ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব।

ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব
ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব

ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব

 উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে উমাইয়া শাসন একটি যুগান্ত কারী অধ্যায়ের সূচনা করে। এ যুগেই ইসলামি সাধারণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্রের সূত্রপাত হয় এবং এ খিলাফতেরই একজন খলিফা হচ্ছেন ওমর বিন আব্দুল আজীজ। তিনি খলিফা সুলাইমানের মৃত্যুর পর ৭১৭ সালে উমাইয়া খিলাফতের সিংহাসন অলঙ্কৃত করেন। তাঁর শাসনামলে তিনি মেধা-মনন ও সহনশীলতায় যে উৎকর্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন সমগ্র ইসলামের ইতিহাসে তা বিরল ও সম্মানীয় স্থান দখল করে আছে। তিনি অত্যন্ত চাতুর্যতার সাথে রাজ্য পরিচালনার কাজ সম্পাদন করেছিলেন। ওমর বিন আব্দুল আজিজ উমাইয়াদের স্বেচ্ছাচারী নীতি বর্জন করেন এবং মূলত তার শাসনামলেই উমাইয়া খিলাফত একটি গৌরবোজ্জ্বল শাসনামলের সূচনা ঘটায়।

→ ওমর বিন আব্দুল আজীজের চরিত্র ও কৃতিত্ব : ওমর বিন আব্দুল আজীজ ছিলেন সর্বতোমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনিই হচ্ছেন একমাত্র উমাইয়া খলিফা যার শাসনামলে রাজ্যে শৃঙ্খলা বিরাজমান ছিল। তিনি ছিলেন উন্নত চরিত্রের অধিকারী। নিম্নে তার চরিত্র এবং কৃতিত্ব আলোচনা করা হলো :

১. বিলাসিতা পরিত্যাগ : ওমর বিন আব্দুল আজীজের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি আরাম, আয়েশ, ভোগ- বিলাস এসব জাগতিক আরামদায়ক বস্তুকে কখনোই প্রশ্রয় দিতেন না। বস্তুত পূর্ববর্তী উমাইয়া খলিফাগণ নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে আরাম-আয়েশ এবং ভোগ-বিলাসিতা নিয়ে জীবনের বা খিলাফতকালীন সময়ের অধিকাংশ সময়ই মেতে ছিলেন। পক্ষান্তরে উমাইয়া গোত্রীয় আদর্শ খলিফা দ্বিতীয় ওমর এসব বাহুল্য কাজ কর্ম একদমই পছন্দ করতেন না। তিনি সর্বদাই এসব থেকে নিজেকে বিরত থাকতেন। তিনি হেরাম বা | মদ্যপানকে ঘৃণা করতেন। তার শাসনামলে তিনি সুস্থ মস্তিষ্কে | সুষ্ঠুভাবে রাজ্য পরিচালনা করতেন।

২. স্বজনপ্রীতি পরিত্যাগ : উমাইয়া খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজের চারিত্রিক গুণাবলির মাঝে অন্যতম হচ্ছে তিনি কখনোই স্বজনপ্রীতি করতেন না এবং তিনি নিজেও যেমন স্বজনপ্রীতি করতেন না এবং তার খিলাফতের কোথাও স্বজনপ্রীতি হলে তিনি কঠোরহস্তে তা দমন করতেন। মূলত তিনি যোগ্যতার ভিত্তিতে জনবল নিয়োগ করতেন। উচ্চ রাজকাজেও তিনি মত, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে লোকবল নিয়োগ করতেন। যার ফলে রাজ্যের কোথাও বিদ্রোহ দেখা দেয়নি বস্তুত তার জনসমর্থন দিন দিন বেড়েই চলেছিল ।

৩. সততা ও নিষ্ঠা : সততা ও নিষ্ঠা ছিল খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজের চারিত্রিক গুণাবলির মাঝে অন্যতম। তিনি নিজেও যেমনি কখনো অসৎ পন্থা অবলম্বন করেননি, ঠিক তেমনি অন্যান্য কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণও যেন সৎ ও সাবলীলভাবে জীবনযাপন করতে পারে সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছিলেন। তিনি যেমনি ছিলেন সৎ তেমনি নিষ্ঠার সাথে রাজ কার্য পরিচালনা করতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। তিনি শাসনভার গ্রহণের পর থেকে লোভী ও স্বার্থান্বেষী উমাইয়াদের কর্তৃক সৃষ্ট হাজারো বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন তবুও তিনি তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।

৪. ধর্মপরায়ণতা : খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার শাসনামলে ইসলাম ধর্মের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লক্ষ্য করা যায়। তিনি কোরআনে হাফিজ ছিলেন এবং বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্রে পান্ডিত্য অর্জন করেছিলেন। উমাইয়া খলিফাদের মাঝে তিনিই সর্বপ্রথম ঘোষণা করেছিলেন যে, “যারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে তাদেরকে জিজিয়া কর প্রদান করতে হবে না এবং অন্যান্য মুসলিমদের ন্যায় তারাও রাজ্যের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।” যার ফলে তার শাসনামলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা অন্য উমাইয়া খলিফাদের শাসনামলে পরিলক্ষিত হয়নি।

৫. নিরপেক্ষতা : খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ একজন নিরপেক্ষ শাসক ছিলেন। তার শাসনামলে তিনি নিরপেক্ষতার সাথে রাজকার্য পরিচালনা করেছিলেন, তিনি যেমনি ছিলেন কঠোর ঠিক তেমনি ছিলেন কোমল। তার চরিত্রে কঠোরতা এবং কোমলতার এক সংমিশ্রণ পরিলক্ষিত হয়। তিনি তার সাম্রাজ্যের সকল অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি নিরপেক্ষভাবে সমাধান করতেন। তিনি তার পূর্ববর্তী উমাইয়া খলিফাগণের দেখানো পথ ত্যাগ করে সমাজে শান্তির জন্য নিরপেক্ষতার আশ্রয় গ্রহণ করেন।

৬. খারিজিদের প্রতি সহানুভূতি : উমাইয়া সাম্রাজ্যের অশান্তি র মূলে ছিল খারিজি বিদ্রোহ। বিভিন্ন উমাইয়া খলিফাদের শাসনামলে বিভিন্ন কারণে খারিজিগণ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কিন্তু উমাইয়া সাম্রাজ্যের চরমশত্রু খারিজি সম্প্রদায় খলিফ ওমর বিন আব্দুল আজিজের রাজত্বকালে শান্তিভঙ্গ করেনি। কেননা খলিফা তাদের প্রতি অত্যন্ত সদয় আচরণ প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি তাদের দাবি-দাওয়া অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে শুনার চেষ্টা করতেন এবং যথা সম্ভব সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করতেন। তিনি অযথাকোনো খারিজির অপর অত্যাচার করেননি এবং খারিজিগণকে যেন কোনো শাসনকর্তা অন্যায়-অত্যাচার করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতেন। তিনি যথার্থই কুফার শাসনকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, যদি খারিজিগণ দেশে গোলযোগ বা রক্তপাত না করে তাহলে তাদেরকে অযথা আক্রমণ করিও না। খারিজিগণ | খলিফা ওমরের বশ্যতা স্বীকার করেছিল। কারণ তাদের মতে | তিনি খোলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শের অনুসারী ছিলেন।

৭. মাওয়ালীদের প্রতি সদয় মনোভাব : মুসলিম সাম্রাজ্যের ভিত্তি সুদৃঢ় করার জন্য দ্বিতীয় ওমর গোত্রীয় কোন্দল ও আরব-অনারব বৈষম্য হ্রাস করার প্রয়াসে উদ্বুদ্ধ হন। তিনি মনে করেন যে, আরব- অনারব এক কথায় সমাজে বসবাসরত সকল মানুষের শান্তিপূর্ণ সহ- অবস্থান, শুভেচ্ছা ও সহযোগিতা না থাকলে সাম্রাজ্যে শাসক এবং শাসিত শ্রেণির উদ্ভব ঘটবে। ফলশ্রুতিতে সাম্রাজ্যের শান্তি বিনষ্ট হবে। মূলত এ কারণেই তিনি আরব মুসলিম এবং অনারব মুসলিম অর্থাৎ মাওয়ালীদের মাঝে বৈষম্য দূরীকরণে যথাসম্ভব চেষ্টা চালান এবং মাওয়ালীদের প্রতি সদয় মনোভাব পোষণ করেন ।

৮. সহজ সরলতা : খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ তার পূর্ববর্তী উমাইয়া খলিফাগণের দেখানো বিভ্রান্তিকর পথ পরিহার করেন এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজর্ষির ন্যায় জীবনযাপন করেন। তিনি জাঁকজমকতা মোটেও পছন্দ করতেন না। সহজ সরল ও সাবলীলভাবে জীবনযাপন করাকেই তিনি আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি তার | খিলাফতকালীন জীবনের পুরোটাই সাবলীলভাবে কাটিয়েছিলেন। ধন সম্পদসহ যাবতীয় জিনিস তাকে মোহগ্রস্ত করতে পারেনি। পূর্ববর্তী উমাইয়া খলিফাগণ যেখানে ধন সম্পদের মোহে আচ্ছন্ন থাকতেন, তারা সর্বদাই রাজ্যবিজয়, দাসী হরণ ইত্যাদি নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। সেখানে খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ একেবারেই সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। আর তাই তাকে দ্বিতীয় ওমর বলে অভিহিত করা হয়েছে।

৯. অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি উদারতা : তিনি নিজে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে ব্যাপক পদক্ষেপ নিলেও, অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি দেখিয়েছেন অভাবনীয় উদারতা। তার শাসনামলে তার সাম্রাজ্যে নতুন ধর্মমন্দির নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও, তিনি ইহুদিদের পুরাতন সিনাগন, খ্রিস্টানদের গীর্জা ও পারসিকদের অগ্নি উপাসনায়গুলি ধ্বংস করেননি। বরং সেগুলো সংস্কার করেন এবং সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দামেস্কে খলিফা ওয়ালিদ কর্তৃক সেন্ট নামক গীর্জাটি মসজিদ রূপে ব্যবহৃত হয়ে আসলেও খালিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজের সময়কালে তা খ্রিস্টানদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে খ্রিস্টানরা ওমর বিন আব্দুল আজীজের প্রতি আনুগত্য মনোভাব পোষণ করেন যার ফলে সেখানে পরবর্তীতে আর কোনো বিদ্রোহ দেখা দেয়নি। এ থেকেই বোঝা যায় অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ কেমন আচরণ করেছিলেন।

১০. রাসূল (সা.)-এর বংশধরদের প্রতি সদয় আচরণ : খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজের শাসনকালের অন্যতম নীতিমালা ছিল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বংশধররা অসম্মানিত বা তাদের মর্যাদার হানি হতে পারে এমন আচরণ কখনোই করেননি। খলিফা সর্বদাই তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। মদিনার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ফিকদ নামক একটি ময়দান বা উদ্যান মহানবি (সা.) ব্যবহার করতেন কিন্তু মারওয়ান তা আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ দুঃখ প্রকাশ করেন এবং খিলাফত লাভের পরে উক্ত উদ্যানটিকে উদ্ধার করেন এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পরিবারবর্গের নিকট হস্তান্তর করেন। মূলত এই উদ্যানের উপার্জিত অর্থ সম্পদেই মহানবি (সা.)-এর পরিবারবর্গের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার কিছুটা হলেও মিটতো ।

১১. হজরত আলী (রা.)-এর বংশধরদের প্রতি সদয় ব্যবহার : খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ তার শাসনামলে পুরো সময়জুড়ে তিনি যে মেধা ও মননশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা ইতিহাসে বিরল। তিনি তার শাসনামলে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বংশধরদের প্রতি যেমনি সদয় ছিলেন ঠিক তেমনি হজরত আলী (রা.)-এর বংশধরদের প্রতিও সদয় মনোভাব পোষণ করছিলেন। এতে করে তার বুদ্ধিমত্তার উৎকর্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়। উমাইয়া বংশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে পূর্ববর্তী সকল উমাইয়া খলিফাগণই আলী (রা.)-এর বংশধরদেরকে ঘৃণার চোখে দেখতো। কিন্তু খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজের শাসনামলে এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। তিনি তাদের সকলের প্রতি সহমর্মিতার মনোভাব পোষণ করছিলেন। অর্থাৎ তার শাসনব্যবস্থার নীতিগুলোর মাঝে অন্যতম ছিল হজরত আলী (রা.)-এর বংশধরদের প্রতি সদয় আচরণ করা।খলিফা ওমর বিন

১২. শক্তিশালী ও সুযোগ্য শাসক : আব্দুল আজীজ একজন বিচক্ষণ, দূরদর্শী, কর্তব্যপরায়ণ ও নীতিজ্ঞানসম্পন্ন শাসক ছিলেন। বিশাল মুসলিম সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়েও তিনি স্বৈরশাসক হিসেবে আত্মপ্রকাশের মধ্যদিয়ে নিজের স্থুল বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেননি। খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ তার বিশাল সাম্রাজ্যের সর্বত্র শাস্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় প্রদান করেন।

১৩. সুশাসক ও প্রজারঞ্জক শাসক : খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ শুধুমাত্র একজন সুশাসকের খ্যাতিই অর্জন করেননি, বরং তিনি প্রজাহিতৈষী শাসক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি সর্বদা প্রজাদের সুযোগ-সুবিধার চিন্তা করতেন। তিনি প্রজাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য নানাবিধ জনকল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করেছিলেন। তিনি অসংখ্য খাল, হাসপাতাল, সেতু, রাস্তাঘাট ইত্যাদি নির্মাণ করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খলিফা ওমর বিন আব্দুল আজীজ নিঃসন্দেহে উমাইয়া খলিফাদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। তিনিই একমাত্র খলিফা যিনি আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসে নিমজ্জিত না থেকে খিলাফতকালের পুরোটা সময় সাম্রাজ্যের তথা জনসাধারণের কল্যাণের কথা ভেবেছেন। তার শাসনামলে তিনিই সর্বপ্রথম উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, রাজ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত ব্যতীত রাজ্য সম্প্রসারণের দিকে মনোনিবেশ করাটা নিছক বুদ্ধিহীনতার পরিচয় মাত্র। আর তাই তিনি রাজ্যপ্রসারণের চেয়ে তার সাম্রাজ্যের শান্তি নিয়ে ভাবতেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ওমর বিন আব্দুল আজিজের চরিত্র ও কৃতিত্ব  । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ