সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ জেনে নিবো। তোমরা যদি সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ  টি।

সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ
সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ

সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: সৌজন্য একটি বিশেষ গুণ এবং মার্জিত ও শিষ্টাচারসম্পন্ন মানুষের আচরণের প্রধান অনুষঙ্গ।

সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের মধ্যে সৌজন্যবোধ আপনা-আপনি তৈরি হয় না, জন্মসূত্রেও একে লাভ করা যায় না। শিক্ষা, বিচিত্র অভিজ্ঞতা, সহৃদয়পূর্ণ ও কোমল মানস-প্রকৃতি মানুষের সৌজন্যবোধের জাগরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে । মানুষের জীবনের একটি দীর্ঘ সময় বিদ্যায়তনিক পরিবেশে বা জ্ঞানচর্চার কাজে অতিবাহিত হয়। সময়েই মানুষ শিষ্টাচারী হয়ে উঠে শিক্ষার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সৌজন্যতা বা শিষ্টাচার অর্জন । ফলে, শিক্ষিত মানুষের সৌজন্যবোধ না থাকলে সে শিক্ষা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য। অপরদিকে কালচার বা সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের সামগ্রিক জীবন- প্রণালী, আচার-আচরণ, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ ইত্যাদির ধরণ বা পদ্ধতি। সংস্কৃতিবান মানুষের জগৎ ও জীবনের প্রতি থাকে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যায়ন । সাধারণ মানুষ থেকে একজন সংস্কৃতিবান মানুষকে সহজেই চিহ্নিত ও পৃথক করা যায়। সর্বসাধারণের মধ্যে তার স্বাতন্ত্র্য | সহজেই দৃষ্টিগোচর হয়। এদিক থেকে সৌজন্য হচ্ছে সংস্কৃতিবান মানুষের আচরণের একমাত্র অবলম্বন। ব্যক্তির আচরণে অসৌজন্যমূলক কিছু প্রকাশ পেলে তাকে আর যাই হোক সংস্কৃতিবান মনে করা হয় না। ভাবা হয়, তার উদ্ভব, বিকাশ ও পদচারণা অবশ্যই নিচু সংস্কৃতির মধ্যে। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত ও সভ্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যায়, সেখানকার মানুষের আচরণ মাধুর্যপূর্ণ এবং সৌজন্যে পরিপূর্ণ। যে জাতি যত বেশি উন্নত, সভ্য এবং অলোকপ্রাপ্ত তাদের মধ্যে শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ ততো বেশি। এভাবে, সৌজন্য ব্যক্তি, জাতি ও দেশের সংস্কৃতির পরিচয় অন্য ব্যক্তি জাতি ও দেশের কাছে তুলে ধরে।

মন্তব্য: সৌজন্যহীনতা ব্যক্তির সম্পর্কে নেতিবাচক ও অপসংস্কৃতির ধারণার উদ্রেক করে। কাজেই সৌজন্যবোধ বিভিন্ন পর্যায় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের পরিচয় প্রদানে অশেষ গুরুত্ব বহন করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ  টি। যদি তোমাদের আজকের এই সৌজন্যেই সংস্কৃতির পরিচয় ভাবসম্প্রসারণ  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ