বসু সোহরাওয়ার্দী চুক্তি কি
বসু সোহরাওয়ার্দী চুক্তি কি |
বসু সোহরাওয়ার্দী চুক্তি কি
- বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি কি?
- অথবা, বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : ব্রিটিশ-ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালের দ্রুত পরিবর্তনশীল অবস্থার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ্যাটলির ফেব্রুয়ারি ঘোষণার (১৯৪৭) পর ভারতবর্ষের স্বাধীনতা একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বসু- সোহরাওয়ার্দী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
→ বসু-সোহরাওয়ার্দী ফর্মুলা/ চুক্তি : অখণ্ড স্বাধীন বাংলার গঠন নিয়ে সোহরাওয়ার্দী ও শরৎ বসুর নীতি-পরিকল্পনা নিয়ে ১৯৪৭ সালে ১২-২০ মে হিন্দু মুসলিম নেতৃবৃন্দ ব্যাপক আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলেন সোহরাওয়ার্দী (বাংলার মুখ্যমন্ত্রী), আবুল হাশিম (প্রাদেশিক লীগ সেক্রেটারি), মোহাম্মদ আলী (বগুড়া, মন্ত্রী), ফজলুর রহমান (ঢাকা, মন্ত্রী), এ. এম. মালিক, কিরণশঙ্কর রায় (বঙ্গীয় কংগ্রেস নেতা), সত্যরঞ্জন বখশী, শরৎচন্দ্র বসু (ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা) প্রমুখ।
১৯৪৭ সালের ২০ মে অখণ্ড স্বাধীন বাংলা গঠন নিয়ে নেতৃবৃন্দ শরৎচন্দ্র বসুর ১ নং উডবার্ন পার্ক, কলকাতার বাসভবনে এক সম্মেলনে অখণ্ড বাংলার শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর খসড়া রচনা করেন। এটিই ঐতিহাসিক ‘সোহরাওয়ার্দী-বসু প্রস্তাব/ চুক্তি' নামে পরিচিত। মুসলিম লীগের পক্ষে আবুল হাশিম ও কংগ্রেসের বসু এতে স্বাক্ষর করেন।
উপসংহার : উরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সোহরাওয়ার্দী-বসু ফর্মুলা স্বাক্ষরিত এবং পরবর্তীতে প্রচারিত হওয়ার পর বাঙালির মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
বঙ্গীয় মুসলিম লীগের একটি গ্রুপ প্রকাশ্যে অখণ্ড স্বাধীন বাংলা প্রস্তাবের বিরোধিতা শুরু করে। তারা ঘন ঘন দিল্লি যাতায়াত শুরু করে এবং লাহোর প্রস্তাবের দোহাই দিয়ে পত্রিকায় সোহরাওয়ার্দী ও হাশিম গ্রুপের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালায় ।
onk help holo porte pere book sara
সত্যিই অসাধারণ
খুব সুন্দর ভাবে করতে পেরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আশা করব আপনি প্রত্যেকটা প্রশ্ন উত্তর দিবেন প্রত্যেকটা বইয়ের,, আমি আপনার ওয়েবসাইটের নিয়মিত দর্শক