বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ জেনে নিবো। তোমরা যদি বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ  টি।

বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ
বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ

বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: জ্ঞান অর্জনের দুরূহ পথে শিক্ষকরা আলোকবর্তিকার ভূমিকা পালন করেন। তাঁরা পদপ্রদর্শক। জ্ঞান অর্জন করতে হয় নিজেকেই। ব্যক্তির নিজস্ব আগ্রহ ও নিরলস পরিশ্রম দিয়েই বিদ্যা-সাধনায় সিদ্ধি লাভ করা যায়।

সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্যা সাধনা তথা শিক্ষা লাভের জন্য আমরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে থাকি। শিক্ষার এই ধরন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নামে পরিচিত। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষায় গুরু তথা শিক্ষককের ভূমিকা অনস্বীকার্য ও প্রশ্নাতীত । প্রকৃত অর্থে, শিক্ষকরাই আমাদের জীবন বিনির্মাণ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন । গুরুজন তথা শিক্ষকদের প্রদর্শিত পথেই আমরা জ্ঞানরাজ্যে অবাধ প্রবেশাধিকার লাভ করি। বিদ্যার রাজ্যে আমাদের স্বচ্ছন্দ বিচরণের পেছনে শিক্ষকদের ভূমিকাই মুখ্য। বলা হয়ে থাকে মা-বাবার পরেই শিশুর ভবিষ্যৎ জীবন বিনির্মাণে শিক্ষকের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি ।

তবে বিদ্যা সাধনা বিদ্যার্থীর একান্তই নিজস্ব বিষয় । শিক্ষকদের ভূমিকার কথা স্বীকার করেও এ কথা বললে অত্যুক্তি কিংবা অতিরঞ্জন হবে না যে, নিজ চেষ্টা ও পরিশ্রম ছাড়া বিদ্যা অর্জন অসম্ভব। ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং শ্রেষ্ঠ গুরুর আশীর্বাদ ধন্য হলেই বিদ্যা অর্জন কখনো সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এ জন্য চাই বিদ্যার্থীর নিজস্ব একাগ্রতা ও আগ্রহ থাকা চাই পরিশ্রম করার মানসিকতা প্রকৃত অর্থে, নিজস্ব চেষ্টা ছাড়া কখনই বিদ্যা অর্জন করা যায় না। এমনও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও কিংবা দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পড়েও অনেকেই বিদ্যার রাজ্যে সিদ্ধি লাভ করতে পারে না। এক্ষেত্রে ওই শিক্ষার্থীর বিদ্যা অর্জনে অনীহা ও ঔদাসীন্যই দায়ী থাকে ।

আমরা যদি পৃথিবীর জ্ঞানী-গুণী ও মহাজনদের জীবন ইতিহাসের দিকে তাকাই, তবে দেখতে পাবো, তারা নিজস্ব চেষ্টা ও সাধনার মধ্য দিয়েই বিদ্যা অর্জন করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে মহামানব হিসেবে তারা নিজের স্থান পাকা করে নিয়েছেন। আলবার্ট আইনস্টাইন কখনোই নিজেকে ভালো ছাত্র হিসেবে তুলে ধরতে পারেননি। নিজ সাধনা ও ঐকান্তিক চেষ্টার বলে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত। সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল— এই গ্রিক দার্শনিকত্রয়ের জীবনের দিকে তাকালেও এই সত্য উন্মোচিত হয়। গুরু-শিষ্য পরম্পরায় প্লেটো যেমন সক্রেটিসকে অত্রিম করে গেছেন, তেমনি আরিস্টটলও প্লেটোকে অতিক্রম করে গেছেন। সক্রেটিস তো তাঁর শিষ্য প্লেটোর লেখনীর মধ্য দিয়ে আমাদের স্মৃতিতে অমর হয়ে আছেন। ইতিহাসের দিকে তাকালে এ রকম ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যাবে। নিজস্ব সাধনা প্রচেষ্টা না থাকলে শ্রেষ্ঠ গুরুর সান্নিধ্যও কোনো কাজে আসে না । প্রকৃত বিদ্যা অর্জন অধরাই থেকে যায় ।

মন্তব্য: গুরুজন তথা শিক্ষক আমাদের জীবনে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। শিক্ষকদের এই ঋণ স্বীকার করেই আমরা বিদ্যা অর্জনের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে আমাদের কর্তব্য নিজস্ব মেধাকে কাজে লাগানো ও পরিশ্রম করা। নিজস্ব মেধা ও মননের চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা প্রকৃত বিদ্যা অর্জন করতে পারব। নচেৎ শ্রেষ্ঠ গুরুর সান্নিধ্য অসার ও নিষ্ফল থেকে যাবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ  টি। যদি তোমাদের আজকের এই বিদ্যার সাধনা শিষ্যকে নিজে অর্জন করতে হয় ভাবসম্প্রসারণ  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ