খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন  টি।

খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন
খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন

 খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন

৭ নভেম্বর, ২০২২

বরাবর

নির্বাহী পরিচালক

বিএসটিআই

তেজগাঁও, ঢাকা ।

বিষয়: খাদ্যে ভেজালের কারণ ও তার প্রতিকার প্রসঙ্গে।

সূত্র: বিএসটিআই/১৭/১০/২০২২

২৮ অক্টোবর, ২০২২

জনাব,

আপনার আদেশপ্রাপ্ত হয়ে ‘খাদ্যে ভেজালের কারণ ও তার প্রতিকার' শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলো ।

খাদ্যে ভেজালের কারণ ও তার প্রতিকার

মানুষ প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো খাবার গ্রহণ করে জীবন ধারণ করে। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অপরিহার্য। তাই জীবনধারণের তাগিদে তারা নানারকম উপাদেয় খাদ্যবস্তু গ্রহণ করে। চাল, ডাল, আটা, তেল, শাক্-সবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস প্রতিটি খাবারের মধ্যে কোনো না কোনো পুষ্টিগুণ রয়েছে, যাতে করে মানুষ খাবার গ্রহণের মধ্য দিয়ে সুস্থ, সুন্দর ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জীবনধারণে সক্ষম হয়।

কিন্তু বর্তমানে আমরা এমন এক সমাজে বসবাস করছি যেখানে ভেজালমুক্ত খাবার দুর্লভ হয়ে পড়েছে। বাজার থেকে যেকোনো খাদ্যবস্তু কিনতে গেলে আগেই ভেজালের প্রসঙ্গ চলে আসে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশিয়ে নিজ স্বার্থ চরিতার্থে নিয়োজিত রয়েছে। তারা কিছু খাদ্যদ্রব্য যেমন— মাছ, সবজি, ফলমূল ইত্যাদি জাতীয় খাদ্যদ্রব্যে কার্বাইড, ফরমালিন, ক্লোরিন নামক কেমিক্যাল ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকে। এক অর্থে বলা যায়, ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে আমরা প্রকৃত ব্যবহার করে দীর্ঘসময় খাদ্যবস্তুগুলোর রং খাদ্যদ্রব্যের পরিবর্তে বিষ গ্রহণ করছি । ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে আমাদের দেহে বিভিন্ন প্রকার রোগ দেখা দিচ্ছে। যে ব্যবসায়ীরা এ ধরনের অসৎ কর্মের সাথে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন তারাও এর কুফলের বাইরে নন ।

খাদ্যদ্রব্যে এসব ভেজালের কারণ অনুসন্ধান করে দেখা যায় প্রধানত কয়েকটি বিষয় এর পেছনে দায়ী—

১. অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা অর্জনের লোভ।

২. পরিমাপে কম দেওয়া।

৩. সবজি, মাছ, ফলমূল ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যের পচনরোধ করা।

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও সুধীমহলের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, নৈতিক মূল্যবোধ ও সর্বস্তরের সচেতনতাই পারে এ অবস্থা

থেকে উত্তরণ ঘটাতে । এক্ষেত্রে ভেজালের প্রতিকার হিসেবে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে-

১. সরকারি মহল কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাজার ও কারখানা তদারকি করা, যাতে করে অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্যদ্রব্যে অখাদ্য বস্তু মিশিয়ে ওজনে কম দিতে না পারে।

২. ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোষী ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ।

৩. জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নানারকম উদ্যোগ গ্রহণ ।

৪. বিএসটিআইতে লোকবল বাড়ানো ।

নিবেদক

মশিউর রহমান, মান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা,

বিএসটিআই, ঢাকা ।

* [এখানে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিবেদকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে]

আর্টিকেলের শেষকথাঃ খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খাদ্যে ভেজালের কারণ ও প্রতিকার শিরোনামে প্রতিবেদন  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ