ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বলতে কি বুঝ ।

ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো
ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো

ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো

  • ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বলতে কি বুঝায়? সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
  • অথবা, ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লিখ? 

উত্তর: ভূমিকা : ম্যাক্স ওয়েবার ছিলেন একজন সমাজবিজ্ঞানী । সমাজবিজ্ঞানে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা ম্যাক্স ওয়েবারের এক অমর সৃষ্টি। 

ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব হলো দুটি মৌলিক প্রত্যয়। ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ম্যাক্স ওয়েবার ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রত্যয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।

→ ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব : ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব হলো দুটি মৌলিক প্রত্যয়। নিম্নে এদের সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া হলো :

(ক) ক্ষমতা : ক্ষমতার ইংরেজি শব্দ Power। ক্ষমতা বলতে, মানুষের আচার ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্যকে বুঝায় ।

অধ্যাপক ফ্রেন্ডারিক বলেন, “ক্ষমতা হচ্ছে এক প্রকার মানবীয় সম্পর্ক।”

এম. জি স্মিথ বলেন, “ব্যক্তি ও বিষয়ের উপর সুদৃঢ়ভাবে তোষামোদ থেকে শুরু করে বলপ্রয়োগ কার্যকরী করার যে সামর্থ্য সেটিই হচ্ছে ক্ষমতা।”

সমাজবিজ্ঞানী D. D. Raphal-এর মতে, “ক্ষমতা বলতে সাধারণত শক্তি দক্ষতাকে বুঝায়। তিনি আরো বলেন সামাজিক দিক থেকে বিচার করলে ক্ষমতা হলো অন্যান্যদের নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করানোর ক্ষমতা।”

(খ) কর্তৃত্ব : কৰ্তৃত্ব কি তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো । আদেশ করার ক্ষমতা এবং সমাজস্থ বহিবর্গের সহজ স্বভাবিক স্বীকৃতি এই দুটি উপাদানের সম্মিলনে যথার্থ কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়। কর্তৃত্বের সাথে বৈধতা বিষয়টি জড়িত।

আদেশ দান করার এবং আদেশের প্রতি আনুগত্য আদায় করার ক্ষমতার অধিকারই কর্তৃত্ব।

সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার-এর মতে, “আদেশ করার ক্ষমতা থাকা এবং জনসাধারণের সহজ স্বীকৃতি লাভ করা এই উভয়ের সংমিশ্রণে যথার্থ কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়।”

আলফ্রেড ডি-গ্রফিয়া এর মতে, “কর্তৃত্ব হলো বৈধ ক্ষমতা।” 

→ কর্তৃত্বের প্রকারভেদ : ওয়েবার তিন ধরনের কর্তৃত্বের কথা বলেছেন। যথা-

১. যৌক্তিক কর্তৃত্ব : যে কর্তৃত্বে আদেশ বৃদ্ধি গ্রাহ্য, আইনসম্মত এবং জনগণ সহজভাবে মেনে নেয় সে কর্তৃত্বকে যৌক্তিক কর্তৃত্ব বলে ।

২. ঐতিহ্যবাহী কর্তৃত্ব : যে ধরনের কর্তৃত্বে ব্যক্তি জন্মসূত্রে ক্ষমতা প্রয়োগ করার অধিকার লাভ করে তাকে ঐতিহাসিক কর্তৃত্ব বলে ।

৩. তন্দ্রজালিক কর্তৃত্ব : যে ধরনের কর্তৃত্বে ব্যক্তি নিজস্ব গুণাবলি বীরত্ব ও চারিত্রিক দৃঢ়তা দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। সে ধরনের তন্দ্রজালিক কৰ্তৃত্ব বলা হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ম্যাক্স ওয়েবারের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ধারণাটি আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। 

ম্যাক্স ওয়েবার সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশে যে অবদান রেখে গেছেন তা সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। 

ম্যাক্স ওয়েবারের দৃষ্টিতে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব হলো সমাজবিজ্ঞানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রত্যয় । তার মতে, কর্তৃত্ব হচ্ছে প্রতিষ্ঠনিক ক্ষমতা ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে পার্থক্য লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ