যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি | যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি | যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি | যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর ( jokkha roger lokkhon ki ) ।

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি  যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর
যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি  যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি | যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর | tuberculosis causes

  • যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ লিখ | jokkha roger lokkhon

উত্তর : ভূমিকা : বিশ্বে যত প্রকার রোগ আছে তার মধ্যে যক্ষ্মা অন্যতম। এর ভয়াবহতা ব্যাপক, যদি ও যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত রোগ অর্থাৎ যক্ষ্মা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। 

শিল্পোন্নত দেশ সমূহ সম্পদ ও অর্থ বীগত ৪০ বছর কেমোথেরাপির ব্যবহারে যক্ষ্মাকে এক লঘু সমস্যা হিসেবে দার করাছে কিন্তু বর্তমানে শিল্পোন্নত নয় । অনুন্নত দেশসমূহে এর প্রকোপ ব্যাপক ।

যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ : ফুসফুস যক্ষ্মা রোগের অন্যতম স্থান। সুতরাং ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে যে সকল উপসর্গ দেখা যায় তা হলো : 

১. তিন সপ্তাহের বেশি কাশি হওয়া;

২. কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া;

৩. তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বুকে ব্যথা;

৪. তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বর বিশেষত বিকেল বেলা; 

৫. পুরানো কাশি বিশেষ করে হাটার পর;

৬. অস্বাভাবিকভাবে ঘেমে যাওয়া;

৭. ক্রমাগত ওজন কমে যাওয়া এবং দুবর্লতা বাড়া 

৮. ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হওয়া;

৯. গলার স্বর ককর্শ হতে পারে ও

১০. বুকে ব্যথা অনুভব দীর্ঘ দিন ধরে ।

→ নিম্নে যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. ফুসফুস ব্যতীত অন্যন্য স্থানে যক্ষ্মা হওয়ার কারণ : যক্ষ্মা কোথায় হয়েছে তার উপর নির্ভর করবে এর লক্ষণ। যেমন- ফুসফুসের আবরণের উপর হলে বুকে ব্যথা হবে। তা বাঁকা হয়ে যাবে। 

ব্যথা হবে বা পুঁজ পড়বে, অথবা- যদি হারে হয় তবে সেখানে ব্যথা করবে। ফুরে যাবে, এবং বাকা হয়ে যাবে। মূলত দেহের যেখানে হবে সেখানে ব্যবস্থা করবে ফুলে যাবে স্বাভাবিক কাজ বাধা দেবে ইত্যাদি।

২. শিশুদের যক্ষ্মা রোগের কারণ : এ ক্ষেত্রে ওজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে শিশুদের যক্ষ্মা হলে কাশি বা জ্বর কোনোটিই লক্ষ্য করা যাবে না। 

শিশুরা যদি কারো খাবার নেয় তাহলে তার ওজন কমে যাবে। এবং নিঃশ্বাসের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। কয়েকমাস যদি ওজন না বাড়ে তবে তার যক্ষ্মা কারণে শিশু মারা যেতে পারে। 

সাধারণত শিশুদের হাড় সিল্ক, গ্রন্থতিতে বা মস্তিষ্কের আবরণত শিশুদের ( সেলিনজাইটিক) যক্ষ্মা হতে পারে ।

৩. যার যক্ষ্মা হতে পারে : যক্ষ্মা কোনো প্রকার লিঙ্গ ভেদে বা বয়স ভেদে আসে নি। যক্ষ্মা যেকোনো কারণে হতে পারে । হতে পারে স্বাভাবিকভাবে পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ বছরের পূর্বে বেশি যক্ষ্মা হয়। 

যক্ষ্মার হাত থেকে এমনকি শিশু রক্ষা পায় না । (কফ, দ্বারা প্রমাণিত) যে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৪৭৯ করে যক্ষ্মার আক্রান্ত। 

তবে শতকরা ৩০ জন যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত। তারা যেকোনো সময় যক্ষ্মার আক্রান্ত হতে পারে। মূলত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই তাদের মাঝে যক্ষ্মা রোগ দেখা যায় ।

৪. পুষ্টিহীনতা : যারা পুষ্টিহীনতায় ভোগে বা কম পুষ্টি তাদের যক্ষ্মা রোগ বেশি। কারণ যক্ষ্মা অপুষ্টিতে ভোগে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে ফলে যক্ষ্মায় আক্রান্ত বেশি হয়। 

গোপনীয় যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়া এবং যক্ষ্মা হওয়া এক কথা নয় । বাংলাদেশে প্রায় ৩০ শতাংশ লোক যক্ষ্মার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত কিন্তু এদের সবার যক্ষ্মা হয় না। 

কিন্তু এদের সবার শরীরে যক্ষ্মার জীবাণু বিরাজ করে। আপরদিকে মানুষের নাক-মুখ দিকে যক্ষ্মায় জীবাণু প্রবেশ করে। এ সকল জীবাণু ধুকে ধুকে আস্তে আস্তে তার শরীরে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 

আর এভাবে যদি কারো শরীরে ওজন যদি ক্রমস কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং তখন যক্ষ্মার জীবাণু ক্রমস শক্তিশালী হয়ে ওঠে বংশ বিস্তার করতে থাকে এবং একটা সময় যক্ষ্মায় পরিণত হয়। 

বর্তমানে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কারণ - পুষ্টিহীনতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ধুমপান ইত্যাদি। আমাদের দেশ গরিব বলে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বিশেষ করে শিল্পকারখানা এবং গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যক্ষ্মা একটি বায়ুবাহিত রোগ এবং বর্তমানে এটি মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি হিসেবে পরিচিত। যক্ষ্মা ফসফুস দ্বারা ও শরীরের নানাস্থানে হতে পারে এবং যক্ষ্মার জীবাণু অনেকদিন লুকিয়ে থেকে প্রকাশ পেতে পারে। 

তবে যক্ষ্মা রোগ যে জায়গায় হোক না কেন তা শরীরের মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই সবারই উচিত যাতে যক্ষ্মা ছড়াতে না পারে সেই কাজ করা ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি | যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কি কি | যক্ষ্মা রোগের লক্ষণসমূহ বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ