প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো  টি।

প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো
প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো

প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো

উত্তর : ভূমিকা : আরব দেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত। আরবের উত্তরে সিরিয়া মরুভূমি দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে পারস্য উপসাগর এবং পশ্চিমে লােহিত সাগর রয়েছে। ভৌগােলিক দিক দিয়ে এটি এশিয়া, ইউরােপ ও আফ্রিকার সংযােগ স্থলে অবস্থিত।

আরবের ভৌগােলিক অবস্থান : নিম্নে ইসলামি যুগে আরবের 3 | ভৌগােলিক অবস্থান আলােচনা করা হলাে :

১. অবস্থান : আরব একটি ত্রিভুজাকৃতি উপদ্বীপ। এটি এশিয়া | ইউরােপ ও আফ্রিকার সংযােগ স্থলে অবস্থিত। 

২. আয়তন : আরব ভূ-খণ্ডের আয়তন ১০,২৭০০ বর্গমাইল। আয়তনে এটি ইউরােপের এক চতুর্থাংশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ।

৩. ভূ-প্রকৃতি : ভূ-প্রকৃতি হিসেবে সমগ্র আরবকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন উত্তর আরব মধ্য আরব ও দক্ষিণ আরব। আরব দেশের অধিকাংশ এলাকা বালুময় মরুভূমি।

৪. আবহাওয়া : অত্যন্ত শুষ্ক ও গ্রীষ্মপ্রধান দেশসমূহের মধ্যে অন্যতম হলাে আরব উপদ্বীপ। আরবের তিন দিকে সমুদ্র বেষ্টিত হলেও এখানে উল্লেখযােগ্য তেমন কোন নদ-নদী নেই। যে কারণে আরবে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। যার ফলে এখানে বৃষ্টিপাত সামান্য পরিমাণে হয়। 

৫, জলবায়ু : আরবের জলবায়ু ছিল চরম ভাবাপন্ন। এখানে সমগ্র বছরে ১০ ইঞ্চিরও কম বৃষ্টিপাত হয়। ওমান হায়বামাউত, হেজাজ প্রভৃতি উপকূলবর্তী অঞ্চল ও পানি বিধৌত উপত্যকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়।

৬. আরবের কৃষি : আরব দেশে উৎপন্ন ফসলের মধ্যে খেজুর। ছিল প্রধান। হেজাজ প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে খেজুর উৎপন্ন হতাে। ইয়েমেন ও কয়েকটি মরুদ্যানে উৎপাদন হতাে গম। এছাড়া অন্যান্য অঞ্চলে ধান, গম, আপেল, বেদনা, কমলালেবু, আখ,। তরমুজ, কলা উৎপাদন হতাে।

৭, প্রাকৃতিক সম্পদ : আরবের কোন কোন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে খনিজ দ্রব্যের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে আরবের ইয়েমেন অঞ্চলে ও কেন্দ্রীয় আরবের কয়েকটি স্থানে খাটি সােনা পাওয়া যেত। ঐতিহাসিক ডিওডোেরাস বলেন, আরবদের এত খনিজ সােনা ছিল যে তা গােলানাের প্রয়ােজন হতাে না।।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অত্যন্ত শুষ্ক ও গ্রীষ্ম প্রধান দেশগুলাের মধ্যে আরব উপদ্বীপ অন্যতম। মরুময় বলে সমগ্র ভূ-ভাগের জলবায়ু চরম ভাবাপন্ন। এই রুক্ষতা ও শুষ্কতা আরববাসীর চরিত্রে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। তাই আরববাসীদের উপর আরবের ভৌগােলিক প্রভাব ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো  টি। যদি তোমাদের আজকের এই প্রাক ইসলামী যুগে আরবের ভৌগলিক অবস্থা আলোচনা করো  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous 02 January

    Congelation

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ