পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সংক্ষেপে লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সংক্ষেপে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সংক্ষেপে লিখ ।

পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সংক্ষেপে লিখ
পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সংক্ষেপে লিখ

পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সংক্ষেপে লিখ

উত্তর : ভূমিকা : পশ্চিমাঞ্চলে আব্বাসীয় খলিফাদের দুর্বলতার সময় যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজবংশের উদ্ভব হয়েছিল তাদের মধ্যে ইদ্রিসীয় রাজবংশ ছিল অন্যতম। ইমাম হাসানের প্রপৌত্র ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহ কর্তৃক অষ্টম শতাব্দীর শেষ দিকে স্থাপিত এই বংশটি ছিল ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শিয়া রাজবংশ। 

মাগরিবুল আকসা শাসন করেছিলেন দুইশত বছর বার্বারদের সমর্থনে। দশম শতাব্দীর শেষ দিকে মিশরের ফাতেমীয় এবং স্পেনের উমাইয়াদের দ্বন্দ্ব বিদ্বেষের শিকার হয়ে এই রাজবংশটি স্পেনের উমাইয়া খলিফা হাকামের আমলে বিলুপ্ত হয়ে যায় কিন্তু শৌর্য বীর্য ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

→ ইদ্রিসীয় বংশের পতন : নিম্নে ইদ্রিসীয় বংশের পতন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. প্রাকৃতিক কারণ : ইদ্রিসীয় বংশের ক্ষেত্রে ইবনে খালদুনের মতবাদ যথা যোগ্যভাবে প্রযোজ্য হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “কোনো রাজবংশের স্থিতিকাল বড়জোর একশত বছর এরপর পরই তাদের পতনের যাত্রা শুরু হয়।"

২. আব্বাসীয় খলিফাদের সাথে বৈরী সম্পর্ক : ইদ্রিসীয় বংশের পতনের প্রধান কারণ হলো আব্বাসীয় খলিফাদের সাথে বৈরী সম্পর্ক। কারণ ইদ্রিসীয় বংশের শাসকদের সাথে আব্বাসীয় বংশের শাসকদের বিরূপ সম্পর্ক ছিল। 

এই বংশ প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই তারা মদিনায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এরপর তারা মরক্কোতে পলায়ন করে। খলিফা হারুন সেখানে একজন গোয়েন্দা প্রেরণ করে। সে ইদ্রিসকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে। শুরু থেকেই খলিফার সাথে এ মনোমালিন্যতা ইদ্রিসীয় রাজবংশকে পতনের দিকে ধাবিত করে।

৩. অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব : ইদ্রিসীয় রাজবংশের শাসকদের নিজের মধ্যে দ্বন্দ্বের জন্য তাদের পতন হয়। ইদ্রিসীয় রাজবংশের দ্বিতীয় | ইদ্রিসের ৯ পুত্রের মধ্যে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। যা এই সাম্রাজ্যকে অভ্যন্তরীণভাবে দুর্বল করে পতনের দিকে নিয়ে যায়।

৪. অত্যাচারী শাসনব্যবস্থা : ইদ্রিসীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কয়েক জন শাসক রাজ্যকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেয়। এছাড়া বাকি সকল শাসক ছিলেন অত্যাচারী। 

এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দ্বিতীয় ইয়াহিয়া। তিনি অত্যাচারের ফলে জনসাধারণের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে স্পেনে পলায়ন করেন এবং সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।

৫. ফাতেমীয়দের আক্রমণ : ফাতেমীয়দের সাম্রাজ্য বিস্তার নীতির কারণে তারা সাম্রাজ্য বিস্তার করতে করতে উত্তর আফ্রিকার ইদ্রিসীয় রাজ্যের পাশাপাশি চলে আসে, এতে করে এই রাজবংশের পতনকে ত্বরান্বিত করে। কারণ পরবর্তী | শাসকগণ ছিলেন দুর্বল।

৬. শাসকদের দুর্বলতা: ইদ্রিসীয় বংশের শাসকদের পতনের আর একটি কারণ ছিল শাসকদের দুর্বলতা। ইদ্রিসীয় রাজবংশের কয়েকজন শাসক ব্যতীত বাকি শাসকগণ প্রশাসনিক ও প্রাদেশিক ক্ষমতায় ছিল দুর্বল। যার জন্য তাদের পতন হয়েছে বলে মনে করা হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহ কর্তৃক মরক্কোতে যে রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেটি ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম শিয়া রাজবংশ।

ইদ্রিস ইবনে আব্দুল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই বংশ পতনের প্রধান কারণ ছিল | ফাতেমীয় রাজবংশ ও স্পেনের উমাইয়া রাজবংশ যাদের আক্রমণে এই প্রথম শিয়া রাজবংশের পতন ঘটে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সম্পর্কে বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পশ্চিমাঞ্চলের ইদ্রিসীয় রাজবংশের পতন সম্পর্কে বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ