ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ।

ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ
ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ

ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ

উত্তর : ভূমিকা : ৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইমাম হাসানের প্রপৌত্র ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহ উত্তর আফ্রিকায় ইদ্রিসীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন সময়ে ইফ্রিকিয়ার রাজনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই অস্থিতিশীল ।

ইফ্রিকিয়ায় আঘলাবী শাসন প্রতিষ্ঠা : ৬৯৩ খ্রিস্টাব্দে ইয়াজিদ বিন হাইসাম মুহাবীর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর ভ্রাতা ইয়াজিদ ফজল বিন রুহকে ইফ্রিকিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয় । তিনি মাত্র কয়েক বছর শাসনকার্য পরিচালনা করে মৃত্যুবরণ করেন। ইয়াজিদ ফজল বিন মৃত্যুর পর সেনাবাহিনী তার পুত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। 

এজন্য খলিফা হারসামাকে ইফ্রিকিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। তিনি প্রায় তিন বছর শাসন পরিচালনা করার পরও সেখানকার রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়। এতে রাজস্ব ব্যবস্থার ঘাটতি দেখা দেয়। সেই জন্য কেন্দ্র থেকে ২০ হাজার দিনার দিয়ে বাৎসরিক রাজস্বের | ঘাটতি পূরণ করা হতো। 

ইফ্রিকিয়ার রাজনৈতিক অবস্থার দুর্বলতা সুযোগে ইব্রাহিম ইবনে আঘলাব আব্বাসীয় খলিফা হারুনের নিকট থেকে ৪০ হাজার দিনারের বিনিময়ে বংশানুক্রমিক শাসনকর্তার পদ লাভ করেন। এভাবে ইফ্রিকিয়ায় আঘলাবী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আঘলাবী বংশের ১১ জন শাসক স্বাধীনভাবে প্রায় ১০০ বছর কৃতিত্বের সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এ বংশের প্রথম শাসক ছিলেন ইব্রাহিম ইবনে আঘলাব এবং শেষ শাসক ছিলেন আবু নসর জিয়াদাতুল্লাহ ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ  ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইফ্রিকিয়া আঘলাবী শাসন সম্পর্কে যা জান লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ