নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও ।

নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও
নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও

নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও

উত্তর :  ভূমিকা : নাসিবিনের যুদ্ধ আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের তথা ইসলামের ইতিহাসের একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এই যুদ্ধের মাধ্যমে খলিফা আল-মনসুর আব্বাসীয় বংশকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। এই যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দে নাসিবিন প্রান্তরে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে আবু মুসলিম আব্দুলাহ বিন আলীকে পরাজিত করেন।

→ নাসিবিনের যুদ্ধের কারণ : খলিফা আল-মনসুরের খিলাফত লাভের অব্যবহিত পরেই তাঁর চাচা এবং সিরিয়ার শাসনকর্তা আব্দুল্ল- াহ বিন আলী বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। আবুল আব্বাস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আব্দুলাহ যদি জাবের যুদ্ধে দ্বিতীয় মারওয়ানকে সমূলে ধ্বংস করতে পারেন তাহলে পুরস্কারস্বরূপ তাঁকে খিলাফতের উত্তরাধিকারী মনোনীত করবেন। 

সুতরাং প্রতিশ্রুত খিলাফত লাভের আশায় তিনি আল-মনসুরের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলেন। এতে করে নাসিবিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

→ নাসিবিনের যুদ্ধের ঘটনা : খলিফা আব্দুলাহর বিরুদ্ধে আবু মুসলিমকে প্রেরণ করেন। ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে সতের হাজার সুশিক্ষিত বাহিনী নিয়ে আব্দুল্লাহ নাসিবিন নামক স্থানে আবু মুসলিমের সাথে এক তুমুল যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। 

এই যুদ্ধে আব্দুলাহ পরাজিত হয়ে বসরার গভর্নর তাঁর ভ্রাতা সুলায়মানের নিকট পলায়ন করেন। তিনি সেখানে তার ভ্রাতার পদচ্যূতির সময় পর্যন্ত লক্কায়িত থাকেন। এর পর খলিফা আব্দুলাহকে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রদ্বয়সহ হালিমিয়ার অনতিদূরে একটি দুর্গে কারারুদ্ধ করেন। 

সাত বছর বন্দি থাকার পর তাঁকে লবণের ভিত্তিতে নির্মিত একটি প্রাসাদে মহাসমারোহে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু একটা প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাসাদ ধসে পড়ে এবং হতভাগ্য বন্দি ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে প্রাণ হারান।

→ নাসিবিনের যুদ্ধের ফলাফল : নাসিবিনের যুদ্ধের ফলাফল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী ছিল। এ যুদ্ধে জয়লাভের ফলে খলিফা আল মনসুর তার ক্ষমতাকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করেন। কারণ আল মনসুর যদি নাসিবিনের যুদ্ধে জয়লাভ না করতো তাহলে তার ক্ষমতায় থাকা অনেক কঠিন হতো। 

অপরদিকে নাসিবিনের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আব্দুল্লাহ ইবনে আলীর আব্বাসীয় খিলাফতে আরোহণ করার আশা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আবুল আব্বাস প্রতিষ্ঠিত আব্বাসীয় খিলাফত নিষ্কণ্টক ছিল না। আল মনসুর | বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ বংশকে দৃঢ়ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। তার পদক্ষেপগুলোর মধ্যে নাসিবিনের যুদ্ধ ছিল অপরিসীম গুরুত্বের দাবিদার।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ  নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নাসিবিনের যুদ্ধের বর্ণনা দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
2 Comments
  • Anonymous
    Anonymous 24 April

    মাশাল্লাহ। ভাই আপনার লেখা অনেক চমৎকার।জাজাকাল্লাহু

  • Anonymous
    Anonymous 24 April

    Ma sha allah

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ