আহমদ ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আহমদ ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। তুমি কি মনে কর এ মসজিদটি উমাইয়া ও আব্বাসীয় যুগে মসজিদ স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আহমদ ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। তুমি কি মনে কর এ মসজিদটি উমাইয়া ও আব্বাসীয় যুগে মসজিদ স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত।

আহমদ ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। তুমি কি মনে কর এ মসজিদটি উমাইয়া ও আব্বাসীয় যুগে মসজিদ স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত

আহমদ ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় যুগে নির্মিত ইবনে তুলুন মসজিদ মুসলিম স্থাপত্যের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। কৃতদাস তুলুনের পুত্র আহমদ ইসলামের ইতিহাসে ইবনে তুলুন নামে পরিচিত। এই ইবনে তুলুনই মিশরের কায়রোতে এ মসজিদ নির্মাণ করেন। 

তার নামানুসারে এ মসজিদের নামকরণ করা হয় আহমদ ইবনে তুলুন। তৎকালীন সময়ে তিনি আব্বাসীয় খলিফার দুর্বলতার সুযোগে স্বীয় প্রতিভা বলে ৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে মিশরের গভর্নর পদে নিযুক্ত হন। তিনি ফুস্তাত এবং কায়রোর মাঝামাঝি আল কাপ্তাই নামক স্থানে ৮৬৯-৭০ খ্রিস্টাব্দে একটি উপশহর গড়ে তুলেন। 

তিনি এ স্থানে অনেক স্থাপত্য নিদর্শন গড়ে তুলেন। তার মধ্যে ইবনে মসজিদ অন্যতম। এ মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য ছিল আকষর্ণীয় সৌন্দর্যমণ্ডিত। তবে এ মসজিদে উমাইয়া ও আব্বাসীয় উভয় যুগের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। ইবনে তুলুন মসজিদ মুসলিম স্থাপত্যের ইতিহাসে অমর কীর্তি।

পটভূমি : ইবনে তুলুন মসজিদ নির্মাণের পশ্চাতে একটি পটভূমি রয়েছে। এ মসজিদ স্থাপনের পূর্বে মুসলমানদের রাজধানী ফুস্তাতের মসজিদ ব্যতীত নামাজ আদায় করার মতো অপর কোনো মসজিদ ছিল না। এ কারণে এখানকার মুসলমানগণ ইবনে তুলুনের নিকট নামাজ আদায়ের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণের দাবি করেন। 

ইবনে তুলুন তাদের দাবি স্বীকার করে। “জবল তুসার" একটি উঁচু পাহাড়ের উপর একটি নতুন মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। আল মাদায়েন নামে এ মসজিদ স্থাপিত হলে পরে ইবনে তুলুন মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে ।

নির্মাণকাল : আরব ঐতিহাসিকদের মতে, ইবনে তুলুন ৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে আল আতাইয়ে এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং মসজিদের একটি অনুলিপি থেকে জানা যায় যে, এ মসজিদের নির্মাণ কাজ ৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়।

→ আহমদ ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য : ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় ছিল। নিম্নে এ মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো-

১. নির্মাণ উপকরণ : এ মসজিদ নির্মাণে পোড়ামাটি ব্যবহার করা হয়। এ মসজিদের ইটগুলো ছিল লাল বর্ণের। আর ছাদ | নির্মাণে কাঠের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। তবে ইটগুলোকে সংযুক্ত করেছিল এক ইঞ্চি মোটা গার্ট। এ ধরনের বন্ধন সৃষ্টিকারী পদ্ধতিটি "English Bond" নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া মোজাইকের ব্যবহার লক্ষ করা যায় ।

২. আয়তন : আয়তাকার আকৃতিতে ইবনে তুলুন মসজিদ নির্মিত ছিল। এ মসজিদের বহিরাংশের দৈর্ঘ্য ৪৬০ ফুট এবং প্রস্থ ৪০১ ফুট ছিল। মসজিদটি সমান্তরাল থেকে উঁচুতে অবস্থিত কিবলা মুখ ব্যতীত অপর ৩ দিকে ৬২ ফুট প্রশস্ত যিয়াদা সংযুক্ত হওয়ার ফলে অনেকটা বর্গক্ষেত্রের মতো হয়। 

এ বর্গক্ষেত্রের পরিমাপ দক্ষিণ পূর্ব দিকে ৫৩১ ফুট এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ৫৩২.৫ ফুট। এ মসজিদটির আয়তন ছিল প্রায় সাড়ে ছয় একর ।

৩. প্রবেশ পথ : ইবনে তুলুন মসজিদের প্রবেশ পথ আকর্ষণীয় ছিল। এ মসজিদের উত্তর-পূর্বে ৭টি, উত্তর-পশ্চিমে ৫টি, দক্ষিণ-পূর্বে ৪টি এবং দক্ষিণ পশ্চিমে ৭টি প্রবেশ পথ ছিল। এভাবে সর্বমোট ৩২টি প্রবেশ পথ ছিল। এ সমস্ত প্রবেশ পথ বরাবর যিয়াদা প্রাচীরে কতকগুলো প্রবেশ পথ ছিল ।

৪. মসজিদের ছাদ : এ মসজিদের ছাদ নির্মাণের প্রধান উপকরণ ছিল কাঠ। মসজিদের ছাদটির নির্মাণশৈলী অত্যন্ত চমৎকার ছিল। মূল কাঠের ছাদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় নতুন কাঠ দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়। কাঠের তক্তাবিশিষ্ট ছাদ মোটা কাঠের উপর নির্মিত এবং সমান্তরাল।

৫. লিওয়ান : আব্বাসীয় যুগের মসজিদ স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন লিওয়ানের নির্মাণ। ইবনে তুলুন মসজিদে একটি লিওয়ান নির্মিত হয়েছিল। পিলারের উপর নির্মিত দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এ লিওয়ানের ৫টি আইলে ১৭টি কৌণিক খিলান সংযোগে গঠিত। 

১৫ ফুট দূরে অবস্থিত প্রতিটি পিলারের উচ্চতা | ছিল ১৪.৫০ ফুট। খিলানগুলো ছিল কোণাকৃতির এবং ৯২ ফুট পর্যন্ত সম্প্রসারিত। খিলান সহযোগে গঠিত পিলারগুলো ৮ ফুট প্রশস্ত এবং ৪.৫০ ফুট গভীর ছিল

৬. সাহন : ইবনে তুলুন মসজিদের অপর স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য | ছিল সাহন নির্মাণ। এ সাহনটি বর্গাকৃতির ছিল। এটার এক একটি পরিমাপ ছিল ৩০২ ফুট। সাহনের মাঝখানে একটা ফোয়ারা ছিল। 

ইবনে দুমাকের তথ্য মতে, ফোয়ারার উপর স্বর্ণমণ্ডিত গম্বুজবিশিষ্ট ছত্রী ছিল। ছত্রীটির ভিতরে ১০টি এবং বাইরে ১৬টি মর্মর স্তম্ভের উপর স্থাপিত ছিল। অগ্নিকাণ্ডে ফোয়ারাটি ৮১৬ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

৭. মিনার : ইবনে তুলুন মসজিদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য | স্থাপত্য নিদর্শন হলো মিনার। মিনারটি মসজিদের ইমারত ও বহিঃপ্রাচীরের মধ্যবর্তী স্থানে ছিল। এটি চুনাপাথর দ্বারা উত্তর- পশ্চিম দিকে ৪টি স্তরে নির্মাণ করা হয় । প্রথম স্তরটি ৭০ ফুট উঁচু এবং বর্গাকৃতি। 

দ্বিতীয় স্তরটি ২৯ ফুট উঁচু এবং গোলাকৃতি। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্তরটি অষ্টভুজ আকৃতির। শেষ স্তরে একটি শিরান গম্বুজ আছে। ভূমি থেকে শিরান গম্বুজের উচ্চতা ১৩৩ ফুট ছিল । মসজিদের সাথে মিনারটি সেতু দ্বারা সংযুক্ত ।

৮. মিহরাব : ইবনে তুলুন মসজিদে মিহরাব নির্মাণ করা হয়েছিল। এ মসজিদের প্রধান মিহরাব ছাড়াও ৫টি মিহরাব ছিল। প্রধান মিহরাবটি প্রস্থে ৪ ফুট এবং গভীরতায় ৩.৫ ফুট। অবতল আকৃতির এ মিহরাবটি কিবলা প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ।

১০. রিওয়াক : আব্বাসীয় মসজিদ স্থাপত্যে রিওয়াক পরিলক্ষিত হয়। এ মসজিদের কিবলার দিকে ছাড়াও বাকি তিন দিকে ২টি করে খিলান শ্রেণি নির্মাণ করে দুই আইল বিশিষ্ট রিওয়াক নির্মিত হয়। 

উত্তর-পশ্চিম দিকের রিওয়াকের খিলান শ্রেণি নামাজ গৃহের খিলান সারির ন্যায় ১৭টি খিলান স্থাপন করা হলেও উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের খিলান শ্রেণি উপরিউক্ত দু'দিকের খিলান সারিতে সংযুক্ত করায় সাহন হতে এদের মাত্র ১৩টিতে দেখা যায়। সংযোগকারী স্তম্ভসমূহ T আকারে নির্মিত ।

১১. গম্বুজ : এ মসজিদের মিহরাবের সম্মুখে একটি গম্বুজ নির্মিত হয়। গবেষকদের ধারণা যে, গম্বুজটি ত্রয়োদশ শতকে মামলুক সুলতান লাজিন কর্তৃক নির্মিত। গম্বুজটি কাঠ দ্বারা নির্মিত। মূল গম্বুজটি ধসে পড়লে ড্রামের উপরে গম্বুজটি স্থাপিত হয় । ড্রামের ৮টি জানালা ছিল।

১২. দারুল ইমারা : প্রতি শুক্রবার নামাজের পূর্বে ইমাম কাপড় বদল করতো এবং বিশ্রাম নিতেন। মারকিজীর তথ্যানুসারে মসজিদ নির্মাণের সময় কিবলা প্রাচীর সংলগ্ন একটি দারুল ইমরা নির্মাণ করা হয়। মসজিদের দেওয়ালের একটি দরজা দিয়ে মিহরাবের একটি মাকসুরায় প্রবেশ করা যেত। এ দরজা এখনও বিদ্যমান।

১৩. ওজুর ব্যবস্থা : ইবনে দুমা বলেন, ইবনে তুলুনের মসজিদের উত্তর-পশ্চিম দিকের আবেষ্টনী প্রাচীর ও যিয়াদা প্রাচীর মধ্যবর্তী স্থানে ওজুর জন্য জলাধার নির্মাণ করা হয়েছিল ।

১৪. যিয়াদা : এ মসজিদের কিবলা প্রাচীর ব্যতীত অপর ৩ দিকে যিয়াদা বেষ্টিত ছিল । এটা ২৬.২৫ ফুট উঁচু এবং ৪.৫০ ফুট চওড়া ছিল । মসজিদের প্রাচীর হতে ৬২ ফুট দূরে যিয়াদা নির্মিত ছিল। মূলত বাজারের ও বাইরের কোলাহল থেকে মুক্তলাভের জন্য এটি নির্মিত হয় ।

১৫. অলঙ্করণ : ইবনে তুলুন মসজিদের অলঙ্করণ অতি বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ছিল যা মসজিদের সৌন্দর্যকে মহিমান্বিত করেছিল । এ মসজিদে লাল ইটের উপর পলেস্তারের আস্তর দিয়ে নকশা কাটা হয়। মসজিদের উপরাংশ জানালা দ্বারা সজ্জিত ছিল। 

জানালাগুলো জ্যামিতিক নকশায় অঙ্কিত ছিল। মিহরাবের ঊর্ধ্বাংশ কাচ মোজাইক এবং নিম্নাংশ মর্মর পাথর দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। এ মসজিদের ভিতরের অংশ খুবই সাধারণ ছিল কিন্তু বাইরের অংশ ছিল জাঁকজমকপূর্ণ।

→ উমাইয়া যুগের স্থাপত্যের সাথে সাদৃশ্য : নিয়ে উমাইয়া যুগের স্থাপত্যের সাথে ইবনে তুলুন মসজিদের সাদৃশ্য নির্ণয় করা হলো-

১. গোলাকার মার্বেল স্তম্ভ : উমাইয়া স্থাপত্য রীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল গোলাকার মার্বেল স্তম্ভের ব্যবহার। যেমন: দামেস্ক জামে মসজিদে এ ধরনের স্তম্ভ ব্যবহৃত ছিল। ইবনে তুলুন মসজিদেও এ ধরনের স্তম্ভের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

২. গোলাকার খিলান : ইবনে তুলুন মসজিদে গোলাকার খিলান ব্যবহৃত ছিল । আর এ খিলান উমাইয়া যুগের স্থাপত্য রীতির বৈশিষ্ট্য ছিল।

৩. সাহন বিশিষ্ট আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনা : উমাইয়া  স্থাপত্য শৈলীর আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল সাহন বিশিষ্ট | আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনা। যেমন- বসরা, কুফা ও দামেস্ক | মসজিদের ভূমি পরিকল্পনা এরূপ ছিল। উমাইয়া অনুকরণে ইবনে তুলুন মসজিদেও এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।

৪. কাঠের বন্ধনী : ইবনে তুলুন মসজিদে কাঠের যে বন্ধনী ব্যবহার করা হয়েছিল তা মূলত উমাইয়া স্থাপত্য রীতির আলোকে ।

৫. মোজাইক : ইবনে তুলুন মসজিদে অলংকরণে মোজাইকের ব্যবহার করা হয়েছিল। উমাইয়া আমলের বসরা, কুফা, দামেস্ক জামে মসজিদের যে মোজাইক ব্যবহৃত ছিল তার সাদৃশ্য ইবনে তুলুন মসজিদে লক্ষণীয়।

→ আব্বাসীয় স্থাপত্যের সাথে সাদৃশ্য : আব্বাসীয় স্থাপত্যের সাথে ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্যে যে মিল আছে তা তুলে ধরা হলো-

১. বেষ্টনী প্রাচীর : আব্বাসীয় মসজিদ স্থাপত্যরীতির উল্লেখযোগ্য | বৈশিষ্ট্য ছিল শক্তিশালী বেষ্টনী প্রাচীর। এ ধরনের প্রাচীর ইবনে | তুলুন মসজিদেও ছিল।

২. মিহরাবের পাশে স্তম্ভ : ইবনে তুলুন মসজিদ এবং আব্বাসীয় সামররা মসজিদের মিহরাবের পাশে এক জোড়া স্তম্ভ ছিল ।

৩. কাঠের লিনটেল : উভয় মসজিদেই কাঠের লিনটেল বা সফল দ্বারা নির্মিত ।

৪. প্রবেশ পথ : আব্বাসীয়দের নির্মিত সামাররা জামে মসজিদে কিবলার দিকে প্রবেশ ছিল। পরবর্তীকালে ইবনে তুলুন মসজিদে এরূপ পথ নির্মিত হয় ।

৫. প্যাচানো সিঁড়ি : ইবনে তুলুন মসজিদ এবং সামাররা জামে মসজিদে প্যাচানো সিঁড়ি ব্যবহৃত হয়েছে।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলা যায় যে, মুসলিম স্থাপত্যের ইতিহাসে ইবনে তুলুন মসজিদ একটি অমর কীর্তি। এ মসজিদের যে স্থাপত্যিক ও আলঙ্কারিক বৈশিষ্ট্য তা অভূতপূর্ণ। তবে এ মসজিদের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য আব্বাসীয় ও উমাইয়া উভয় স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণ। 

আব্বাসীয় স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যকে উপস্থাপন করতে চাইলেও উমাইয়া | স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্যকে এড়াতে পারেনি। আর এ কারণেই বলা হয়। যে, আহমদ ইবনে তুলুনের মসজিদ উমাইয়া আব্বাসীয় উভয়ই।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ  ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক ও আলঙ্কারিক উপাদানসমূহ আলোচনা কর এবং ব্যাখ্যা কর যে তুলুন মসজিদ উমাইয়া ও আব্বাসীয় উভয়ই

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইবনে তুলুন মসজিদের স্থাপত্যিক ও আলঙ্কারিক উপাদানসমূহ আলোচনা কর এবং ব্যাখ্যা কর যে তুলুন মসজিদ উমাইয়া ও আব্বাসীয় উভয়ই । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ