তমদ্দুন মজলিশ কি | কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তমদ্দুন মজলিশ কি | কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তমদ্দুন মজলিশ কি | কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয় ।

তমদ্দুন মজলিশ কি  কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়
তমদ্দুন মজলিশ কি  কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়

তমদ্দুন মজলিশ কি | কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়

  • তমদ্দুন মজলিশ কী?
  • অথবা, তমদ্দুন মজলিশ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? 
  • অথবা, তমদ্দুন মজলিশ সম্পর্কে যা জান লিখ। 
  • অথবা, তমদ্দুন মজলিশের কারণ সংক্ষেপে বর্ণনা কর। 
  • অথবা, তমদ্দুন মজলিশ সম্পর্কে টীকা লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী : কর্তৃক পক্ষপাতমূলক ভাষানীতি বিরুদ্ধে প্রতিবাদী বেশ কিছু সংগঠনের জন্ম হয়। তন্মধ্যে তমদ্দুন মজলিশ অন্যতম। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তমুদ্দিন মজলিশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং আরও কতক ব্যাপারে তাদের প্রত্যয় ও অবস্থান ছিল গণমুখী । নিম্নে তমদ্দুন মজলিস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

→ তমদ্দুন মজলিশ : নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হবে এ নিয়ে ভারত বিভাগের পূর্ব থেকে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। আস্তে আস্তে এটি মর্যাদা বা অস্তিত্বের লড়াইয়ে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর এ আন্দোলন ব্যাপক রূপ লাভ করে। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার অধিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তমদ্দুন মজলিশ গঠন করা হয়। দেশ ভাগের পূর্বেই মুসলিম লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং বুদ্ধিজীবীরা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে একমত দেয়। বাংলার বুদ্ধিজীবী সমাজ এ মতের প্রতিবাদ জানায়। এরই প্রেক্ষাপটে ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে উঠে। 

বাংলা ভাষায় শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিস্তারে তমদ্দুন মজলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সূচনায় এ সংগঠনের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তমদ্দুন মজলিশ বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যমে এ আইন আদালতে ব্যবহারের ভাষা হিসেবে ব্যবহারের দাবি উত্থাপন করে এবং এর পক্ষে প্রচারণা শুরু করে। তমদ্দুনের প্রচারণায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী মহলেও ব্যাপক সাড়া পড়ে। ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে তমদ্দুন মজলিশ 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করে। তমদ্দুন মজলিশ সম্পর্কে মোহাম্মদ তোয়াহা বলেছিলেন, “বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা যায় কিনা এ নিয়ে ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী মহলে চিন্তার সূত্রপাত করে তমদ্দুন মজলিশ।” এ তমদ্দুন মজলিশ ছিল ইসলামি আদর্শে প্রভাবিত আধা-রাজনৈতিক এবং আধা-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ।

উপসংহার : আলোচ্য আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলা ভাষা আন্দোলনে তমুদ্দিন মজলিশের অবস্থান ছিল পূর্ব বাংলার জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। ভাষা আন্দোলনে তমুদ্দিন মজলিশের পথিকৃতের ভূমিকা এ সংগঠনের জন্য এনে দিয়েছে উদ্যম ও মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীর সমর্থন। ভাষা আন্দোলনের সময় তমুদ্দিন মজলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা যায় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ তমদ্দুন মজলিশ কি | কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তমদ্দুন মজলিশ কি | কার নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিশ গঠিত হয়। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ