খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও

খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও
খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও

খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও

উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় বংশের দ্বিতীয় খলিফা ও এই বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা আবু জাফর আল মনসুরের পুত্র ছিলেন আল মাহদী। আল মাহদী আল মনসুরের মৃত্যুর পর ৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে আব্বাসীয় খেলাফত লাভ করেন এবং ১০ বছর যাবৎ শাসন করেন ৷ তার প্রায় ১ যুগের এই শাসনামল ছিল আব্বাসীয় খিলাফতের এক গৌরবময় অধ্যায় ।

→ আল মাহদীর পরিচয় : নিয়ে আল মাহদীর পরিচয় তুলে ধরা হলো :

১. জন্ম ও পরিচয় : আল মাহদীর প্রকৃত নাম ছিল মুহাম্মাদ কুনিয়াত আবু আব্দুলাহ। আল মাহদী ছিল তার উপাধি। আল মাহদী ৭৪৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন খলিফা আবু জাফর আল মনসুরের পুত্র। তার মাতার নাম ছিল উম্মে সালমা। 

তবে তিনি পিতার ন্যায় নিষ্ঠুর ছিলেন না। আল মাহদী প্রথমে সাফফার কন্যা, রাইতার ও পরবর্তীতে বার্বার তরুণী খায়রুজানকে বিবাহ করেন।

-২. আল মাহদীর সিংহাসনে আরোহণ : আল মাহদী পিতার মৃত্যুর পর ৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৩২ বছর বয়সে আব্বাসীয় সিংহাসনে আরোহণ করেন ।

৩. বন্দিদের মুক্তিপ্রদান : আল মাহদী তার পিতার ন্যায় নিষ্ঠুর ছিলেন না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু প্রকৃতির। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করে প্রাণদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গুরুতর অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত অন্যান্য কারাবন্দিদেরকে মুক্তি প্রদান করেন।

৪. বিদ্রোহ দমন : সাম্রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আল মাহদী সকল প্রকার বিদ্রোহ দমন করেন। তিনি খোরাসানের বিদ্রোহ, আলীপন্থিদের ষড়যন্ত্র, ভণ্ডনবি হাশিমের তৎপরতা, মুহাম্মির ও জিন্দিক সম্প্রদায়ের ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ প্রভৃতি বিশৃঙ্খলা দমনের মাধ্যমে আল সাম্রাজ্য স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেন ।

৫. শান্তিপ্রিয়তা : আল মাহদী ছিলেন শান্তিপ্রিয় শাসক । তিনি সর্বদা সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাতেন ৷

৬. জনকল্যাণকর কার্যাবলি গ্রহণ : খলিফা আল মাহদী তার দশ বছরের রাজত্বকালে বহুবিধ জনকল্যাণকর কার্যাবলি সম্পাদন করেছিলেন। 

তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যোগাযোগ ও ডাকবিভাগের উন্নয়ন। তিনি বহু স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদের সম্প্রসারণ ও নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খলিফা আল মাহদী দশ বছরের শাসনামলে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। তার শাসনামল ছিল আব্বাসীয় বংশের এক গৌরবোজ্জ্বল সময় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খলিফা আল মাহদীর পরিচয় দাও। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ