আহমদ ইবনে তুলুন কে ছিলেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আহমদ ইবনে তুলুন কে ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আহমেদ ইবনে তুলুন সম্পর্কে যা জান লিখ।

আহমদ ইবনে তুলুন কে ছিলেন
আহমদ ইবনে তুলুন কে ছিলেন

আহমদ ইবনে তুলুন কে ছিলেন

  • অথবা, আহমেদ ইবনে তুলুন সম্পর্কে যা জান লিখ। 
  • অথবা, আহমেদ ইবনে তুলুন সম্পর্কে একটি টিকা লিখ। 
  • অথবা, আহমেদ ইবনে তুলুনের পরিচয় দাও ।

উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসনামলে পূর্বাঞ্চলে যেমন বিভিন্ন রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পশ্চিম অঞ্চলে তেমনি বিভিন্ন রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়। পশ্চিম অঞ্চলে যেসব রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয় তন্মধ্যে তুলুনীয় বংশ উল্লেখযোগ্য। এটি নবম শতাব্দীর শেষ দিকে মিশরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আহমেদ ইবনে তুলুন।

আহমেদ ইবনে তুলুনের পরিচয় : আহমেদ ইবনে তুলুনের পিতা ছিলেন একজন তুর্কী ক্রীতদাস। তার জন্মের কয়েক বছর পর তার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আহমেদ ইবনে তুলুন এর মায়ের আমির বাবক নামক এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ হয়। 

আমির বাবক মিশরের জায়গির পদ লাভ করেন। আহমেদ ইবনে তুলুন পিতার যোগ্য উত্তরাধিকারী হয়ে এবং রাজকীয় পরিবেশে লালিত পালিত হয়। তিনি ৮৬৮ সালে মিশরের উপগভর্নর পদে নিযুক্ত হন। এর কিছু দিন পরে আহমেদ ইবনে তুলুন গভর্নর পদ লাভ করেন ৷

আহমেদ ইবনে তুলুন কর্তৃক তুলুনীয় বংশ প্রতিষ্ঠা : আহমেদ ইবনে তুলুন ছিলেন মিশরে তুলুনীয় প্রতিষ্ঠাতা। সামরিক ও প্রশাসনিক দক্ষতা অর্জন করে আহমেদ ইবনে তুলুন ক্ষমতালোভী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠেন। আব্বাসীয় খলিফা কর্তৃক তিনি সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের শাসন ক্ষমতা লাভ করেন। 

তিনি বাইজান্টাইনের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী শহরগুলোর উপর আক্রমণ করে রাজ্য সীমানা বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। এতে তিনি ব্যর্থ হয়ে খুৱাইমাও অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। আহমেদ ইবনে তুলুনও মোয়াফফাক মধ্যে এ নিয়ে যুদ্ধ বাধে যা তিন বছর ধরে চলে। 

এরপর উভয়ের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়। এই শান্তিচুক্তি অনুযায়ী মোয়াফফাক আহমেদকে সিরিয়ার দামেস্কে ও ফিলিস্তিন বংশানুক্রমে শাসন করার অধিকার প্রদান করেন। এতে করে মিশর আব্বাসীয় খিলাফতের কেন্দ্রীয় শাসন হতে মুক্ত হয়। এভাবে মিশরে তুলুনী বংশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তুলনী বংশের প্রতিষ্ঠা হিসেবে আহমেদ ইবনে তুলুনের অবদান অত্যাধিক। মোয়াফফাকের জায়গির ব্যবস্থার ফলে আহমেদ ইবনে তুলুন | অতি সহজেই একটি বংশ প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিলেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আহমেদ ইবনে তুলুন সম্পর্কে একটি টিকা লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আহমেদ ইবনে তুলুনের পরিচয় দাও । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ