জুলিয়েট মিশেল এর পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জুলিয়েট মিশেল এর পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জুলিয়েট মিশেল এর পরিচয় দাও ।

জুলিয়েট মিশেল এর পরিচয় দাও
জুলিয়েট মিশেল এর পরিচয় দাও

জুলিয়েট মিশেল এর পরিচয় দাও

  • অথবা, জুলিয়েট মিশেল সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ। 
  • অথবা, জুলিয়েট মিশেল সম্পর্কে আলোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যে কয়জন মহিয়সী নারী প্রণোদনা যুগিয়েছেন জুলিয়েট মিশেল তাদেরই একজন। সমাজতান্ত্রিক নারীবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এই নারী জীবনের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ব্রিটিশ তথা সমগ্র নারীদের জাগাতে চেয়েছেন। 

নারীদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করেছেন তারা বৈষম্যের শিকার, তারা নিপীড়িত, নির্যাতিত। এরূপ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য তিনি পিতৃতন্ত্রের জৈবিক প্রাধান্য ও পিতৃতান্ত্রিকতাকে দায়ী করেছেন।

— জুলিয়েট মিশেল : সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার একনিষ্ঠ, সমুজ্জ্বল ব্রিটিশ সমাজতাত্ত্বিক নারীবাদী হচ্ছেন জুলিয়েট মিশেল। মিশেল ১৯৬০-এর দশকে সমাজস্থ নারীর অবস্থান সম্পর্কে রচনা প্রকাশের মাধ্যমে সারা বিশ্বব্যাপী আলোড়নের সৃষ্টি করেন। 

তাঁর Women, The Longest Revelition/Revelation' রচনাটি ১৯৬৬ সালে মার্কসবাদী পত্রিকা “নিউ লেফট রিভিউতে' (New Left Review)-তে প্রকাশিত হয়। তিনি নারী সম্পর্কিত আলোচনার জন্য একটি বিশেষ ‘স্বতন্ত্র বিশ্লেষণী কাঠামোর প্রস্তাব দেন। তিনি মনে করেন যেকোনো সমাজে নারীর অবস্থা চারটি উপাদান বা কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল; যেমন :

(i) উৎপাদন;

(ii) পুনরুৎপাদন;

(iii) যৌনতা:

(iv) শিশুর সামাজিকীকরণ।

উৎপাদন ক্ষেত্রে নারীর উপযুক্ত অংশগ্রহণ পুরুষ সমাজ কখনও মেনে নেয়নি। উন্নত প্রযুক্তির আবির্ভাব যে আশার সঞ্চার করেছিল সেখানেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। মূলত, অগ্রগতির সকল পর্যায়েও যে সমস্ত নারী উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে বাইরে কাজ করার সুযোগ পান, তাদের কাজও সেবা হিসেবে পরিগণিত হয়। 

ফলে নারীর ঘরে বা বাইরে কাজের বৈশিষ্ট্যের তেমন হের-ফের হয় না। পুনরুৎপাদন তথা জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উচ্চতর প্রযুক্তি তথা বিভিন্ন জন্মনিরোধক আবিষ্কৃত হওয়ায় নারী এর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় সন্তান ধারণের অধিকার পাবে বলে যে আশা করা হয়েছিল তাও মিথ্যায় প্রতিপন্ন হয়। 

কেননা বেশিরভাগ জন্ম নিয়ন্ত্রক সামগ্রী নারীর শরীরেই নিতে হয়। ফলে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তার স্বাভাবিক জীবনে অসুবিধার সৃষ্টি করে। শিশুর সামাজিকীকরণ বা শিশুর সঠিক প্রতিপালন পরিবারকে শক্তিশালী করে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র নারীর উপর সন্তান পালনের দায়িত্ব চাপালে তা শিশুর সামাজিক বিকাশকে বিঘ্নিত করতে পারে।

জুলিয়েট মিশেলের মতে, “বিয়ে-প্রতিষ্ঠান নারী-পুরুষের উদার মেলামেশাকে ম্রিয়মান করে।" ফলে পশ্চিমা অবাধ মেলামেশার পরিবেশ নারীর যৌন স্বাধীনতার স্বপক্ষে যাচ্ছে। যৌন স্বাধীনতার স্বপক্ষে যাচ্ছে। 

যৌন স্বাধীনতা নারীজীবনের অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি বিষয়। পশ্চিমা দেশগুলোয় বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মিশেল মনে করেন এবং এর মাধ্যমের নারীমুক্তির সূচনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজতান্ত্রিক ভাবধারায় বিশ্বাসী জুলিয়েট মিশেল নারীর যৌনমুক্তির মাধ্যমে নারীর মুক্তি দেখেছেন। আর নারীর এই যৌন মুক্তির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তিনি সামাজিক প্রতিষ্ঠান তথা বিয়ে-পরিবার প্রভৃতির বিলুপ্তি ও নারী বান্ধব প্রযুক্তির তথা জন্ম নিরোধকের কথা বলেছেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ জুলিয়েট মিশেল সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জুলিয়েট মিশেল সম্পর্কে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ