ielts কি এবং কেন | ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে

আপনি কি জানতে চান ielts কি এবং কেন, ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে, ielts এর উপকারিতা, ielts কিভাবে শুরু করব, ielts কিভাবে করতে হয় ও ielts করতে কত টাকা লাগে ২০২২ এবং ielts এর উপকারিতা? যদি জানতে চান ielts কি এবং কেন, ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে, ielts এর উপকারিতা, ielts কিভাবে শুরু করব, ielts কিভাবে করতে হয় ও ielts করতে কত টাকা লাগে ২০২২ এবং ielts এর উপকারিতা তাহলে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে।

ielts কি এবং কেন  ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে
ielts কি এবং কেন  ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে

হ্যালো বন্ধুরা আমি আরকে রায়হান আজকে আমি আপানদের সাথে ielts কি এবং কেন, ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে, ielts এর উপকারিতা, ielts কিভাবে শুরু করব, ielts কিভাবে করতে হয় ও ielts করতে কত টাকা লাগে ২০২২ এবং ielts এর উপকারিতা। আশা করি আমাদের আজকের এই আরটিকেল টি আপনাদের ভালো লাগবে।

সুচিপত্রঃ ielts কি এবং কেন | ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে

ielts এর পূর্ণরূপ কি

IELTS শব্দের পূর্নরুপ হচ্ছে International  English Language Testing System। IELTS একটি আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা যার মাধ্যমে আপনার ইংলিশে দক্ষতা যাচাই করা হয়ে থাকে। IELTS এর মাধ্যমে যাচাই করা হয় আপনি ইংলিশ কতটুকু পড়তে পারেন, কতটুকু বলতে পারেন, ইংলিশ কতটুকু লিখতে পারেন এবং অন্যের বলা ইংলিশ আপনি কতটুকু শুনে বুঝতে পারেন। 

IELTS সম্পর্কে অনেকেরই কোন ধারণা নেই। আমরা অনেকেই মনে করি শুধু বিদেশ যেতে গেলেই IELTS প্রয়োজন এবং এর স্কোর জানি। কিন্তু বিস্তারিত তথ্যগুলো যারা IELTS করেছেন তারা ব্যতিত অন্যদের বিস্তারিত জানা নেই। তাদেরকে IELTS সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতেই আমাদের আজকের আয়োজন। চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

ielts কি | What is IELTS

IELTS পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি ইংরেজি ভাষায় কতটা দক্ষতা অর্জন করেছেন তা যাচাই করা হয়। এজন্য চারটি ধাপে পরীক্ষা নেওয়া হয় IELTS  এ। ধাপগুলো হচ্ছে- Reading, Speaking, Listenting এবং Writing। 

Ielts এ মূলত দুইটি পরীক্ষা হয়- ২ ঘন্টা ৪০ মিনিটের একটি পরীক্ষায় আপনার ইংরেজী শোনা, বুঝতে পারা, এবং লেখার দক্ষতা যাচাই করা হবে। 

পরের ধাপের পরীক্ষায় মাত্র ১২-১৪ মিনিটে আপনার ইংলিশ বলার দক্ষতা যাচাই করা হবে অর্থ্যাৎ IELTS পরীক্ষার এই ধাপে আপনি ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে কতটা দক্ষ সেটা যাচাই করা হবে। পরীক্ষকরা নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে আপনাকে বলতে বলবেন, সেটা দৈনন্দিন কোন বিষয় হতে পারে অথবা নিজের সম্পর্কে বলতে বলা হতে পারে৷ 

ielts কি এবং কেন

মূলত বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরির জন্য IELTS পরীক্ষা দেওয়া হয়। সাথে যারা ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি অর্থ্যাৎ ইংরেজী ভাষাভাষী দেশে প্রবাসে যেতে চান তাদের জন্য IELTS পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক। 

এর কারণ আপনি যখন পড়াশুনা অথবা ক্যারিয়ার অথবা অন্য কাজে ইংরেজী ভাষা প্রধান একটি দেশে যাবেন, সেখানে কিন্তু আপনি নিজের দেশের ভাষায় সব কাজ করতে পারবেন না। অফিসিয়ালি আপনাকে ইংরেজীতে সবার সাথে কথা বলতে হবে। 

সব কাজ ইংরেজী ভাষায় করতে হবে৷ তাই সেখানে আপনার জন্য ইংরেজী জানা, বলতে পারা, শুনে বুঝতে পারা এবং লিখতে পারাটা খুব জরুরী। এক্ষেত্রে যদি আপনি গ্রামারে দূর্বল হন তাতেও খুব সমস্যা হয়না। ইংরেজী ভাষা বোঝাতে পারা এবং বুঝতে পারার উপরই বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

কারণ একাডেমিক IELTS এ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কঠিন প্রশ্ন হলেও General IELTS এ খুবই সহজ ধরনের প্রশ্ন করা হয়। কারণ এখানে নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষ কোর্স করতে পারবেন এমন কোন বাধ্যবাধকতা থাকেনা। তাই সবার কথা চিন্তা করেই General IELTS এর প্রশ্ন করা হয়। 

IELTS কোর্স না করে বিদেশে গেলে সেখানে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করা, কাজ চালানো এবং অফিসিয়াল কাজ চালানো অসম্ভব। তাই বিদেশ যাওয়ার পূর্বে বিশেষত ইংরেজী প্রধান ভাষা যেসব দেশের, সেসব দেশে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই IELTS কোর্স করতে হবে এবং শুধু কোর্স করলেই হবেনা। সাথে IELTS পরিক্ষায় অংশ নিয়ে সমন্বিতভাবে ভালো স্কোরও থাকতে হবে। 

IELTS কত ধরনের হয়?

IELTS দুই ধরনের হয়ে থাকে। কারণ সকলের IELTS করার উদ্দেশ্য সমান নয়। তাই সবাই এক ধরনের Ielts পরীক্ষায় অংশও নেন না। উদ্দেশ্য এবং যোগ্যতা অনুযায়ী IELTS এর ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে IELTS পরীক্ষার ধরনগুলো কি কি? IELTS পরীক্ষার দুইটি ধরন হচ্ছে-  Academic(একাডেমিক) IELTS এবং General (সাধারণ) IELTS। দুইটি প্রতিষ্ঠান British Council এবং IDP IELTS পরীক্ষা পরিচালনা করে। 

যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে চান অর্থ্যাৎ স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি করতে চান তাদের Academic IELTS করতে হবে এবং ভালো স্কোর পেতে হবে। যারা বিদেশে চাকরি বা কোন কারিগরী ট্রেনিং এর জন্য যেতে চান তাদের জন্য রয়েছে জেনারেল IELTS। 

IELTS পরীক্ষা কারা দেয় | ielts পরীক্ষার নিয়ম

IELTS পরীক্ষার অর্থ হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে ইংরেজী ভাষার দক্ষতা যাচাই প্রক্রিয়া। সারাবিশ্ব জুড়ে ইংরেজী হচ্ছে অফিসিয়াল ভাষা। পৃথিবীতে প্রচলিত সকল ভাষায় অন্য দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলা সম্ভব নয়।  

অথচ শিক্ষার্থী, ট্যুরিস্ট, ওয়ার্কার, ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের বিভিন্ন কারণে বিদেশে যেতে হয়। কিন্তু তারা বিদেশে গিয়ে ঠিকমত ইংরেজী বলতে, শুনতে, বুঝতে এবং পড়তে না পারলে সেসব দেশে তাদের পক্ষে চলা এবং কাজ করা সম্ভব হবেনা। 

তাই তাদেরকে বিদেশ গমনের পূর্বে ইংরেজী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হয় এবং সেই দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য তাদেরকে IELTS পরীক্ষা দিতে হয়। বিশেষত বিদেশের বিভিন্ন ভার্সিটিতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য IELTS করা বাধ্যতামূলক। 

যারা গবেষনা, থিসিস, উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চান তাদেরকে Academic ভাবে IELTS পরীক্ষা দিতে হবে। বিশেষত ইংরেজি ভাষা যেসব দেশের মাতৃভাষা সেসব দেশের জন্য Ielts করতেই হবে। 

ইংরেজী ভাষা যেসব দেশের প্রধান ভাষা এমন দেশের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা,,কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড অথবা কোন ইউরোপীয়ান দেশ ইত্যাদি। General  বা সাধারণ IELTS সাধারণ মানুষদের জন্য যারা ইংলিশ স্পিকিং কান্ট্রি অর্থাৎ ইংরেজী প্রধান ভাষা এমন দেশে প্রবাসী হতে চান অথবা প্রফেশনাল কাজে বিদেশে যেতে চান। 

প্রফেশনাল কাজে অর্থাৎ জবের জন্য বিদেশে যেতে হলে অবশ্যই অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে ইংরেজীতে ভাল দখল থাকতে হবে। আর তার জন্য আপনাকে IELTS দিয়ে পাশ করতে হবে। 

ielts কখন করতে হয় | ielts পরীক্ষা কখন হয়

IELTS পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত বা নির্দিষ্ট কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। যারা স্টুডেন্ট ভিসায় বিদেশ যেতে চান তাদের বেলায় সাধারণত ১৬ বছর বয়স হলে IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন। 

যারা অশিক্ষিত কিন্তু পরবর্তীতে কাজের জন্য পড়াশুনা করেছেন তারাও বিদেশে কাজের জন্য যেতে IELTS পরীক্ষা দিতে পারবেন। তাদের জন্য General IELTS পরীক্ষা রয়েছে। General IELTS  পরীক্ষার প্রশ্ন Academic Ielts এর চেয়ে সহজ হয়ে থাকে ৷ 

বৈজ্ঞানিক বা বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নের চেয়ে এখানে দৈনন্দিন অতি প্রয়োজনীয় বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় যাতে সব ধরনের মানুষই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। General IELTS  দেওয়ার জন্য নুন্যতম কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা বা বয়স নেই। 

চাইলে যে কেউ এসএসসি পরীক্ষার পরপরই IELTS পরীক্ষার জন্য IELTS  কোর্স করতে পারেন। তবে বয়স উভয়ক্ষেত্রেই ১৬ হওয়াটা একপ্রকার বাধ্যতামূলক। 

কোন ধরনের IELTS কোর্স করা উচিত?

স্বপ্ন যখন বিদেশে গিয়ে পড়াশুনা অথবা চাকরি করা তখন স্বাভাবিকভাবেই আসে IELTS এর কথা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ যেমন শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অথবা পেশাজীবীরা চাকরির জন্য এবং ইমিগ্রেশনের জন্য IELTS পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে। 

এখন বিভিন্ন মাধ্যম থেকে Ielts (আইএলটিএস) করা যায়। তবে গ্রহনযোগ্যতার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে IELTS (আইএলটিএস) এর মান অনেক বেশী। তাই আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য IELTS  কোর্সই করা উচিত। 

IELTS প্রিপারেশন কিভাবে নেবেন?

IELTS (আইইএলটিএস) কোর্স করার জন্য কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন। নিজেও প্রস্তুতি নিতে পারেন। মূলত কোচিং সেন্টার আপনাকে দিক নির্দেশনা দিতে পারে যে কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন, কোথা থেকে পড়লে আপনার জন্য সুবিধা হবে। 

কিন্তু প্রস্তুতি মূলত আপনাকেই নিতে হবে। Ielts এর জন্য Cambrigde English for IELTS এর ৭ থেকে ১৫ পার্ট পর্যন্ত কিনে নিতে পারেন। প্রতিটি পার্টে ৪ সেট করে প্রশ্ন থাকবে। এগুলো অনুশীলন করলে  IELTS সম্পর্কে ভাল একটি ধারণা তৈরি হবে। 

এছাড়া বেসিক ইংলিশ চর্চা করুন। নিয়মিত ইংরেজি জার্নাল, আর্টিকেল পড়ুন। ভোকাবুলারি, বাক্য গঠন, টেনস, ভয়েজ, আর্টিকেল এগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করুন। 

যদিও Ielts কোর্স ইংলিশ গ্রামার ভিত্তিক নয়। Ielts এ মূলত ইংরেজী ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবুও একটি ভাষা তখনই ভালভাবে জানা, বোঝা, পড়া এবং বলা সম্ভব হবে যখন আপনি তা ভালোভাবে অনুশীলন করবেন। 

ইউটিউব এ 10 Minutes School এ মুনজেরিন শাহিদের Ielts এর উপর পেইড কোর্সটি করতে পারেন। কোর্সটি করতে সময় লাগবে ৫০ ঘন্টা। ৫১ টি ভিডিও এবং ১৫ টি মক টেস্টের মাধ্যমে আপনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবেন। 

Ielts এর এই কোর্সটি করতে অনলাইনে ২,৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। Ielts কোর্স এর জন্য যদি কোচিং করতে চান তাহলে বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য কোচিং বেছে নিন। জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য Ielts কোচিং সেন্টারের মধ্যে রয়েছে 

  • British Council,  
  • WINGS learning Centre, 
  • Salt Lab Ielts Coaching Centre, 
  • British American Resource Centre, 
  • British Language Club & IELTS Coaching Centre, 
  • Saifur's IELTS coaching Centre ইত্যাদি। 

এগুলো প্রচলিত এবং জনপ্রিয়তার সাথে অনেক বছর ধরে IELTS এর কোচিং এ নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। যাদের জন্য কোচিং এ যাতায়ায় এ সমস্যা তারা অনলাইন কোর্সও করে নিতে পারেন। এজন্য বাসায় ওয়াইফাই সংযোগ এবং পিসি অথবা মোবাইল ফোন থাকতে হবে। 

IELTS এর ইংলিশ রাইটিং অনুশীলনের জন্য র‍্যাচেশ মিশেলের Writing task বইগুলোও দেখতে পারেন। British Council এবং Saifur's এর বইগুলোও IELTS এর জন্য ভালো হবে। যেহেতু ভাষাভিত্তিক পরীক্ষা হয় IELTS এ, তাই মুখস্তের উপর জোর না দিয়ে ভাষাভিত্তিক অনুশীলনের উপর জোর দেওয়া উচিত। 

ielts পরীক্ষার নিয়ম

১. Listening (শোনা)

IELTS পরীক্ষা নেওয়া হয় ৪ ধাপে। প্রথম ধাপে থাকে Listenting। এই ধাপে ৩০ মিনিটে ৪ টি রেকর্ডিং শুনানো হয়। এই ৪ টি রেকর্ডিং একবার করেই শোনানো হবে এবং এখান থেকে মোট ৪০ টি প্রশ্ন করা হবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ১ থেকে ৩ শব্দের হয়ে থাকে। রেকর্ডিংগুলো বেশ দ্রুত প্লে করা হয়। একবার শুনে বুঝতে না পারলে দ্বিতীয়বার শোনার কোন সুযোগ নেই। তাই শিক্ষার্থীদের খুব মনোযোগের সাথে রেকর্ডিংগুলো শুনতে হয়। এই টেস্ট দ্বারা মূলত পরীক্ষার্থীদের ইংরেজী ভাষা শুনে বুঝতে পারার দক্ষতা যাচাই করা হয়। 

২. Reading (পড়া)

দ্বিতীয়ধাপে মোটামুটি ৩ টি বড় প্যাসেজ পড়তে হয়। মোট সময় থাকে ১ ঘন্টা। প্যাসেজগুলো থেকে মোট ৪০ টি প্রশ্ন করা হয়। প্রত্যেক প্যাসেজে ১২-১৪ টি শব্দ থাকে এবং প্রত্যেক প্যাসেজে ৭০০-৮০০ শব্দ থাকে। তাই খুব দ্রুত পড়তে হয় এবং পড়ে বুঝতে হয়। এই টেস্ট থেকে পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা পড়তে পারার দক্ষতা যাচাই করা হয়। 

৩. Writing (লেখা)

IELTS এর এই ধাপে ইংরেজী ভাষা লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয়। এই টেস্টে মোট দুইটি রাইটিং লিখতে হয়। মোট সময় থাকে ১ ঘন্টা। একাডেমিক IELTS এর প্রথম টাস্কে গ্রাফ, চার্ট অথবা ফ্লো চার্ট লিখতে হয়। জেনারেল IELTS এ লেটার বা চিঠি লিখতে হয়। দ্বিতীয় টাস্কে দুই ধরনের IELTS এই Essy লিখতে হয়। 

৪. Speaking (বলা)

IELTS এর এই ধাপে পরীক্ষার্থীকে সরাসরি পরীক্ষকের সাথে ১২-১৫ মিনিট কথা বলতে হয়। এই ধাপটি ৩ টি পার্টে বিভক্ত। প্রথম পার্টে পরীক্ষার্থীকে তার নিজের সম্পর্কে বলতে বলা হয়। 

অর্থাৎ পরীক্ষার্থীকে তার নিজের জব, পড়াশুনা, পরিবার, শখ ইত্যাদি বিষয়ে বলতে বলা হয়। ২য় পার্টে একটি টপিক দেওয়া হয়, একে Cue Card Session বলে। এই টপিকের উপর ২ মিনিট কথা বলতে হয়।  ৩য় পার্টে, প্রশ্ন একটু জটিল হয় এবং প্রশ্নগুলো ২য় পার্টের সাথে সম্পর্কিত হয়। 

একাডেমিক এবং জেনারেল IELTS পার্থক্য | academic vs general ielts

একাডেমিক IELTS যেহেতু বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য করা হয় তাই প্রশ্ন হয় একটু জটিল। Reading এ যে তিনটি প্যাসেজ পড়তে হয় তা হয় একটু জটিল এবং বড়। অন্যদিকে জেনারেল IELTS এ Reading টেস্টে তিনের অধিক প্যাসেজ পড়তে হতে পারে, তবে প্যাসেজগুলো হয় খুব সহজ।

তবে পরীক্ষার সময় এবং পরীক্ষার নাম্বার দুই ধরনের IELTS এই একই থাকে। IELTS এর Writing( লেখা) টাস্কে একাডেমিক IELTS এ গ্রাফ, ফ্লো চার্ট এবং টেবিল লিখতে হয়। 

কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে | ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে

IELTS স্কোরিং ০-৯ এর মধ্যে করা হয়। IELTS এ ৯ স্কোর করলে পরীক্ষার্থী Expert User, ৮ স্কোর করলে Very good User, ৭ স্কোর করলে Good User, ৬ স্কোর করলে Competent User বা দক্ষ ব্যবহারকারী, ৫ স্কোর করলে Modest User বা মধ্যম ব্যবহারকারী, ৪ স্কোর করলে Limited user সীমিত ব্যবহারকারী, ৩ স্কোর করলে Extremely limited user বা অতি সীমিত ব্যবহারকারী , ২ স্কোর করলে Intermittent user বা থেমে থেমে ব্যবহারকারী,১ স্কোর করলে Non User বা ব্যবহারকারী নয়, এবং  ০ স্কোর ধরা হয় পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে। ৪ টি ধাপের মার্কস একসাথে যোগ করে তারপর তা থেকে স্কোরিং করা হয়। 

IELTS এর আবেদন বা ফর্ম ফিলাপ পদ্ধতি 

প্রথমেই British Council এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। ফর্ম ফিলআপের জন্য ভ্যালিড পাসপোর্ট এর নাম্বার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার, সদ্যতোলা ছবি এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রয়োজন হবে। 

পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে পরীক্ষার সময়ের চেয়ে আরও ছয়মাস বেশী। IELTS (আইইএলটিস) এর পরীক্ষায় পাশ করলে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় এবং এই সার্টিফিকেটের মেয়াদ থাকে ২ বছর। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম পূরনের পর ১৮,৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

আপনার নিকটস্থ জেলা অথবা বিভাগে ব্রিটিশ কাউন্সিলের যে শাখা আছে সেখান থেকে আপনি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। প্রতি ইউনিভার্টির জন্য IELTS এর একটি কপিই প্রদান করা হয়। বাড়তি কপি নিতে চাইলে ব্রিটিশ কাউন্সিলে আলাদা ফি জমা দিতে হবে এবং আলোচনা করতে হবে। 

ielts এর উপকারিতা

IELTS করলে ইংরেজি ভাষার উপর লেখা, শোনা, বলা এবং পড়ার দক্ষতা সৃষ্টি হবে যা আপনাকে বিদেশে পড়াশুনা এবং জবের ব্যাপারে সাহায্য করবে। শিক্ষা এবং চাকরির জন্য ছাড়াও দেশে চাকরির জন্য IELTS করতে পারেন। 

অনেক বড় কোম্পানিগুলো যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করতে হয় সেই কোম্পানিগুলো যোগ্যতা হিসেবে IELTS চেয়ে থাকে। নিজের ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং যোগ্যতা বাড়াতে IELTS করে নিতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে অনেক কোর্স পাবেন, যেখান থেকে IELTS এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

ielts এ ভাল করার উপায়

IELTS এর পরীক্ষা পদ্ধতি পূর্বেই শেয়ার করা হয়েছে। Cambridge অথবা Saifur's অথবা অন্য যেকোন কোম্পানির IELTS এর প্রশ্নগুলো বারবার অনুশীলন করুন। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল থেকে IELTS এর টিপসগুলো অনুসরণ করুন। 

বিভিন্ন IELTS বিষয়ক আর্টিকেল এবং ইংরেজি জার্নাল এবং গবেষনামূলক জার্নাল পড়ুন। দ্রুত ইংরেজী পড়ার অভ্যাস করুন। ইংরেজী রেকর্ড শুনুন, ইংরেজী শোনার দক্ষতা বৃদ্ধি করুন। ইংরেজিতে ছোট ছোট বাক্য লিখুন। লিখে প্রতিদিন অনুশীলন করুন। 

ইংরেজি মুভি দেখুন। ইংরেজীতে নিজের সম্পর্কে বলা অনুশীলন করুন। বন্ধুদের সাথে ইংরেজীতে কথা বলা অভ্যাস করুন। 

ইংরেজী যেহেতু আমাদের মাতৃভাষা নয় সেহেতু একবারে এটা শিখে ফেলাও সম্ভব নয়। কিন্তু নিয়মিত অনুশীলনে অবশ্যই ইংরেজী ভাষা শোনার, বলার, লেখার, এবং পড়ার দক্ষতা বাড়ানো যাবে। 

বিঃদ্রঃ - আমাদের তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউটিউব এবং 

  • S.M. Saif Reaz, University of Palermo, Italy
  • M.sc in Electronics Engineering এর থেকে। 

শেষ কথা: ielts কি এবং কেন | ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে

IELTS ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি আন্তর্জাতিক পরীক্ষা যা পৃথিবীর অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা এবং চাকরির জন্য আবশ্যক। আমাদের আজকের আয়োজনে IELTS সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস করা হয়েছে। আশা করি যারা বিদেশে যাওয়ার জন্য IELTS পরীক্ষায় অংশ নিতে চান তাদের আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই উপকারে আসবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে। ielts কি এবং কেন, ielts করতে কি যোগ্যতা লাগে, ielts এর উপকারিতা, ielts কিভাবে শুরু করব, ielts কিভাবে করতে হয় ও ielts করতে কত টাকা লাগে ২০২২ এবং ielts এর উপকারিতা, ielts এ ভাল করার উপায়, কোন দেশে কত ielts স্কোর লাগে, academic vs general ielts, ielts পরীক্ষার নিয়ম, IELTS প্রিপারেশন কিভাবে নেবেন, ielts কখন করতে হয়, ielts পরীক্ষা কখন হয়, IELTS পরীক্ষা কারা দেয়, ielts পরীক্ষার নিয়ম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ