আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কারা প্রথম আন্দোলন করেছিল

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কারা প্রথম আন্দোলন করেছিল জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কারা প্রথম আন্দোলন করেছিল ।

আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কারা প্রথম আন্দোলন করেছিল
আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কারা প্রথম আন্দোলন করেছিল

আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে যে ছাত্র আন্দোলন গুলো সংঘটিত হয়েছিল সেগুলোর বর্ণনা কর 

উত্তর ভূমিকা : ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করার মাধ্যমে প্রদেশগুলিতে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা এবং গণতন্ত্রের বিলোপ সাধন করে। তাঁর শাসনামলে রাজনৈতিক দলসমূহকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। দুর্নীতি দমনের নামে আইয়ুব খান পাকিস্তানে একটি উৎপীড়নমূলক শাসনব্যবস্থা প্রচলিত করেছিলেন। আইয়ুব খান নিজস্ব অনুগত বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কিন্তু উক্ত বাহিনী জনগণের কল্যাণ সাধন করার জন্য কোনো কাজ করতে পারেনি। ভূমি সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি আইয়ুব খান করেছিল তা শুধুমাত্র কাগজ কলমেই থেকে গেছে। বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তাঁর এই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠন সাংবাদিক, কিছু সাংস্কৃতিক কিছু রাজনীতিবিদ প্রতিবাদ করার উদ্দেশ্যে পরোক্ষভাবে আন্দোলন গড়ে তোলেন ।

→ আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে সৃষ্ট ছাত্র আন্দোলন : আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে প্রায় ১ বছর ৮ মাস পরোক্ষভাবে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন সংঘটিত হয়। এ সময়ে প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার আন্দোলন সংঘটিত হয়নি। এই সকল পরোক্ষ আন্দোলন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :

১. ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন : আইয়ুববিরোধী আন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন। ১৯৬১ সালের শেষের দিকে মুজিব, মানিক মিয়া, এমিনি সিংহ, খোকা মিয়া সমন্বিতভাবে গোপনে একটি বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে আইয়ুব খানের ঘোর বিরোধিতা করা হয়। আইয়ুব খানের ঘোষিত শাসনতন্ত্রের বিরদ্ধে উক্ত বৈঠকে সকলে একমত হন। আইয়ুব খানের একচেটিয়া শাসনব্যবস্থা জনগণের মনে তৎকালীন সময়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। আইয়ুব খানের অসদাচরণের জন্য মূলত পাকিস্তানের জনসাধারণ আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হয়। ১৯৬১ সালের বৈঠকে আইয়ুবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। উক্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল যে, আইয়ুব খান শাসনতন্ত্র ঘোষণা করার সাথে সাথে তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ আন্দোলন শুরু করবে এবং ধীরে ধীরে উক্ত আন্দোলন সমগ্রদেশে ছড়িয়ে পড়বে। উক্ত | বৈঠকে ছাত্রলীগ এবং ছাত্র ইউনিয়নকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। আইয়ুব খানের শাসনব্যবস্থা তথা সামরিক শাসনব্যবস্থার সামনে মাথা নত না করে উক্ত শাসনব্যবস্থাকে পাকিস্তান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ছাত্র সমাজ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

২. সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার এবং এর বিরুদ্ধে ছাত্রদের প্রতিবাদ : ১৯৬১ সালে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরপরই ১৯৬২ সালে ৩০ জানুয়ারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদ করার উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা ধর্মঘট এবং বিক্ষোভ মিছিলের আহ্বান করেছিল। উক্ত ধর্মঘট ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ছাত্ররা। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াসহ প্রমুখ রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করার হুকুম দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এই আন্দোলনই ছিল সামরিক শাসনব্যবস্থা তথা আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্য আন্দোলন । আর তাই | উক্ত আন্দোলনের ফলাফলও অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী হয়। উক্ত আন্দোলনের পর-পরই আইয়ুব খান বুঝতে পারে যে, পাকিস্তানে সামরিক আইন আর দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

৩. সংবিধানবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত : আইয়ুব খান প্রচলিত সংবিধানকে নাকচ করে সম্পূর্ণ নাস্তিপ্রসূত সংবিধান প্রণয়ন করেন কিন্তু সামরিক আইন ব্যবস্থা জারি থাকার সময় উক্ত সংবিধানের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করেছিল, ১৯৬২ সালের ১লা মার্চ আইয়ুব খান পাকিস্তানের প্রচলিত সংবিধানকে নাকচ করে দ্বিতীয় সংবিধান প্রণয়ন করেছিল। উক্ত সংবিধান ১৯৬২ সালের ৮ জুন কার্যকর হয় কিন্তু উক্ত সংবিধানে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের দাবি সম্পর্কে কোনো মতামত ব্যক্ত করা হয়নি। যার ফলে সাধারণ জনগণের অধিকার চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছিল। দেশের আপামর জনসাধারণ তাদের মৌলিক অধিকার হারিয়ে ফেলে। এই সময় মৌলিক গণতন্ত্রী ব্যবস্থা জারি হয় কিন্তু মৌলিক গণতন্ত্রীরা কেবলমাত্র শাসকগোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করতো। জনগণের অধিকার সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণভাবে উদাসীন ছিল। উক্ত মৌলিক গণতন্ত্রী সংবিধান প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে দেশের ছাত্রসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ প্রায় অকেজো হয়ে যায়। ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে উক্ত সংবিধানের বিরুদ্ধে সভা মিছিলের আয়োজন করে কিন্তু সরকার পক্ষও এমতাবস্থায় চুপ করে বসে ছিল। না। সরকার পক্ষের আদেশে বহু ছাত্রনেতা এবং সাধারণ ছাত্র গ্রেফতার হয়েছিল। এর মধ্যে নতুন সংবিধানের আওতায় ১৯৬২ সালের ২৮ এপ্রিল জাতীয় পরিষদের এবং ৬ মে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল কিন্তু ছাত্রসমাজ উক্ত নির্বাচনকে বর্জন করার উদ্দেশ্যে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের আহ্বান জানায় কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা তাদের এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। রূপান্তরিত রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে হামিদুল হক চৌধুরী, নূরুল আমিন, আতাউর রহমান প্রভৃতি নেতাকর্মীবৃন্দ গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্তির দাবি জানায়। প্রথম দিকে সামরিক কর্তৃপক্ষ উক্ত দাবিতে কর্ণপাত না করলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৬২ সালের ৮ জুন গ্রেফতারকৃত ছাত্রদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সামরিক শাসকগোষ্ঠীরা।

৪. শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সূত্রপাত : ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরেকটি ছাত্র আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল যা ‘বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন' নামে সুপরিচিত ছিল। আইয়ুব খান শিক্ষা সংস্কারের ক্ষেত্রেও নানাবিধ মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করেছিলেন। তিনি ১৯৫৯ সালের ১২ ডিসেম্বর শিক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমনকি ‘শরীফ কমিশন' নামে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। এর সভাপতি হিসেবে এস.এম. শরীফকে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট উক্ত কমিশনটি তার কিছু সুপারিশ প্রণয়ন করে। উক্ত রিপোর্ট ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়। উক্ত সুপারিশের অন্যতম বিষয়সমূহ ছিল দুই বছরের বি.এ.পাশের কোর্সকে তিন বছরে রূপান্তরিত করা। এছাড়াও স্কুল কলেজের সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে এবং শিক্ষা ব্যয়ের শতকরা ৮০ ভাগ অভিভাবক এবং ২০ ভাগ সরকার কর্তৃক বহন করতে হবে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা কলেজের ছাত্ররা উক্ত রিপোর্টের প্রতিবাদে ‘ডিগ্রি স্টুডেন্টস ফোরাম' নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিল । জগন্নাথ কলেজ, কায়েদে আযম কলেজ, ইডেন কলেজেও উক্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে ছাত্ররা সভা করে। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাও আন্দোলনে যোগদান করে এবং ‘ডিগ্রি স্টুডেন্ট ফোরাম’ ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্ট ফোরামে পরিণত হয়। তৎকালীন সময়ে ছাত্ররা ১৫ই আগস্ট থেকে ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে ছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্ররা হরতাল আহ্বান করে এবং ২৩ সেপ্টেম্বর একজন ছাত্র নিহত হয়েছিল। ছাত্রদের উক্ত আন্দোলনে কোনো নেতারা সাড়া দেন নি। ১৯৬২ সালের এই আন্দোলনের সফলতা হচ্ছে উক্ত আন্দোলন শরীফ কমিশনের সুপারিশগুলো ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছিল। আর তখন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষা দিবস' রূপে ছাত্র সমাজ পালন করে আসছে।

৫. ১৯৬৪ সালের ছাত্র আন্দোলন : ১৯৬৪ সালের পর অনেকগুলো ছাত্র আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে ৭ জানুয়ারি অবাঙালি মুসলমানরা ঢাকা শহরে এবং আশেপাশে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু করেছিল। সাম্প্রদায়িকতার এই দাঙ্গাও মারাত্মক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। হিন্দুদের উক্ত দাঙ্গা থেকে রক্ষা করার জন্য আমির হোসেন চৌধুরী এবং নটরডেম কলেজের ক্যাথলিক ফাদার নোভাক নিহত হয়েছিলেন। উক্ত আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছাত্ররা সোচ্চার হয়ে ভূমিকা পালন করে। ছাত্ররা দাঙ্গা প্রতিরোধ, দাঙ্গায় আহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

১৯৬৪ সালের আরেকটি আন্দোলন ঢাকা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। গভর্নর মোনায়েম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন কিন্তু তিনি রাজবন্দিদেরকে দেশদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করলে ছাত্ররা তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়। এর অল্প কিছুদিন পরে আইয়ুব খানের নেতৃত্বে তিনি পূর্ব বাংলার গভর্নরের দায়িত্ব হাতে তুলে নেন। গভর্নর হওয়ার পর তিনি পূর্ববাংলার মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করেছে যা ছাত্রদের দৃষ্টিগোচর হয়। এছাড়াও তিনি ছাত্রদের বিরোধিতা করার লক্ষ্যে “ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন' গঠন করেন। আর তাই রাজশাহী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছাত্ররা মোনায়েম খানের কাছ থেকে ডিগ্রি গ্রহণ করতে না চাইলে একটি দাঙ্গার সৃষ্টি হয়। সমাবর্তন বিরোধী উক্ত আন্দোলনে অনেক ছাত্র আহত হয় এবং পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়। অনেক ছাত্রকে গ্রেফতারও করা হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপরিউক্ত আন্দোলনসমূহ আইয়ুব খানকে পূর্ব বাংলা থেকে বিতাড়িত করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছিল। আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা এবং চিন্তা- চেতনার বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজই সর্বপ্রথম রুখে দাঁড়িয়েছিল। তৎকালীন সময়ে আইয়ুবের বিরুদ্ধে ছাত্র মিছিল, ছাত্রসভা, ছাত্র ধর্মঘট প্রভৃতি নিত্য দিনের ঘটনা ছিল। শেষ পর্যন্ত আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনই বিজয়ী হয়েছিল। আর আইয়ুব খান চিরদিনের মতো পূর্ব বাংলা থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। এমন কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়েছিল ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কারা প্রথম আন্দোলন করেছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে কারা প্রথম আন্দোলন করেছিল । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ