হুদায়বিয়ার সন্ধিকে প্রকাশ্য বিজয় বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হুদায়বিয়ার সন্ধিকে ফাতহুম মুবিন বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হুদায়বিয়ার সন্ধিকে প্রকাশ্য বিজয় বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর  টি।

হুদায়বিয়ার সন্ধিকে ফাতহুম মুবিন বলা হয় কেন
হুদায়বিয়ার সন্ধিকে ফাতহুম মুবিন বলা হয় কেন

হুদায়বিয়ার সন্ধিকে প্রকাশ্য বিজয় বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর

উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে ফাতহুম মুবিন খ্যাত হুদায়বিয়ার সন্ধির গুরুত্ব অপরিসীম। এ সন্ধির ফলেই মুসলমানদের আকাঙ্ক্ষিত বিজয় সূচিত হয়। কোরআন মাজীদে এ সন্ধিকে ফাতহুম মুবিন বা প্রকাশ্য বিজয় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

→ ফাতহুম মুবিন বলার কারণ : হুদাইবিয়ার সন্ধিকে ফাতহুম মুবিন বা মহাবিজয় বলার পিছনে বিভিন্ন কারণ নিহিত রয়েছে। নিম্নে এ সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো :

১. সুস্পষ্ট বিজয় : হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও প্রতিভার পরিচয় এ হুদাইবিয়ার সন্ধিকে মহাগ্রন্থ আল- কুরআন ফাতহুম মুবিন বা সুস্পষ্ট বিজয় বলে অভিহিত করেছেন। হুদাইবিয়ার সন্ধি বাহ্যিক দৃষ্টিতে কুরাইশের অনুকূলে সম্পাদিত হয়েছিল বলে মনা করা হলেও এটা ছিল মুসলমানদের নিরঙ্কুশ বিজয়ের সংকেতস্বরূপ ।

২. যুদ্ধবিগ্রহ থেকে মুক্তি : মক্কার কুরাইশদের সাথে এ সন্ধি স্বাক্ষরের ফলে মুসলমানরা দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিগ্রহ থেকে মুক্তি লাভ করে । এটি ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে ।

৩. রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় মর্যাদা বৃদ্ধি : হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলে মুসলমানদের রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় মর্যাদা অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। কারণ কুরাইশরা মদিনা রাষ্ট্রকে একটি আলাদা ধর্মীয় রাজনৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে লিখিতভাবে স্বীকার করে নিয়েছিল। 

৪. ইসলামের প্রসার : ইসলাম ধর্মের প্রসারের ক্ষেত্রে এ সন্ধির গুরুত্ব অপরিসীম। হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলে মুশরিকরা মুসলমানদের কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। এতে অনেক পৌত্তলিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। যার ফলে ইসলাম ধর্ম খুব তাড়াতাড়ি প্রসার লাভ করতে থাকে।

৫. ইসলামের রাজনৈতিক স্বীকৃতি : হুদাইবিয়া সন্ধির মাধ্যমে ইসলাম প্রথমবারের মতো কাফেরদের কাছ থেকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি লাভ করে । এর ফলে মদিনা রাষ্ট্র একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় ।

৬. মহানবি (সা.)-এর নেতৃত্বের স্বীকৃতি : মুসলমানদের সাথে হুদাইবিয়ার সন্ধির ফলে কুরাইশরা মহানবি (সা.)-কে মদিনার রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকার করে নেয়।

৭. মক্কা বিজয়ের সূচনা : হুদাইবিয়ার সন্ধি মক্কা বিজয়ের পথকে খুব সহজ করে দিয়েছিল। এ সন্ধির ফলে ইসলাম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক তথা সার্বিকভাবে শক্তির অধিকারী হয়। যা অষ্টম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের পথ সুগম হয় ৷

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, হুদায়বিয়ার সন্ধির ফলে আমরা যেরূপ বিজয় লাভ করেছি সেরূপ বিজয় আমরা আর কখনই হইনি। এসব কারণেই হুদায়বিয়ার সন্ধিকে ‘Land mark' অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে অভিহিত করা হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ হুদায়বিয়ার সন্ধিকে প্রকাশ্য বিজয় বলা হয় কেন ব্যাখ্যা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হুদায়বিয়ার সন্ধিকে ফাতহুম মুবিন বলা হয় কেন  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ