গজনী বংশের অভ্যুত্থান কীভাবে হয়েছিল সংক্ষেপে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গজনী বংশের অভ্যুত্থান কীভাবে হয়েছিল সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গজনী বংশের অভ্যুত্থান কীভাবে হয়েছিল সংক্ষেপে আলোচনা কর।

গজনী বংশের অভ্যুত্থান কীভাবে হয়েছিল সংক্ষেপে আলোচনা কর
গজনী বংশের অভ্যুত্থান কীভাবে হয়েছিল সংক্ষেপে আলোচনা কর

গজনী বংশের অভ্যুত্থান কীভাবে হয়েছিল সংক্ষেপে আলোচনা কর

  • অথবা, গজনীদের উত্থান ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় সংক্ষেপে আলোচনা কর।
  • অথবা, গজনীদের উত্থান ইতিহাস সম্পর্কে কি যান? অথবা, গজনীদের উত্থান সম্পর্কে একটি টীকা লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের প্রথম দিকে ভারতের সিন্ধু প্রদেশে আরব মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ভারতের ভূখণ্ডে এটাই ছিল মুসলমানদের রাজ্য বিজয়। সেই সময় ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি বলতে গেলে তখন অধিকৃত সিন্ধুদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল। 

দশম শতকের শেষার্ধে গজনীর তুর্কি মুসলিমদের ভারত অভিযানের সময় হতেই সারা ভারতে মুসলিম আধিপত্য স্থাপনের ও ইসলাম ধর্ম বিস্তারের সূচনা ঘটিয়েছিল।

→ গজনীদের অভ্যুত্থান : বিশ্বের ইতিহাসে তুর্কিরা ছিল দুর্ধর্ষ ও যাযাবর জাতি। তাদের আদি বাসস্থান ছিল আফগানিস্তান। তুর্কিরা ছিল নব্য মুসলমানদের মধ্যে অন্যতম। তুর্কিরা তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে গজনীতে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল । আর এখান থেকেই তারা ভারতবর্ষ জয়ের এক অদম্য স্পৃহা পায়। 

তাদের দুঃসাহসিক অভিযানে সর্বপ্রথম পাঞ্জাব বিজিত হয়। এরপর তারা পর্যায়ক্রমে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে থাকে। একথা স্বীকার করতে হবে যে, তাদের মেধা, দক্ষতা ও মানবীয় গুণাবলির ফলেই একদিন সমগ্র ভারতবর্ষে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল। 

অস্টম শতকে আব্বাসীয় খিলাফতের দেহরক্ষী হিসেবে তুর্কিরা নিয়োজিত ছিলেন।পরবর্তীতে তাদের রাজন্যবর্গের দুর্বলতার কারণে সাম্রাজ্যের ফাটল সৃষ্টি হয় আর এই সময় তুর্কিরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন মেধা ও প্রজ্ঞা দ্বারা। 

প্রথমদিকে আব্বাসীয় খিলাফতের শাসকগণ সুখ্যাতির সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে শাসকগণের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার কারণে নিজেদের পতন অনিবার্য করে তোলেন। আর এই সময় তুর্কিরা তাদের ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করেন। ক্রমে ক্রমে তারা শক্তিশালী হয়ে উঠেন এবং পরবর্তীতে আব্বাসীয় খলিফাগণ তাদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে পড়েন ৷

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তুর্কিস্থানের অধিবাসী সুবক্তগীন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত গজনী বংশ ৭১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে ১১৮৬ খ্রি. পর্যন্ত স্থায়িত্ব লাভ করেছিল। ভারতবর্ষে তুর্কিদের বারংবার অভিযান এ উপমহাদেশের ইতিহাসকে রোমাঞ্চকর করে রেখেছে। 

বলা হয় যে, গজনী বংশ প্রতিষ্ঠায় ছিল ভারতবর্ষে মুসলমানদের প্রথম রাজ্য বিজয়। এ বিজয়ের মাধ্যমেই পরবর্তীতে ভারতবর্ষ মুসলমানদের অধীনে আনা সম্ভবপর হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গজনীদের উত্থান ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গজনীদের উত্থান ইতিহাস সম্পর্কে কি যান? অথবা, গজনীদের উত্থান সম্পর্কে একটি টীকা লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ