করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা | করোনা ভাইরাস রচনা লিখন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা | করোনা ভাইরাস রচনা লিখন জেনে নিবো। তোমরা যদি করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা | করোনা ভাইরাস রচনা লিখন টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা | করোনা ভাইরাস রচনা লিখন  টি।

করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা  করোনা ভাইরাস রচনা লিখন
করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা  করোনা ভাইরাস রচনা লিখন

করোনা ভাইরাস রচনা

ভূমিকা: বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাস একটি আতঙ্কের নাম। প্রধানত জ্বর-সর্দি-কাশির মতো সাধারণ লক্ষণ নিয়ে হাজির হলেও বর্তমানে এ ভাইরাস এটি মানুষের মৃত্যুরও কারণ হয়ে উঠেছে। এর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সতর্কতা সত্ত্বেও এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও করোনাভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশ্বে বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে; ২০২১ সালের জুন ৩য় সপ্তাহ পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের। এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি হয়ে পড়েছে স্থবির। বাংলাদেশেও এই ভাইরাস হানা দিয়েছে তার ভয়ংকর রূপ নিয়ে। ফলে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েছে আতঙ্কিত; হুমকির মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি ।

করোনাভাইরাস কী: করোনাভাইরাস বলতে নির্দিষ্ট একটি ভাইরাসকে বোঝায় না। এটি মূলত একটি পরিবারকে বোঝায়, যেখানে অসংখ্য ভাইরাস একসাথে থাকে। করোনা পরিবারের মাত্র সাতটি ভাইরাসই মানুষকে সংক্রমণ করতে পারে। এই পরিবারের সর্বশেষ আবিষ্কৃত ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে 'নভেল করোনাভাইরাস বা এনসিওভি- ২০১৯'। এই ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগকে বলা হয় 'কোভিড-১৯'।

 নভেল করোনাভাইরাসের উৎস: করোনা পরিবারের ভাইরাসগুলোর দ্বারা আক্রান্ত প্রাণী থেকে এটি মানুষের দেহে ছড়ায়। ২০০২ সালে সার্স করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল বাদুড় থেকে। এছাড়া ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যে মার্স করোনাভাইরাস ছড়িয়েছিল উট থেকে। বর্তমানের নভেল করোনাভাইরাস মূলত কোন প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা। 'এনসিওভি-২০১৯' নামক ভাইরাসটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান নামক এলাকায় সর্বপ্রথম ধরা পড়ে। ধারণা করা হয় উহানে অবস্থিত দক্ষিণ চীন সাগরের সামুদ্রিক খাবারের পাইকারি বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। সেখানে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর মাংস ছাড়াও জীবন্ত সাপ, বাদুড় প্রভৃতি এই ভাইরাসের উৎস হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

যেভাবে ছড়িয়েছে নভেল করোনাভাইরাস: নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে চীনের উহান থেকে। ধারণা করা হয় সেখানকার কোনো ভাইরাস সংক্রমিত প্রাণী থেকে এটি মানুষের দেহে এসেছে। এরপর তা হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। এভাবে একে একে চীনের উহান থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। মানবশরীরে করোনাভাইরাসের প্রভাব: মানবশরীরে ‘এনসিওভি-২০১৯’ ভাইরাস ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। এর প্রভাবে শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় । প্রথমত ‘কোভিড-১৯’ হলে জ্বর দেখা দেয়। এরপর শুকনো কাশি এবং পর্যায়ক্রমে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সাধারণত শিশু ও বৃদ্ধ তথা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা এই ভাইরাসের মাধ্যমে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসসহ ফুসফুসের বিভিন্ন সংক্রমণের শিকার হয়। বর্তমানে করোনাভাইরাসের আরও কিছু ধরন পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ভয়াবহ।

সংক্রমণ: করোনা পরিবারের ভাইরাস মূলত আক্রান্ত প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের শরীরে আসে। এরপর সর্দি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাস মূলত মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। প্রধানত মানুষের শ্বাসনালির জলকণার মাধ্যমে এটি ছড়ায়। ‘এনসিওভি- ২০১৯' নামক ভাইরাসটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে সর্বপ্রথম ধরা পড়ে। ধারণা করা হয় সেখানকার কোনো ভাইরাস সংক্রমিত প্রাণী থেকে এটি মানুষের দেহে এসেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা বাদুড় বা সাপজাতীয় কোনো প্রাণী এই ভাইরাসের উৎস। ২০১৯ থেকে ২০২১-এ এসে করোনাভাইরাসের ধরনে কিছু বিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা আরও বেশি রহস্যময়। বিশেষজ্ঞদের দাবি ‘কোভিড-১৯' মিউট্যান্ট স্ট্রেনটি আরও গুরুতর ও সংক্রামক। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের পাঁচটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এগুলো হলো— যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়া। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার যুক্তরাজ্যের ধরনকে আলফা, ব্রাজিলের ধরনকে গামা, ভারতীয় ধরনকে ডেল্টা, দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনকে বিটা ও নাইজেরিয়ার ধরনকে ইটা নামে নামকরণ করেছে। সম্প্রতি দেশে ভারতীয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ার ধরনের আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ।

লক্ষণ ও প্রতিকার: ‘এনসিওভি-২০১৯' বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে মানবদেহে নিজের অবস্থানের কথা জানান দেয়। বিভিন্ন লক্ষণ দেখে বোঝা যায় মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। প্রধানত ‘কোভিড-১৯' রোগে আক্রান্তের লক্ষণগুলো হলো— জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি। ‘কোভিড-১৯' আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য এখনো পর্যন্ত তেমন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ভাইরাসকে মোকাবেলার ওষুধ আবিষ্কারের জন্য। ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ 'কোভিড-১৯' প্রতিরোধী টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে এবং ব্যাপকভাবে টিকা প্রদানের কাজ চলছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় টিকা আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে। তারা প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগও করেছে এটির। এছাড়া রাশিয়া, ইতালি, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দল দাবি করেছে ‘কোভিড-১৯’ রোগের টিকা আবিষ্কারের কথা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় । প্রায় ৫৮ লাখ লোক ১ম ডোজ টিকার আওতায় আসেন ও ২য় ডোজ টিকা নিয়েছেন প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ। বাংলাদেশ সরকার এর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের কারণেই পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের দেশের আগেই বাংলাদেশের মানুষ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের টিকা পেয়েছেন । 

বিশ্বে করোনার প্রভাব: বর্তমান বিশ্বকে নভেল করোনাভাইরাস স্থবির করে দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিজেদের যোগাযোগবিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সীমিত এবং প্রয়োজনে বন্ধ করে দিয়েছে আকাশপথ, সড়কপথ ও নৌপথে নিজেদের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়াও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বহু দেশ বন্ধ ঘোষণা করেছে স্কুল-কলেজ, বিনোদন কেন্দ্র, অফিস- আদালত; জারি করেছে জরুরি অবস্থা। ফলে গুরুতর প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। তবুও এর বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চীনের উহানে ব্যাপকভাবে এর সংক্রমণের পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে দেখা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, তুরস্ক, রাশিয়া, ইতালি, স্পেন, ইরান ও ব্রিটেন। 'কোভিড-১৯' রোগে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে এসব দেশে।

অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব: নভেল করোনাভাইরাস অর্থনীতিকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত। এর প্রভাবে মোটরগাড়ির শিল্প, পর্যটন শিল্প, শেয়ারবাজার, তেলের বাজারে দেখা দিয়েছে মন্দা। বিশ্ব অর্থনীতি হয়ে পড়েছে স্থবির। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অফিস-আদালত-কলকারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই ভাইরাসের প্রভাবে। ফলে উৎপাদন হয়েছে বন্ধ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নভেল করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণার পরপরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ারাবাজারে ব্যাপক ধস নামে। মানুষের সান্নিধ্যে এই ভাইরাস ছড়ায় বলে বিশ্বের, পর্যটন শিল্পগুলোও বন্ধ হয়ে পড়ে । এক দেশ থেকে অন্য দেশ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়, আমদানি-রপ্তানি । ফলে থমকে যায় বিশ্ব অর্থনীতি ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব: বাংলাদেশে প্রথম ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্ত করা হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ভয় ও আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়ে পুরো দেশ। অফিস-আদালত, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব নিচে তুলে ধরা হলো—করোনাভাইরাসের প্রভাবে অচল হয়ে পড়ে দেশের শিক্ষা খাত । দেশে করোনা সংক্রমণের খবরের পর ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে স্কুল- কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বৃদ্ধি করে জুন, ২০২১ পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা পিছিয়ে যায়। যদিও কিছু স্কুল-কলেজ অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল । করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে দেশের স্বাস্থ্য খাত। এমনিতেই জনবহুল এই দেশে হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়, তার ওপর ভাইরাসের প্রভাবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাছাড়া করোনা সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসাসেবীদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা প্রদান করতে হচ্ছে। সরকার এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন করে অনেক ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দিয়েছে; ‘কোভিড-১৯’ রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ইউনিট চালু করেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেয়ারাবাজারে ব্যাপক ধস নামে। মানুষের সান্নিধ্যে এই ভাইরাস ছড়ায় বলে বিশ্বের, পর্যটন শিল্পগুলোও বন্ধ হয়ে পড়ে । এক দেশ থেকে অন্য দেশ যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়, আমদানি-রপ্তানি । ফলে থমকে যায় বিশ্ব অর্থনীতি ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব: বাংলাদেশে প্রথম ‘কোভিড-১৯’ রোগী শনাক্ত করা হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ভয় ও আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়ে পুরো দেশ। অফিস-আদালত, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব নিচে তুলে ধরা হলো—করোনাভাইরাসের প্রভাবে অচল হয়ে পড়ে দেশের শিক্ষা খাত । দেশে করোনা সংক্রমণের খবরের পর ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে স্কুল- কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় ছুটি বৃদ্ধি করে জুন, ২০২১ পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা পিছিয়ে যায়। যদিও কিছু স্কুল-কলেজ অনলাইনে ক্লাস নিয়ে পড়াশোনা এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল । করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে দেশের স্বাস্থ্য খাত। এমনিতেই জনবহুল এই দেশে হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়, তার ওপর ভাইরাসের প্রভাবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাছাড়া করোনা সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসাসেবীদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসা প্রদান করতে হচ্ছে। সরকার এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নতুন করে অনেক ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ দিয়েছে; ‘কোভিড-১৯’ রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ইউনিট চালু করেছে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি হয়ে পড়েছে ভঙ্গুর। ব্যবসায়- বাণিজ্যে মন্দার কারণে দেশের সার্বিক অর্থব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া বৈদেশিক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় তার প্রভাব পড়েছে। দেশে বেকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ। আবার অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারানোয় দারিদ্র্যের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুই থেকে তিন শতাংশে নেমে যেতে পারে। অথচ অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল আট দশমিক দুই শতাংশ । দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় করোনার প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে বিমান চলাচল। তবে ক্রমশ বিমান চলাচল ও যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলো স্থবিরতা কাটিয়ে উঠছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় সরকার জনগণের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে পরিবহণ বন্ধ ঘোষণা করে । ফলে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক, রেল ও নৌ চলাচল । এতে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে না। বিশেষ প্রয়োজনে যাদের বের হতে হয়েছে তাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়: ‘কোভিড-১৯' একটি সংক্রামক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তা একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহেও সংক্রমিত হয়। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের করণীয় হলো—

১. নিয়মিত সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোওয়া ।

২. কারো সঙ্গে হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকা ।

৩. যেখানে সেখানে কফ ও থুথু না ফেলা ।

৪. হাঁচি বা কাশির সময় মুখের সামনে হাতের মধ্যভাগ বা রুমাল দেওয়া।

৫. আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের সংস্পর্শে না আসতে দেওয়া।

৬. সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ বা নাকে স্পর্শ না করা ।

৭. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস আলাদা করে দেওয়া ।

৮. অসুস্থ অনুভূত হলে বাড়িতে সবার থেকে আলাদা অবস্থান করা এবং কারো সংস্পর্শে না যাওয়া ।

৯. প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা।

উপসংহার: নভেল করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে একটি ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করে। এমনভাবে এর বিস্তার ঘটে যে, তা ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় বিশ্ববাসীকে। মারাত্মক ছোঁয়াচে এই ভাইরাস বিশ্বের প্রায় সব দেশেই হানা দেয় । ফলে মনে হয় যেন পুরো পৃথিবী থমকে গিয়েছে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা | করোনা ভাইরাস রচনা লিখন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা | করোনা ভাইরাস রচনা লিখন  টি। যদি তোমাদের আজকের এই করোনা ভাইরাস রচনা pdf লেখা | করোনা ভাইরাস রচনা লিখন  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ