মদিনা সনদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মদিনা সনদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মদিনা সনদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর টি।
মদিনা সনদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর |
মদিনা সনদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর
উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মদিনা সনদ সর্বকালের একটি শ্রেষ্ঠ সংবিধান। মহানবি (সা.) প্রণীত মদিনা সনদ সর্বযুগের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মদিনার সুশাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এ সনদ প্রবর্তন করেন। তাই এ সনদ সর্বকালের জন্যেই সর্বশ্রেষ্ঠ বা গুরুত্বপূর্ণ।
→ মদিনা সনদের গুরুত্ব : মদিনা সনদের গুরুত্ব নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান : ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রণীত মদিনা সনদ পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান। ইতোপূর্বে কোনো শাসকই এমন সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করে যান নি। ঐতিহাসিক পি.কে. হিট্টি বলেন, “It was the first written constitution of the world" I
২. ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন : মদিনা সনদের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম একটি ইসলামি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করা হয়। এ রাষ্ট্রের অধীনে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী নির্বিশেষে রাষ্ট্র কর্তৃক সকলের অধিকার নিশ্চিত হবে বলে ঘোষণা করা হয়। পি.কে. হিট্রি বলেন, মদিনার প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে ইসলামি সাম্রাজ্যের ভিত্তিমূল স্থাপন হয় ।
৩. রাজনৈতিক নেতা হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সা.) : আল্লাহর নবি ছাড়াও হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে একজন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিবিদ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন মদিনা সনদ তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। এ সনদটিই মূলত তাঁকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত করে।
৪. ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন : মদিনা সনদের মাধ্যমে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে এক ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে মদিনাবাসীকে ঘোষণা করলেন। এই সনদে ঘোষণা করা হলো বিভিন্ন ইহুদি গোত্র এবং বিশ্বাসীগণ একজাতির অন্তর্গত।
৫. ইসলামি ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা : বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির সম্পর্ক স্থাপন করে মদিনা সনদ রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে। দীর্ঘকালব্যাপী পরিচালিত গৃহযুদ্ধের অবসান করে । এ সনদটি মদিনাবাসীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বীজ বপন করে ৷৬. গোত্রীয় প্রথার বিলোপ : দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান গোত্রীয় প্রথা মদিনা সনদ দ্বারা অপসারিত হয়। স্বৈরাচারী শাসন অথবা শেখতন্ত্রের পরিবর্তে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব নব প্রতিষ্ঠিত ইসলামি প্রজাতন্ত্রে স্বীকৃতি লাভ করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মদিনা সনদ বিশ্বের | ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সনদ। ইতিপূর্বে কোনো শাসকই এমন সনদ প্রণয়ন করতে পারে নি। তাই ধর্ম, রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে মদিনা সনদের গুরুত্ব অপরিসীম। মদিনা সনদের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম একটি ইসলামি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করা হয়।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মদিনা সনদের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মদিনা সনদের গুরুত্ব সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ কর টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।