কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি ।

কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি
কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি

কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি

  • কর্তৃত্বের প্রকারভেদ উল্লেখ কর
  • অথবা, কর্তৃত্বের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর ।

উত্তর : ভূমিকা : ক্ষমতার জনসাধারণের সহজ ও স্বাভাবিক স্বীকৃতির ভিত্তিতেই কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়। কর্তৃত্ব ক্ষমতা ও বৈধতার সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়। কর্তৃত্ব হলো বৈধ ক্ষমতা। 

আদেশ করার ক্ষমতা থাকা এবং জনসাধারণের সহজ স্বীকৃতি লাভ করা; এই উভয়ের সংমিশ্রণে যথার্থ কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়। সমাজের শান্তি, সংহতি, শৃঙ্খলা, বিকাশধারা বজায় রাখার জন্য কর্তৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

→ কর্তৃত্বের প্রকারভেদ : ম্যাক্স ওয়েবার (Max weber) কর্তৃত্বকে তিনভাগে ভাগ করেছেন। এছাড়াও কর্তৃত্বকে আরো | কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো :

১. ঐতিহ্যবাহী কর্তৃত্ব : ওয়েবার বলেন, রাজনৈতিক কর্তৃত্বের আদি ও সার্বজনীন রূপ হলো ঐতিহ্যবাহী কৰ্তৃত্ব। অতীতের প্রতি মানুষের অন্ধ আনুগত্য থাকে। আর এই অন্ধ আনুগত্যের ভিত্তিতে ঐতিহ্যবাহী কর্তৃত্বের উদ্ভব ।

২. ইন্দ্রজালিক কর্তৃত্ব : ব্যক্তিবিশেষ ব্যক্তিত্বের মহিমার কারণে জনসাধারণের অন্ধ আনুগত্য লাভ করতে সক্ষম হন। ম্যাক্স ওয়েবার এ ধরনের কর্তৃত্বকে ইন্দ্রজালিক কর্তৃত্ব বলেছেন । যেমন : মহাত্মা গান্ধী, লেনিন, মাও সে-তুং প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ ।

৩. আইনগত কর্তৃত্ব : আইনের কাঠামোর যে কর্তৃত্ব থাকে তাই হলো আইনগত কর্তৃত্ব। জনসাধারণের আইনানুগত্যের ভিত্তিতেই এ ধরনের কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয় বলে একে আইনগত কর্তৃত্ব বলে। ম্যাক্স ওয়েবারের মতে, আধুনিক চলিষ্ণু সমাজে আইনগত ও যুক্তিসংগত কর্তৃত্ব থাকা বাঞ্ছনীয় ।

৪. কারিগরি কতৃত্ব : কোনো ব্যক্তি যখন বিশেষ কারিগরি জ্ঞান ও দক্ষতার অধিকারী হয় তখন তাকে কারিগরি কর্তৃত্ব বলে । যিনি কারিগরি বিশেষজ্ঞ তিনি অন্যদের তুলনায় ঐ কাজটি ভালোভাবে করতে পারে।

৫. মৌলিক কৰ্তৃত্ব : মৌলিক কর্তৃত্বের মূল উৎস হলো কর্তৃত্বের উৎপত্তিস্থল । যেমন- রাজা, রানি।

৬. আইনানুগ আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ব : আইনানুগ আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্বের আইনই হলো কর্তৃত্বের উৎস। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ, ও বিচার বিভাগের প্রত্যেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীই আইনানুগ কর্তৃত্ব লাভ করে ।

৭. কার্যসম্পাদনগত কর্তৃত্ব : বিভিন্ন কাজ বিভিন্ন ব্যক্তিকে সম্পাদনের ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব প্রদানই হচ্ছে কার্যসম্পাদনগত কর্তৃত্ব ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কর্তৃত্ব হলো বৈধ ক্ষমতা । রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিরাপদ ও স্থায়ী হয় কর্তৃত্বের কল্যাণে । 

মানব সমাজের উৎকর্য, সংহতি ও বিকাশে কর্তৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই সমাজবিজ্ঞানে কর্তৃত্ব একটি উল্লেখযোগ্য আলোচনা ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কর্তৃত্বের প্রকার ও কি কি । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ