপরায়ণ ও চরিত্রহীন লােককে এককথায় দুর্জন বলা হয়। যারা খারাপ লােক, তাদের কথায় ও আচরণে খারাপ স্বভাব প্রকাশ পায়। খারাপ লােক শিক্ষিত হতে পারে, উচ্চশিক্ষিত হতে পারে। আবার নিরক্ষরও হতে পারে। অর্থাৎ কারাে খারাপ হওয়ার সঙ্গে শিক্ষিত হওয়া বা না-হওয়ার কোনাে সম্পর্ক নেই। যারা খারাপ লােকের সঙ্গে মেশে, তাদের সবাই খারাপ লোক মনে করে। এজন্য খারাপ লােকের সঙ্গ ত্যাগ করতে হয় এবং তেমন লােকের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়। একসময়ে এই বিশ্বাস করা হতাে - কোনাে কোনাে বিষধর সাপের মাথায় মণি আছে। কিন্তু মণি আছে বলে সাপের সঙ্গে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তেমনি দুর্জন লােক শিক্ষিত হলেও তার সঙ্গ পরিত্যাগ করা উচিত। দুর্জন লােক অপরের শ্রদ্ধা ও ভালােবাসা কখনাে পায় না। তার কাছ থেকে সঙ্গীর কিছু শেখার নেই। এমনকি, দুর্জনের কারণে সঙ্গীর বিপদও হতে পারে। বিপরীতভাবে, ভালাে লােক নিরক্ষর হলেও তার সঙ্গ প্রীতিকর হয়। ভালাে লােকের কাছ থেকে তার সঙ্গীর বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। সচ্চরিত্র গঠন করা বিদ্যা অর্জন করার চেয়েও কঠিন কাজ। তাই যিনি চরিত্রবান, তার বিদ্যা থাক বা না-থাক, তার সঙ্গ প্রত্যাশিত। অন্যদিকে চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা ক্ষতিকর।

দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: চরিত্রহীন ব্যক্তি মাত্রই দুর্জন। এ শ্রেণির মানুষ মহাবিদ্বান হলেও তাদের সঙ্গ অবশ্যই পরিত্যাজ্য। তাদের বিদ্যা লোকসমাজে উপকারের চেয়ে অপকারই করে বেশি। এ বিদ্বান-দুর্জনের সাহচর্যে নিষ্কলুষ চরিত্রও হতে পারে কলুষিত ।

সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্যা মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ। বিদ্যার হিরণ্ময় দীপ্তিতে মানুষ হয়ে ওঠে মহীয়ান। বিদ্বান ব্যক্তি সর্বত্র মর্যাদাবান ও মহাসম্মানের পাত্র । কিন্তু বিদ্বান ব্যক্তি যদি চরিত্রবান না হন, তাহলে তাঁর পরিণতি মঙ্গলজনক হয় না। বস্তুত চরিত্র বিদ্যার চেয়ে বেশি মূল্যবান । বিদ্বান ও চরিত্রবান ব্যক্তি দেশ ও জাতির অনন্য সম্পদ। সচ্চরিত্র ব্যক্তি মূর্খ হলেও অসচ্চরিত্র বিদ্বানের চেয়ে অধিকতর মান্য ও গ্রহণযোগ্য। কাজেই চরিত্রহীন দুর্জন সুপণ্ডিত হলেও তার সাহচর্য পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। বিদ্যা অমূল্য সম্পদ হলেও তা অর্জনের জন্যে চরিত্রহীন ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া কোনোক্রমেই উচিত নয়। কারণ দুর্জনের সাহচর্যে নিষ্কলুষ চরিত্রও কলুষিত হতে পারে। দুর্জন ব্যক্তি বিদ্যা-বুদ্ধিতে মহাপণ্ডিত বলে খ্যাতিমান হলেও সবার উচিত তার সঙ্গ পরিহার করা । কারণ চরিত্রহীনের বিদ্যা-বুদ্ধি জ্ঞানবান বা চরিত্রবান ব্যক্তির কোনো কাজে লাগে না । বরং তাদের কলুষ স্পর্শে জীবনের অমূল্য সম্পদ চরিত্র চিরতরে কলুষিত হয়ে যেতে পারে। সুতরাং, জীবনের সর্বক্ষেত্রেই অসচ্চরিত্র ব্যক্তির সাহচর্য পরিত্যাগ করা বাঞ্ছনীয় ।

মন্তব্য: চরিত্র মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। চরিত্র নষ্ট হলে মানুষ আর মানুষ থাকে না, পশুতে পরিণত হয়। তাই চরিত্রহীন দুর্জন বিদ্বান ব্যক্তির সাহচর্য পরিহার করাই শ্রেয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ  টি। যদি তোমাদের আজকের এই দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ