ইদ্রিসীয় রাজবংশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইদ্রিসীয় রাজবংশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইদ্রিসী বংশ সম্পর্কে যা জান লেখ।

ইদ্রিসীয় রাজবংশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
ইদ্রিসীয় রাজবংশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

ইদ্রিসীয় রাজবংশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

  • অথবা, ইদ্রিসী বংশ সম্পর্কে যা জান লেখ। 
  • অথবা, ইদ্রিসীয় বংশ সম্পর্কে একটি টিকা লিখ।

 উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় খিলাফতের সময় যেসব রাজবংশ উত্তর আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো ইদ্রিসীয় রাজবংশ। এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ইমাম হাসানের প্রপৌত্র ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহ। 

ইদ্রিসীয় রাজবংশ অষ্টম শতাব্দীর শেষের দিকে মরক্কোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শিয়া রাজবংশ। ইদ্রিসীয় রাজবংশ দীর্ঘ। ২০০ বছর যাবৎ শাসনকার্য পরিচালনা করেন ।

পটভূমি : আব্বাসীয় খলিফা আল হাদীর রাজত্বকালে মদিনার শাসক বহু লোকের সাথে মদ্যপানের জন্য দুর্ব্যব্যবহার করে। এতে বনু হাসানের কিছু লোককে মদ্যপানের অভিযোগ আনা হয়। ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহ এতে প্রতিবাদ করেন। তিনি মদিনায় বিদ্রোহী হয়ে উঠেন। 

কিন্তু ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহ ব্যর্থ | হয়ে উত্তর আফ্রিকায় পলায়ন করেন। সেখানে তিনি একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম হলো ইদ্রিসীয় রাজবংশ। ইদ্রিসীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠা ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহর নামানুসারে এ রাজবংশের নামকরণ করা ইদ্রিসীয় রাজবংশ।

রাজধানী : ইদ্রিসীয় রাজবংশের প্রধান রাজধানী ছিল ফাস। রাজধানী থেকে ইদ্রিসীয় শাসকগণ পশ্চিম সাহারা মৌরিতানিয়া আলজেরিয়া ও আটলান্টিক মহাসাগরের বেশ কয়েকটি দ্বীপ নিয়ন্ত্রণ করতো।

বার্বারদের সহযোগিতা ইদ্রিসীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠার পিছনে বার্বারদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। উত্তর আফ্রিকায় বার্বাররা ছিল অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও সমরকুশলী জাতি। ইদ্রিসীয়রা বার্বারদের সহযোগিতা লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল।

ইদ্রিসীয়দের পতন : ইদ্রিসীয় শাসকগণ স্পেনের উমাইয়া খলিফাদের সমর্থক ছিলেন। মিশরের ফাতেমীয় ইদ্রিসীয় রাজবংশ করলে খলিফা দ্বিতীয় হাকাম তা প্রতিরোধ করার জন্য গালিবকে প্রেরণ করেন। মিশরের ফাতেমীয় ও স্পেনের উমাইয়াদের অভিযানের ফলে ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন ঘটে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উত্তর আফ্রিকায় ইদ্রিসীয় বংশের উত্থান ইসলামের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ইদ্রিসীয় বংশ ৭৮৮ থেকে ৯৭৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২০০ বছর অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। 

এটি ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শিয়া রাজবংশ। ৯৭৪ সালে দ্বিতীয় হাকামের সেনাপতি গালিবের আক্রমণে এ বংশের পতন ঘটে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইদ্রিসী বংশ সম্পর্কে যা জান লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইদ্রিসীয় বংশ সম্পর্কে একটি টিকা লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ