একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো  টি।

একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো
একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো

একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো

১৭ জানুয়ারি, ২০২২ 

রবিবার

রাত ১১টা ২৮ মিনিট 

রাজশাহী

আজ ছিল আমার জীবনের প্রথম বনভোজন। বনভোজনের জন্য দিনটি আমাদের কলেজ থেকে নির্ধারিত হয়েছিল। আমরা শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ৮টায় কলেজে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে দেখলাম, আমাদের জন্য ভাড়া করা বাস দুটি আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে। আমরা সবাই একসাথে হওয়ার পর ৯টায় আমাদের গন্তব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবস্থিত ছোট সোনা মসজিদের দিকে যাত্রা আরম্ভ করলাম। যাত্রাপথে আমরা নাচ, গান ও মজাদার কৌতুক করে আনন্দ করলাম । আমরা ১১টার দিকে ছোট সোনা মসজিদে পৌছলাম। গাড়ি থেকে নেমে আমরা সকালের নাশতা করে সবাই একসাথে সোনা মসজিদ দেখতে গেলাম। ছোট সোনা মসজিদ অনেক প্রাচীন একটি মসজিদ। এটি ইট-পাথর দিয়ে নির্মিত। মূল মসজিদের সামনে রয়েছে একটি বড় ফটক। ফটকের পর বেশ খানিকটা খোলা জায়গা। এরপর মূল মসজিদ। মসজিদের ভেতরে বেশ কয়েকটি মেহরাব রয়েছে। যার কারুকার্য অপূর্ব সুন্দর। মসজিদের ভেতরের ডান দিকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ি রয়েছে। মসজিদের বাইরেও বাম দিকে সিঁড়ি রয়েছে, যা দিয়ে মসজিদের ভেতর দেখা যায়। মসজিদের বাইরের মেহরাব ও পিলারের কারুকার্য অত্যন্ত সুন্দর। ছোট সোনা মসজিদের ভেতরেই রয়েছে, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কবর। মসজিদের বাইরের দিকে তাকালে লক্ষ করা যায় কবরস্থানটি। ছোট সোনা মসজিদ দেখা শেষ হওয়ার পর আমরা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সেই সময়ের রাজার নির্মিত ভুলভুলাইয়া এবং এর সংলগ্ন মাজার ও মসজিদ পরিদর্শন করলাম। সেখান থেকে আমরা দুপুরের খাবারের জন্য আবার ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিরে এলাম। খাওয়ার পর আমরা বিনোদনের জন্য মিউজিক্যাল চেয়ার ও উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন করেছিলাম। এ আয়োজনের বিজয়ীদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল। অতঃপর বনভোজন সেখানেই শেষ করে ৬টার সময় আমরা ফেরার জন্য রওনা হলাম। ফেরার পথে আমরা প্রত্যেকের অনুভূতি একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করলাম। আজকের এই বনভোজনের দিনটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি দিন ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একটি বনভোজনের স্মৃতি নিয়ে দিনলিপি লেখো  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ