মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কি | মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কেন

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কি  জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কেন ।

মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কি | মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কেন
মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কি | মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কেন

মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কি | মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কেন

  • মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা কি
  • মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কি 
  • মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কেন
  • মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কেন ব্যর্থ হয়েছিল
  • মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা বলতে কি বুঝ
  • মন্ত্রীমিশন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কেন

উত্তর : ভূমিকা : ১৯৪০ সালের পর থেকে ভারতকে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য যেসব প্রস্তাব দেয়া হয় তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব বা পরিকল্পনা হলো মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা।

→ মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা : এটি ভারতের সাংবিধানিক অগ্রগতি ও ভারতকে অখণ্ড রাখার ব্রিটিশদের শেষ মিশন। ১৯৪৬ সালের ২৪ মে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কেবিনেট দল ভারতে আসেন। এর নেতৃত্ব দেন ভারত সচিব লর্ড পেথিক লরেন্স; অন্য দু'জন হচ্ছেন বাণিজ্য বোর্ডের সভাপতি স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস ও ফার্স্ট লর্ড অব এডমিরালটি এ ভি আলেকজান্ডার। স্বাধীনতার পূর্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও সংবিধান প্রণয়নে তার সংগ্রেস ও লীগের মধ্যে আপোষমূলক পরিকল্পনা প্রণয়নে তারা ব্যর্থ হয়ে ১৬ মে নিজস্ব পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যা মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা নামে পরিচিত। প্রস্তাবসমূহ হচ্ছে-

১. কেন্দ্রে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে। 

২. ব্রিটিশ ভারত ও দেশীয় রাজ্য নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত ভারতীয় ইউনিয়ন গঠিত হবে।

৩. মিশন ও শ্রেণি বা গ্রুপে প্রদেশগুলো বিভক্ত করে।

৪. কেন্দ্রের হাতে থাকবে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও যোগাযোগ দফতরসমূহ। ইউনিয়নের উপর অর্পিত বিষয় ছাড়া অন্য সকল অবশিষ্ট ক্ষমতা প্রদেশ ও করদ রাজ্যগুলোর হাতে থাকবে। প্রত্যেক গ্রুপে একটি গণপরিষদ গঠিত হবে।

৫. ইউনিয়ন গঠনের পর করদ রাজ্যগুলো থেকে রাজকীয় সার্বভৌমত্বের অবসান ঘটবে।

ব্যর্থতার কারণ : মুসলিম লীগ মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তাদের বিবেচনায় প্রদেশ বা গ্রুপ ব্যবস্থার মাধ্যমে পাকিস্তান অর্জনের সম্ভাবনা লক্ষ্য করে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন পরিকল্পনা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তবে তারা স্বাধীন, অখণ্ড ও গণতান্ত্রিক ভারতের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য প্রস্তাবিত গণপরিষদে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করে বা সিদ্ধান্ত নেয়।

অপরদিকে, মুসলিম লীগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করলেও বড় লাট লর্ড ওয়াভেন তা প্রত্যাখ্যান- করেন। মুসলিম লীগ এ পরিস্থিতিতে জুলাই মাসে মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান অর্জন না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দেয়। অথচ পরের মাসেই (আগস্ট ১৯৪৬) বড়লাট কংগ্রেসের নেতা নেহেরুকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। ১৬ আগস্ট মুসলিম লীগ . ভারতের সর্বত্র হরতাল ও প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস পালন করে। ঐ দিনে কলকাতার দাঙ্গা ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং সংবাদপত্রের ভাষ্যে প্রায় ৫০,০০০ লোক হতাহত হয়। সাম্প্রদায়িক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে লর্ড ওয়াভেলের স্থলে লর্ড লুই মাউন্ট ব্যাটেনকে ভারতের বড় লাট নিযুক্ত করেন। লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ভারতে এসে ভারতের প্রধান দুই দলের সাথে আলোচনায় বুঝতে পারেন যে মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনার মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব নয়। এর ফলে এ পরিকল্পনা পূর্ববর্তী পরিকল্পনার মতো দুই দল মেনে না নেয়ার কারণে ব্যর্থ হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যদিও মন্ত্রিমিশন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কিন্তু দুই দল এবং লর্ড এর সাথে ঐকমত্য না হওয়ায় তা সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয় এবং এরই সাথে ভারতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চরম মাত্রায় পৌঁছায় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা কেন ব্যর্থ হয়েছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মন্ত্রী মিশন পরিকল্পনা বলতে কি বুঝ  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ