নাইসিফোরাস কে ছিলেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নাইসিফোরাস কে ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নাইসিফোরাস কে ছিলেন ।

নাইসিফোরাস কে ছিলেন
নাইসিফোরাস কে ছিলেন

নাইসিফোরাস কে ছিলেন

উত্তর : ভূমিকা : খলিফা হারুন অর রশিদের রাজত্বকালে | মুসলিমদের সাথে বাইজান্টাইনদের মধ্যকার সংঘটিত যুদ্ধ একটি | তাৎপূর্যপূর্ণ ঘটনা। এ যুদ্ধ সংঘটিত হবার পেছনে নাইসিফোরাসের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। তিনি বারংবার খলিফা হারুন- অর-রশিদের নিকট পরাজিত হয়েছিলেন। তবে বারবারই খলিফা তাকে ক্ষমা করে দেন।

→ নাইসিফোরাসের পরিচয় নিয়ে নাইসিফোরাসের পরিচয় তুলে ধরা হলো :

১. প্রাথমিক পরিচয় : নাইসিফোরাস ছিলেন খলিফা হারুনের সমসাময়িক একজন রোমান সম্রাট। তিনি একজন নাস্তিক মাতার সন্তান। ৮০২ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে তিনি রোমান সাম্রাজ্যের রাজ কোষাধ্যক্ষ ছিলেন ।

২. নাইসিফোরাসের সিংহাসন : ৮০২ খ্রিস্টাব্দে সরকারি কোষাধ্যক্ষ নাইসিফোরাস রাণী আইরিনকে সিংহাসনচ্যুত করে স্বয়ং সম্রাট হন। মুসলমানদের সাথে সম্রাট আইরিনের যে সন্ধি হয়েছিল তা তিনি ভঙ্গ করেন।

৩. নাইসিফোরাসের কর্মকাণ্ডে : বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সম্রাট নাইসিফোরাস খলিফা হারুন-অর-রশিদের নিকট একখানা অপমানজনক পত্র লিখেন। এ ঔদ্ধত্যপূর্ণ পত্র পাঠ করে খলিফা হারুন দ্রুতগতিতে কনস্টান্টিনোপলের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। তিনি যুদ্ধে নাইসিফোরাসকে পরাজিত করে তাকে চুক্তি সম্পাদন ও করদানে বাধ্য করেন। কিন্তু খলিফা কখনো প্রত্যাবর্তন করলে নাইসিফোরাস চুক্তি ভঙ্গ করে। এর ফলে পুনরায় খলিফা তার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাকে পরাজিত করেন। এভাবে পরপর তিনবার নাইসিফোরাসকে পরাজিত করে খলিফা হারুন-অর-রশীদ অপরিসীম শৌর্য বীর্যের পরিচয় দেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নাইসিফোরাস ছিলেন কপট, মূর্ত, অপরিণামদর্শী ও বিশ্বাসঘাতক একজন শাসক। তিনি বারবার খলিফার নিকট পরাজিত হয়ে দুর্বল শাসকরূপে নিজেকে প্রমাণিত করেছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নাইসিফোরাস কে ছিলেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নাইসিফোরাস কে ছিলেন। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ