রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব রাজনীতি রচনা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশ রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশ রচনা টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব রাজনীতি রচনা টি।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব রাজনীতি রচনা
রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব রাজনীতি রচনা

রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব রাজনীতি রচনা

ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বে শরণার্থী সমস্যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধ, জাতিগত নিপীড়ন, দারিদ্র্য ইত্যাদির শিকার বাস্তুহারা মানুষ বাঁচার আশায় পাড়ি দিচ্ছে সীমান্ত। বর্তমানে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সম্মুখীন বাংলাদেশ। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ছুটে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ইতোমধ্যে দশ লক্ষ ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই স্রোতের মতো বাংলাদেশে প্রবেশ করছে অসহায় মানুষ। মানবিক বিপর্যয়ের শিকার এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় এবং পর্যাপ্ত সুযোগ- সুবিধা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ইতোমধ্যেই সমস্যাটি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তা সমাধানে বিভিন্ন মহল তৎপর হয়ে উঠেছে।

রোহিঙ্গা কারা: রোহিঙ্গা মূলত মিয়ানমারের পশ্চিম অঞ্চলে বসবাসকারী একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। মিয়ানমারের একটি অঙ্গরাজ্য হলো আরাকান। অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। নবম-দশম শতাব্দীতে আরাকান রাজ্য ‘রোহান' বা ‘রোহাঙ' নামে পরিচিত ছিল। সেই অঞ্চলের অধিবাসীরাই রোহিঙ্গা নামে পরিচিত হয়েছে। সংখ্যায় প্রায় ২০ লক্ষ রোহিঙ্গার অধিকাংশই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পাশে উত্তর রাখাইন রাজ্যের (যার পূর্বনাম আরাকান) তিনটি টাউনশিপে বাস করত। এদের অধিকাংশই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। স্থানীয় উগ্র রাখাইনদের সাম্প্রদায়িক আক্রমণ এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক 'জাতিগত নিধন' অভিযানের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সমস্যার সূচনা: ১৭৮৪ সালে ব্রিটিশরা আরাকান দখলে নিলে বাংলা ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) যোগাযোগ বেড়ে যায়। ভাগ্যান্বেষণে অনেক ভারতীয় ও বাঙালি মিয়ানমারে আসে এবং কালক্রমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে একীভূত হয়ে যায়। ব্রিটিশদের কাছে অভিবাসী এসব মানুষ বেশি গুরুত্ব পায় এবং বিভিন্ন সরকারি পদে আসীন হয়। এ বিষয়টি স্থানীয় রাখাইনদের মনে অসন্তোষের জন্ম দেয়। ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগের সময় রোহিঙ্গারা তাদের অঞ্চলকে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। তাদের এ চেষ্টাকে মিয়ানমারের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে চিহ্নিত করে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বৈষম্য ও নিপীড়নের অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকেও ধরে নেওয়া যায় ।

বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী: ১৯৬২ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পরে ধীরে ধীরে রোহিঙ্গাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য বাড়তে থাকে। সরকারি চাকরিতে তাদের বঞ্চনার শিকার হতে হয় । সেনাবাহিনীতে তাদের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নাগরিকত্ব আইন জারি করে। এ আইন অনুসারে মিয়ানমারে পূর্ণাঙ্গ, সহযোগী ও অভিবাসী— এই তিন ধরনের নাগরিকত্বের বিধান রাখা হয়। এ আইনে রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট একটি গোত্র বলে অস্বীকার করা হয় এবং তাদের পূর্ব বাংলা থেকে আসা অবৈধ জনগোষ্ঠী হিসেবে দাবি করা হয়। ফলে নাগরিকত্ব হারিয়ে কয়েক পুরুষ ধরে বসবাস করা ভিটেতেই রোহিঙ্গারা হয়ে পড়ে উদ্বাস্তু। এরপর থেকে বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ গ্রামেই অবরুদ্ধ করে রাখে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী নাসাকা বাহিনী। সেখানে তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রই নিয়ন্ত্রণ করে এই বাহিনী

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমন: ১৯৭৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের অবৈধ অধিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযানে তাদের সঙ্গ দেয় স্থানীয় রাখাইনরা। এ সময় প্রায় ২ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমারে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়। নির্বাচনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জয়লাভ করে। কিন্তু সামরিক জান্তা সুচির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে । ফলে মিয়ানমার জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে অসন্তোষ। ২১টি এথনিক গ্রুপ মিলে গণতন্ত্র ছিনিয়ে আনার জন্য ‘ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স অব বার্মা' (ড্যাব) গঠন করে। ‘ড্যাব' সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে যুদ্ধের ঘোষণা করলে রোহিঙ্গাদের দুটি সংগঠন তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। সামরিক জান্তা এ সুযোগে সুকৌশলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চিত্রপট সৃষ্টি করে। রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণের জন্য উসকে দেয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনদের। সেই সঙ্গে চলে সামরিক অভিযান। এ সময় নির্যাতনের মুখে প্রায় ২ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এ ধরনের দাঙ্গা ও অভিযান প্রায়ই চলতে থাকে। ২০১২ সালে রাখাইন-রোহিঙ্গা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।'

রোহিঙ্গা সংকট ২০১৭: সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে যে মানবিক সংকট সৃষ্টি হয় তা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় । খুন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে অসংখ্য নারী-পুরুষ। প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা দলে দলে পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। গ্রামের পর গ্রাম সম্পূর্ণরূপে জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ অভিযানকে ‘গণহত্যা' বলে অভিহিত করেছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। রাখাইনে থাকা বাকি রোহিঙ্গারাও বাংলাদেশে আসতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘনবসতিপূর্ণ, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। এরপরও দেশের মানুষের সাহায্য এবং বিভিন্ন দেশ, রেড ক্রস, ইউনিসেফের মতো মানবাধিকার সংস্থা থেকে পাঠানো সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকতার সাথে নিপীড়িত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গৃহীত উদ্যোগ: রোহিঙ্গা সংকটের গভীরতা অনুধাবন করে তা সমাধানে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পক্ষ। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত 'অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট' ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট ৮৮টি সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন পেশ করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির কাছে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান এবং তাদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের সুযোগের বিষয়টিই মুখ্য হয়ে উঠেছে। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিমপ্রধান দেশ মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। খ্যাতনামা সংবাদ সংস্থাগুলোর পাশাপাশি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইত্যাদি প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থা রোহিঙ্গা নির্যাতনের ভয়াবহতার কথা তথ্য-প্রমাণসহ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছে। এর ফলে মিয়ানমার সরকারের ওপর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে করণীয়: নিঃসন্দেহে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ভূমিকাই মুখ্য। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোও এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন—

১. রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করা। ২. রোহিঙ্গারা যাতে প্রয়োজনীয় শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা ।

৩. রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে একতাবদ্ধ ও অধিকার সচেতন করার লক্ষ্যে তাদের মাঝে উপযুক্ত নেতৃত্ব বিকাশের ব্যবস্থা করা।

৪. রোহিঙ্গারা যাতে নির্ভয়ে নিজেদের ভূখণ্ডে অবস্থান করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনে তাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থা করা।

৫. মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব প্রদান করে সে বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা ।

৬. মিয়ানমারে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা । রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগীর নাম বাংলাদেশ। তাই এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকেও যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যেতে হবে । 

রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া: সমগ্র বিশ্ব যখন রোহিঙ্গাদের বিষয়ে নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ তখন বাংলাদেশ সরকার বরাবরের মতোই মানবিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় নোয়াখালি জেলায় হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত চর ঈশ্বর ইউনিয়নে অবস্থিত ‘ভাসানচর’। ভাসানচরের বয়স খুব বেশি নয়। ২০ থেকে ৩০ বছর। ভাসানচরকে রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুতদের আবাসনের স্থান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ‘আশ্রয়ণ-৩' নামে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয় । রোহিঙ্গাদের আবাসনসহ জীবন-জীবিকার জন্য আধুনিক অবকাঠমো নির্মাণ করা হয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামোটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০ টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে লক্ষাধিকের বেশি মানুষের বসবাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর ২০২০ দুপুরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছিল। দ্বিতীয় ধাপে ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ এ আনুমানিক ১ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়। পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন ধাপে সর্বমোট ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ ৬ জুন, ২০২১ তারিখে সরকার আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়।

উপসংহার: রোহিঙ্গা সংকট বর্তমানে বড় ধরনের বৈশ্বিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে । এ সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। অর্থনীতি ও নিরাপত্তা এই দুই ইস্যুতে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন যখন দেখছি আমরা, তখন এ সংকট আমাদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হয়ে এসেছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়বে এ দেশ। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশকে এ বিষয়ে শক্ত ভূমিকা নিতে হবে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক অধিকারের কথা বিবেচনা করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত দ্রুত এ সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব রাজনীতি রচনা

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও বিশ্ব রাজনীতি রচনা  টি। যদি তোমাদের আজকের এই রোহিঙ্গা সংকট ও বাংলাদেশ রচনা  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ