গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৪ | গরুর খামারের জন্য লোন

আপনি কি গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৪ (Farm Loan) বা গরুর খামারের জন্য লোন নিতে চান? যদি গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৪ বা গরুর খামারের জন্য লোন নিতে চান তাহলে স্বাগতম জানাই আমদের আজকের এই গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ বা গরুর খামারের জন্য লোন আর্টিকেলে। 

গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২২ | গরুর খামারের জন্য লোন
গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ | গরুর খামারের জন্য লোন

আসসালামু আলাইকুম হ্যালো বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের বিষয় হলো গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ বা গরুর খামারের জন্য লোন। আশা করি আমাদের আজকের এই আরটিকেল টি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২২ বা গরুর খামারের জন্য লোন নিতে হয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ | গরুর খামারের জন্য লোন। সাথে গরুর খামারিদের জন্য ১০ টি টিপস জেনে নিন!

আত্নকর্মসংস্থান হিসেবে গরুর খামার | Gorur khamar Bangladesh

যারা শহরাঞ্চল বা গ্রামাঞ্চলে বেকার বসে আছেন অথবা আত্নকর্মসংস্থানের কথা ভাবছেন তাদের জন্য গরুর খামার করে আয়ের সংস্থান করা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে কেউই অর্থ্যাৎ বাড়ির মহিলা, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গের কেউ এ পেশায় যুক্ত হতে পারেন ৷ 

এরজন্য প্রয়োজন হবে গবাদি পশু পালনের জ্ঞান, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা এবং পশুর খামারের জন্য উপযুক্ত স্থান ও জনবল। আর এই সবকিছু সঠিকভাবে করতে অবশ্যই শ্রমের সাথে মূলধনও লাগবে৷ এই মূলধন কোথা থেকে পাওয়া যাবে? কে দেবে এই মূলধন? 

এই একটি চিন্তাতেই হয়ত থেমে আছে গবাদি পশু পালনের চিন্তা! আপনি যদি পশু পালনে দক্ষ হন, কেবলমাত্র মূলধনের অভাবেই আপনাকে থেমে থাকতে হবেনা৷ আপনি অবশ্যই গবাদি পশু পালনের জন্য Farm Loan নিতে পারবেন। 

দেখা যায়, শহরের চেয়ে গ্রামে পশুপালন বেশী করা হয়। কারণ গ্রামের পরিবেশ, গো-খাদ্যের সহজলভ্যতা, জনবল, খামারের জায়গা পাওয়া সহজ। শহরে জায়গার দাম বেশী বলে গবাদি পশু পালনের জন্য জায়গার সংস্থান করা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে থাকে। 

তবে যারা বৃহৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে গবাদি পশু পালন করতে চান তারা অবশ্যই প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে ধারণা রেখে তাদের মূলধনের ঘাটতি নির্ধারণ করতে পারবেন। 

গরুর খামার পরিকল্পনা | Gorur khamar Prokolpo

এখন কোন ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি যেমন সহজ নয়, তেমনি কঠিন কিছুও নয়। তবে ব্যাংক অবশ্যই অদক্ষ এবং অনভিজ্ঞ কাউকে ঋণ দিয়ে তাদের তহবিল নষ্ট করবে না। তাই আপনি যদি গবাদি পশু পালন করে সাবলম্বী হতে চান, তাহলে আগে আপনাকে গবাদি পশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ৷ 

এরপর ছোট পর্যায়ে নিজস্ব জায়গায় গবাদি পশু পালন শুরু করতে হবে। খামারে কোন জাতীয় পশু পালন করতে চান, কোন জাতের পশু কিনতে চান, তারজন্য খামারের জায়গা, আয়তন, গোয়াল বা খামারের নকশা ইত্যাদি বিষয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। যখন সবকিছুই পরিকল্পনা করে ফেলবেন শুধুমাত্র মূলধনের জন্য আপনার কাজে সমস্যা হবে তখন আপনার পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য এবং ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। 

যে ঠিক কত টাকা হলে আপনি সবকিছু শুরু করতে পারবেন। কারণ ব্যাংক আপনার কর্মক্ষমতা, অভিজ্ঞতা এবং প্রকল্পের লাভজনকতা বিবেচনা করে আপনাকে ঋণ প্রদান করবে। এরজন্য ঋণগ্রহীতার অবশ্যই যোগ্যতা থাকতে হবে এবং যোগ্যতার প্রমাণস্বরুপ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিতে হবে। 

গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ | গরুর খামারের জন্য লোন

বাংলাদেশের শিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবক শ্রেনীর মধ্যে গরুর খামারে আগ্রহী যুবকের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে চাকরির দুষ্প্রাপ্যতার কারণে অনেকেই লোন নিয়ে একটু গ্রামাঞ্চলে গিয়ে গরুর খামার করতে আগ্রহী। গ্রামাঞ্চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে শহরে গরু পালনে জায়গার সংকট এবং গরু পালনে পর্যাপ্ত গো-খাদ্যের অভাব। শহরে তাজা ঘাসের অভাব রয়েছে ৷ 

সুপ্রিয় পাঠক আজ আমরা গরুর খামার এর জন্য কোথা থেকে লোন নিতে পারবেন, কি পরিমাণ লোন নিতে পারবেন, গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২২ বা গরুর খামারের জন্য লোন নিতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে সব বিস্তারিত আলোচনা করব। 

লোন নিতে গেলে যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন হবে

১. যেকোন ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিতে গেলে অবশ্যই বয়স ১৮ হতে হবে এবং বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কেউ গরুর খামারের জন্য লোন নিতে পারবেন না। 

২. গরুর খামারের জন্য লোন নিতে আগ্রহী ব্যক্তির অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। আপনি যে বাংলাদেশের নাগরিক এটার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্র। তাই গরুর খামারের জন্য যারা ব্যাংক লোন নিতে চান তাদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। 

৩. গরুর খামার করতে আগ্রহী যারা তাদের অবশ্যই খামারের জন্য আলাদা জায়গা থাকতে হবে৷ ৫ টি গরু কেনার জন্য যদি লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে ১০-১২ টি গরু রাখার মত শেড আপনার থাকতে হবে। কারণ গরুর খামারে গরুর জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকতে হবে। না হলে অপরিসর এবং অপর্যাপ্ত জায়গায় গরুর খামার করা সম্ভব নয়। 

যেসব ব্যাংকসমূহ গরুর খামারের জন্য লোন দিয়ে থাকে

যখন আপনি নিজের গরুর খামারের জন্য লোন নিতে চান, তখন আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে৷ পূর্বেই বলা হয়েছে কোন ব্যাংক থেকে গরুর খামার করার জন্য লোন নিতে চাইলে আপনাকে বাংলাদেশের বাসিন্দা হতে হবে, জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে এবং গরুর খামারের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা বিশিষ্ট শেড থাকতে হবে, যাতে ১০-১২ টি গরু পালন করা যায়। 

এই যোগ্যতাগুলো থাকলে আপনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সোনালি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবং এশিয়া ব্যাংক থেকে গরুর খামারের জন্য লোন নিতে পারবেন। ব্যাংকগুলো থেকে যদি ৫ টি গরু কেনার জন্য ৫ বা ৬ লক্ষ টাকা লোন নিতে চান তাহলে ব্যাংক ঋণ গ্রহীতার নিকট থেকে গরুর খামারের শেডটি মর্টগেজ হিসেবে রাখবে। 

শেড জামানত হিসেবে রেখে গরুর খামারের জন্য, আরও গরু কেনার জন্য ৫-৬ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করবে। তবে গরুর খামারের জন্য করা শেডটি যে আপনার তার প্রমাণস্বরুপ অবশ্যই জমির দলিল থাকতে হবে৷ ব্যাংক অবশ্যই প্রমাণ ছাড়া আপনাকে গরুর খামারের জন্য লোন দেবেনা। প্রতি বছর জমির খাজনা দেওয়ার যে রশিদ বা ডকুমেন্ট তাও সাথে নিতে হবে। 

নতুন উদ্যোক্তারা কি লোন নিতে পারবে?

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে, নতুন উদোক্তারা কি গরুর খামারের জন্য লোন নিতে পারবে? নাকি লোন শুধুমাত্র পুরনো উদোক্তাদের জন্য। যারা আগে থেকেই গরুর খামার করেছেন। গরুর পরিমাণ বাড়াতে চাইছেন তাদের জন্য? উত্তর হচ্ছে- অবশ্যই নতুন উদ্যোক্তারা গরুর খামারের জন্য লোন নিতে পারবেন। নতুন উদ্যোক্তারা মর্টগেজ বা জামানত হিসেবে যে শেড রাখবেন তার জায়গার মূল্য এবং শেডের মূল্যের সর্বোচ্চ অর্ধেক অর্থ ঋণ হিসেবে নিতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ ব্যাংকই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে থাকে। ঋণের অর্থ সুদ সমেত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। 

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে গরুর খামারের জন্য ঋণ কিভাবে পাবেন

kb.gov.bd  সাইট থেকে আপনারা কর্মসংস্থান ব্যাংকের ঋণের উদ্দেশ্য, ঋণের ক্ষেত্র, ঋণ গ্রহীতার যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এটা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বিধায় কোন মিথ্যা তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আপনারা নিশ্চিন্তে এই সাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। 

কর্মসংস্থান ব্যাংক দেশের বেকার, অর্ধবেকার যুব সমাজকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতে ঋণ দিয়ে থাকে। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে মৎস্য খাত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, দুগ্ধ খামার, পোল্ট্রি ফার্ম, শিল্প কারখানা, নতুন উদ্যোগ প্রভৃতি খাতে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে৷ দেশের অর্ধশিক্ষিত জনগণকে 

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে গরুর খামারের জন্য  লোন নিতে হলে যেসব যোগ্যতা থাকতে হবে

১.বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

২. কর্মসংস্থান ব্যাংকের যে শাখা থেকে লোন নেবেন সে শাখার অধিক্ষেত্রের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।  স্থায়ী বাসিন্দা না হলে উক্ত শাখার অধিক্ষেত্রের একজন স্থায়ী বাসিন্দাকে লোনের গ্যারান্টার হতে হবে।

৩. গরুর খামারের জন্য লোনের আবেদনকারীকে বেকার অথবা অর্ধ বেকার হতে হবে।

৪. গরুর খামারের জন্য ঋণের আবেদনকারীর বয়স সাধারনত ১৮ থেকে ৪৫ বছর হতে হবে। তবে কর্মসংস্থান ব্যংক এর পুরাতন ঋণগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।

৫. ঋণগ্রহীতার গরুর খামার পরিচালনার যোগ্যতা থাকতে হবে।

৬. গরুর খামার পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৭.ঋন ব্যবহারের যোগ্যতাসহ ঋন পরিশোধের ক্ষমতা এবং আর্থিক আচরণে সুনামের অধিকারী হতে হবে।

৮.ঋনগ্রহীতা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণখেলাপি বলে ঋন গ্রহণের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

ঋণের সীমা

সর্বোচ্চ ২-৫ লক্ষ টাকা

সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা

ঋণের মেয়াদ ও পরিশোধসূচি

১. সাধারণত ২ বছর।  তবে প্রকল্পের প্রকৃতি ,আকার ঋণের পরিমান , সম্ভাব্য মুনাফা ইত্যাদি বিবেচনা করে ঋণের মেয়াদ ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর হতে পারে।

২. ঋণের কিস্তি মাসিক, ত্রৈমাসিক , ষান্মাসিক,অথবা এককালীন হতে পারে।  

৩. মেয়াদপূর্তির আগে ঋণ পরিশোধ করে যদি আবার ঋন  নিতে চায় সেক্ষেত্রে ফী প্রদান করতে হবে আর্লি সেটেলমেন্ট ফী ঋণ প্রস্তাবের সাথে প্রদেয় কাগজপত্র (সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য )

৪. প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ব্যাংক এর ঋণ প্রদানকারী শাখায় নির্ধারিত ফর্ম এ ঋণের আবেদন করতে হবে।

৫. আবেদনকারীর সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি

৬. গ্যারান্টার এর সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্র্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি।

৭.ঋণ গ্রহীতা ও গ্যারান্টার এর জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পাশের সত্যায়িত ফটোকপি।

৮. স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণস্বরূপ জমির দলিল এর ফটোকপি এবং নাগরিক সনদপত্র।

৯. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর ফটোকপি

১০. প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রকল্পের আয় -ব্যয়ের বিবরণী।

১১. ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ জামানত বিহীন। ক্ষেত্র বিশেষে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ জামানতবিহীন পাওয়া যাবে। 

১২. ঋণের জন্য আবেদন করতে ১০০,২০০, ৩০০ টাকা মূল্যের ফরমে আবেদন করতে হবে। 

১৩. ঋণের পরিমাণ অনুযায়ী দলিল-কাগজ ও যোগ্যতা প্রয়োজন হবে। 

এ বিষয়ে ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। 

ব্র‍্যাক ব্যাংকের থেকে যেভাবে গরুর খামারের জন্য ঋণ নেবেন -

২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থ্যায়ন স্কিমের আওতায় ব্র‍্যাক ব্যাংক গরুর দুধ উৎপাদনকারীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছে। ব্র‍্যাক ব্যাংকের এই ঋণ প্রকল্পের আওতায় প্রতি খামারি কে ২ লক্ষ টাকা করে ঋণ প্রদান করা হয়। এখনো পর্যন্ত ব্র‍্যাংক ব্যাংক থেকে গরুর খামারের জন্য সহজ শর্তে খামারীদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। ব্র‍্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন হবে-

১. বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

২. গরুর খামারের বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে এবং গরু পালনে অভিজ্ঞ হতে হবে।

৩. নিজস্ব জমি বা খামারের জায়গা থাকতে হবে।

৪. অগ্রণী ব্যাংকের যে শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হবে সে শাখার অধিক্ষেত্রের বাসিন্দা হতে হবে অথবা যিনি গ্যারান্টার হবেন তাকে অগ্রণী ব্যাংকের উক্ত শাখার বাসিন্দা হতে হবে। 

৫. ঋণ ব্যবহার করে লাভ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। ঋণ আচরণে সুনামের অধিকারী হতে হবে। 

৬. অন্য কোন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপী হওয়া যাবেনা।

৭. ঋণ গ্রহীতার বয়স ১৮ থেকে ৪৫ এর মধ্যে থাকতে হবে।

৮. ঋণের জন্য ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র এবং ডকুমেন্টসহ আবেদন করতে হবে। ঋণ আবেদনের সাথে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি, নাগরিক সনদপত্র প্রয়োজন হবে৷ এছাড়াও ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ঋণের ধরণ ও পরিমাণ অনুযায়ী কাগজপত্র কি কি প্রয়োজন হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। 

অন্যান্য যেসব ব্যাংক গরুর খামারের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে

ব্যাংক এশিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক ও গরুর খামার করতে  সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে থাকে। প্রতিটি ব্যাংকই উপরিউক্ত শর্ত এবং যোগ্যতা অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে থাকে।  ঋণ গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকলে এবং ব্যাংকের নিকট গ্রহনযোগ্য গ্যারান্টার থাকলে ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে। 

যারা গরুর খামার করতে আগ্রহী তারা এ সকল ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে সম্প্রতি দেওয়া সার্কুলার অনুযায়ী গরুর খামারের জন্য ঋণের আবেদন করতে পারেন। ১-৩ লক্ষ টাকা ঋণ বেশ সহজ শর্তেই ব্যাংকগুলো প্রদান৷ করে থাকে। কারণ সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক চায় তাদের তহবিল দেশের মানুষের আত্নকর্মসংস্থানে কাজে লাগুক। 

গরুর খামারিদের জন্য ১০ টি কার্যকর টিপসঃ-

১. পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া গরুর খামার করলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে৷ তাই নতুন খামারিদের পূর্বেই পরিকল্পনা করতে হবে তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে। কত দিনের মধ্যে তারা গরুর খামারটিকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান? লক্ষ্য স্থির করা থাকলে কাজে গতি আসবে। সেই সাথে লাভ এবং ক্ষতি দুইই মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

২. গরুর খামার যথেষ্ট ব্যয়বহুল একটি উদ্যোগ।  অন্তত কয়েক লক্ষ টাকা মূলধন নিয়ে খামারের কাজ শুরু করতে হবে৷ তাই ব্যয় করার সামর্থ খামারির থাকতে হবে। নতুবা গরুর খামার শুরু করা সম্ভব হবেনা। 

৩. গরুর খামারের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। যাদের অল্প জায়গা তারা অল্প গরু পালন করবেন আর যাদের জায়গা বেশী আছে তারা গরুর সংখ্যা বাড়াতে পারেন। অল্প জায়গায় বেশী গরু রাখলে তাদের সুস্থ রাখা এবং লালন-পালন করা কঠিন হবে। 

৪. ফিড নির্ভর খামার না করে গরুর জন্য বিচালি-খড়, কাঁচা ঘাসের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দানাদার খাবার দিতে হবে। প্রাকৃতিক খাবার না দিলে গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং গরু রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। খামারের পাশেই কাঁচা ঘাসের চাষ করুন। খাবারের খরচ কমিয়ে আনা গেলে লাভের পরিমাণও বেশী হবে৷ 

৫. গরু পালন করতে গেলে খামারিদের অবশ্যই প্রশিক্ষন নিতে হবে৷ প্রশিক্ষণ ছাড়া সঠিকভাবে গরুর যত্ন নেওয়া সম্ভব নয়। তাই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বা সরকারি-বেসরকারিভাবে গবাদি পশু পালনের প্রশিক্ষন অবশ্যই নিতে হবে। গরুর রোগ, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়ে খামারির ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। 

৬. সফল কোন খামারির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে৷ তাদের কাছ থেকে গরু কিভাবে পালন করবেন, গরুর রোগ, গরুর খাবার, কিভাবে গরুর খামারে লাভবান হবেন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। অভিজ্ঞ খামারির পরামর্শ পেলে সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে৷ 

৭. নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ বিভাগ এবং ভেটেরিনারি হসপিটালের সাথে যোগাযোগ রাখুন। গরুর অসুখ, ভ্যাক্সিন এবং যেকোন পরামর্শ দ্রুত পেতে নিকটস্থ প্রানিসম্পদ বিভাগ এবং ভেটেরিনারি হসপিটালের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। 

৮. খামারের প্রাণ হচ্ছে ভালো জাতের গরু। তাই ভালো গরুর উৎস সম্পর্কে খোঁজ রাখুন। কোথা থেকে কম দামে ভালো গরু পাবেন অথবা অন্য কোন খামারি থেকে গরু সংগ্রহ করতে পারবেন এ ব্যাপারে খোঁজ রাখুন। সারাদেশের ডেইরি স্পটের ব্যাপারে খোঁজ রাখুন।  এতে করে খামারের লাভ দ্রুত হবে। আপনার খামারের উদ্দেশ্যে অনুযায়ী গরু নির্বাচন করুন। মাংসের জন্য কোন গরু ভাল, দুধের জন্য কোন গরু ভাল সেগুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখুন

৯. বাজেট অনুযায়ী খামার পরিচালনা করুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং গরুর সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি মাসের বাজেট করুন। এতে বাড়তি খরচ হবে না এবং লাভের পরিমাণ বেশী হবে। 

১০. গরুর অসুখের ব্যাপারে জানতে ভালো একজন ভেটেরিয়ানের সাথে যোগাযোগ রাখুন। গরুদের নিয়মিত ভ্যাক্সিন দিন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে গরুর অসুখ কম হবে। ভালো দুধ এবং মাংস পাওয়া যাবে। ফলে খামারি লাভবান হবেন।

গরুর খামার যেহেতু বেশ বড় প্রজেক্ট তাই এতে মূলধন যোগাড়ের জন্য লোন আবশ্যক হতে পারে। আর গরুর খামারের জন্য ব্যাংক ঋণ নিতে গেলে কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন হবে। এছাড়াও অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষন, পরিকল্পনা এবং আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে তারপর গরুর খামার শুরু করা উচিত। তাতে লোকসানের সম্ভাবনা কমে যায় এবং লাভের সম্ভাবনা বাড়ে। 

আর্টিকেলের শেষকথা: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ | গরুর খামারের জন্য লোন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শেষ কথা: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ | গরুর খামারের জন্য লোন। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমাদের আজকের আয়োজন ছিল। আশা করি নতুন গরুর খামারিদের জন্য আজকের এই শেষ কথা: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২৩ | গরুর খামারের জন্য লোন তথ্যগুলো উপকারী হবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি  ধন্যবাদ সবাইকে।  শেষ কথা: গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন ২০২২ | গরুর খামারের জন্য লোন। gorur khamar, Gorur khamar Bangladesh, gorur khamar ghor, dipjol gorur khamar, gorur khamar dekhte chai, bangladeshi gorur khamar, bangladesh gorur khamar, gorur khamar video, gorur khamar prokolpo, bangla gorur khamar, desi gorur khamar, gorur khamar gorur khamar, Farm Loan, agriculture loan, agriculture bank, fsa loan, usda farm loans, usda land loans

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ