প্রথম দিনের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিনলিপি | সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো  টি।

সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো
সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো

প্রথম দিনের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিনলিপি | সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো

১৪ অক্টোবর, ২০২২

 শুক্রবার

সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট 

খুলনা

আজ সারাদিন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে বেড়ালাম। ছেলেবেলা থেকেই সুন্দরবন সম্পর্কে অনেক গল্প শুনেছি। সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশ অংশে এটি খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাজুড়ে বিস্তৃত। আমরা গতকাল সুন্দরবন দেখতে গিয়েছিলাম। রাত ১০টার পর বাসে করে মোংলা রওনা দিলাম। সারারাত বাস ভ্রমণ শেষে আমরা খুব ভোরে মোংলা পৌছলাম । মোংলা থেকে নৌকা করে চললাম সুন্দরবন দর্শনে। কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের প্রায় ১১টা বেজে গেল। মুগ্ধ নয়নে দেখলাম, বনের ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে ছোটো নদী । এছাড়া বনের ভেতরে বন বিভাগ কর্তৃক সরু রাস্তা রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। আমরা সে রাস্তা ধরে বনের ভেতরে প্রবেশ করলাম। প্রথমেই আমাদের অভ্যর্থনা জানাল একটি বানর, সে আমাদের দিকে বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। আরও দেখলাম সুন্দরবনের মায়াবী হরিণের অপলক দৃষ্টি! একটি প্রকাণ্ড গাছের গুঁড়ির ওপর দেখা মিলল বিশাল এক অজগর সাপের। এছাড়া আরও দেখেছি কচ্ছপ, গিরগিটি, কুমির। এসব দেখার পর আমরা দুপুরে বন বিভাগের একটি রুমে ফিরে এলাম কিন্তু আমি যা দেখার জন্য অত্যধিক রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম তা হলো সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। দুপুরে খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা বিকেলের দিকে আবার চললাম বনের ভেতরে। অনেক দূর যাওয়ার পর কোনো কিছুর দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে যখন ফিরে আসছিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা। হঠাৎ একটা গর্জন শুনতে পেলাম, তখনই বুঝলাম আমার সেই প্রত্যাশিত প্রাণীর দেখা পেতে যাচ্ছি। আমরা অত্যন্ত সন্তর্পণে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম। দেখলাম একটি বাঘ সেই ঝোপটার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার রাশভারী প্রতিটি ধাপে আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল । এছাড়া সুন্দরবনে রয়েছে উদ্ভিদবৈচিত্র্য। বনের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী, গেওয়া, গরান এবং কেওড়া গাছ দেখতে পেলাম। আরও ছিল গোলপাতা গাছের সারি। সব কিছু মিলিয়ে দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে আছে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুন্দরবন ভ্রমণের দিনলিপি রচনা করো  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ