সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ ।

সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ
সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ

সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ

  • সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের কারণ সমূহ উল্লেখ কর
  • সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের কারণগুলো বর্ণনা কর 

উত্তর : ভূমিকা : সামাজিক জীব হিসেবে মানুষের বিশেষ পরিচয় সংস্কৃতি। সংস্কৃতি মানুষের পরিচয় বহন করে থাকে। 

যখন কোনো সমাজের গতানুগতিক রীতিনীতির সাথে নতুন কোনো রীতিনীতির প্রবেশ ঘটে তখন যে অসংগতির সৃষ্টি হয় তাকে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব। 

বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি যখন পাশাপাশি অবস্থান করে তখন সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের ফলে সমাজের অশান্তির সৃষ্টি হয় ।

→ বিভিন্ন কারণে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের উদ্ভব হয়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো :

১. সাংস্কৃতিক শূন্যতা : সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ হলো সাংস্কৃতিক শূন্যতা। দুটি পারস্পরিক সংস্কৃতির কোনো একটির পরিবর্তনে সৃষ্টি হয় সাংস্কৃতিক শূন্যতা। বিজ্ঞানের ফলে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব দেখা যায় ।

২. পরিবর্তনশীলতা : সামাজে বিরাজিত বিভিন্ন প্রথা ও আচার-আচরণ। সময়ের প্রেক্ষিতে এগুলো পরিবর্তন হয়। সামজের লোকেরা এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারে না। ফলে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব দেখা দেয় ।

৩. সামাজিক অসঙ্গতি : কোনো সমাজে প্রচলিত আচার- আচরণ ও প্রথার অন্য সমাজের আচার-আচরণ ও প্রথার অনুপ্রবেশ ঘটলে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

৪. সাংস্কৃতিক পার্থক্য : সমাজে বিভিন্ন সংস্কৃতির লোক পাশাপাশি বসবাস করে। যেমন-মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি। তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বৈষম্য দেখা যায়। যার ফলে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের উদ্ভব হয় ।

৫. আদর্শগত পার্থক্য : ধর্ম, পুঁজিবাদ ও রাজস্ববাদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বিদ্যমান । এই দ্বন্দ্বের ফলে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।

৬. পৃথকীকরণ : সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ হলো পৃথকীকরণ। সমাজে বিভিন্ন প্রকৃতির লোক বাস করে। এই ভিন্নতার কারণে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি।

৭. সাংস্কৃতিক সংস্কার : যখন কোনো ব্যক্তি দেশের সংস্কৃতি বিদেশের সংস্কৃতির মাঝামাঝি সংস্কৃতি অনুসরণ করে তখন সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব লেগে যায় ।

৮. বর্ণবৈষম্য : সমাজে বিভিন্ন বর্ণের লোক বাস করে। বর্ণভেদের কারণে তাদের আচরণ ভিন্ন হয়। যার ফলে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব হয় ।

৯. সামাজিক শ্রেণিকরণ : সমাজে উঁচু ও নীচু শ্রেণির লোক বাস করে। উঁচু শ্রেণির লোক নীচু শ্রেণিদের উপর নির্যাতন চালায়। যার ফলে সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব দেখা যায় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সংস্কৃতি মাত্রই পরিবর্তনশীল। প্রত্যেক সমাজের জীবনধারার স্বতন্ত্ররূপ বিদ্যমান। 

কোনো সামাজিক গোষ্ঠী যখন পুরাতন সাংস্কৃতিক প্রথাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় এবং পরিবর্তিত অবস্থার সাথে উপযোজন করতে পারে না তখন সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সংস্কৃতি দ্বন্দ্ব হলে সমাজে অশান্তি বিরাজ করে। তাই সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব যতদূর সম্ভব দূর করা উচিত।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব বলতে কি বুঝ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Follow Our Google News