আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর ।

আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর
আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

উত্তর : ভূমিকা : আবুল আব্বাস ছিলেন আব্বাসীয় বংশের প্রথম শাসক আস-সাফফাহ ছিল তার উপাধি। তিনি ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৫৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত আব্বাসীয় খিলাফতে অধিষ্ঠিত ছিলেন। 

তিনি তার শাসনামলে আব্বাসীয় বংশের স্বার্থ রক্ষার জন্য যে কোনো প্রকার নৃশংসতা এবং বিশ্বাসঘাতকতার আশ্রয় গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করেননি। 

মৃত্যুর পূর্বে তিনি ভ্রাতা আবু জাফরকে তাঁর উত্তরাধিকারী এবং ভ্রাতুষ্পুত্র ঈশাকে তৎপরবর্তী ভাবী উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান ।

→ আবুল আব্বাসের চরিত্র ও কৃতিত্ব : নিম্নে আবুল আব্বাস আস্-সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব বর্ণনা করা হলো :

১. উন্নত চরিত্রের অধিকারী : আবুল আব্বাস সদাশয়, কর্তব্যপরায়ণ এবং ভোগাসক্তিবিহীন নরপতি ছিলেন। একাধিক দ্বার পরিগ্রহ করার যুগেও তার উম্মে সালমা নামে একমাত্র স্ত্রী ছিল। 

কোনোরূপ উপপত্নী গ্রহণ করে তিনি তার চরিত্রকে কলঙ্কিত করেননি। শাসক হিসেবে নিষ্ঠুর হলেও চরিত্রবান নরপতি হিসেবে তিনি নিঃসন্দেহে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।

২. কঠোর শাসক : আবুল আব্বাস আস্-সাফফাহ অত্যন্ত কঠোর শাসক হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন। শত্রুকে তিনি কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করেননি।

৩. নিষ্ঠুরতা : আবুল আব্বাস আস্-সাফফাহ-এর চরিত্রের সবচেয়ে সমালোচিত দিক ছিল তার নিষ্ঠুরতা। তার নিষ্ঠুর আচরণের জন্য তিনি ইতিহাসে 'রক্ত পিপাসু' নামে পরিচিত হয়ে রয়েছেন। 

এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিক ওয়েল বলেন, “আবুল আব্বাস শুধু বর্বর পাষণ্ডই ছিলেন না, ভুয়া অঙ্গীকারকারী এবং কৃতঘ্ন বিশ্বাসঘাতকও ছিলেন।"

৪. রাজধানী স্থাপন : আবুল আব্বাস আস্-সাফফাহ আল- আনবারের নিরাপদ পরিবেশে প্রথম আব্বাসীয় রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি কতগুলো অট্টালিকা নির্মাণ করান, কুফা হতে মদীনা.পর্যন্ত দীর্ঘ জনপথ তৈরি করান এবং হজ্বযাত্রীদের সুবিধার জন্য এই পথের বিভিন্ন স্থানে সরাইখানাও নির্মাণ করান ।

৫. দূরদর্শিতা : আবুল আব্বাস আস্-সাফফাহ লোক নির্বাচনের ক্ষেত্রে অসাধারণ অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় দেন। নিজ পরিবারের লোকজন এবং সমর্থকগণকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত করে তিনি দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। 

অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী মেকী বংশের উদ্ভর তার সময়ই সূচিত হয়েছিল। নিজের পুত্রের পরিবর্তে ভ্রাতা আবু জাফরকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে তিনি বংশের স্বার্থ রক্ষা করেছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আবুল আব্বাসের চরিত্রে একই সাথে নিষ্ঠুরতা দূরদর্শিতা ও কর্তব্যপরায়ণতা লক্ষ্য করা যায় । তবে তিনি তার নিষ্ঠুর আবরণের দ্বারা ঐতিহাসিকদের নিকট সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছিলেন। 

তবে কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে সে সময়ের প্রেক্ষাপটে আবুল আব্বাসের নিষ্ঠুর ও কঠোর হওয়ার বিকল্প কোনো পথ ছিল না ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আবুল আব্বাস আস সাফফাহর চরিত্র ও কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ