bangla data

সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর।

সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর
সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর

সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর

উত্তর : ভূমিকা : এগারো শতকের মধ্যভাগে বাগদাদে আব্বাসীয় খিলাফতে সেলজুকদের উত্থান একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। প্রত্যেক জাতি বা বংশের নামে পেছনে তাদের পূর্ব পুরুষদের কারও বিখ্যাত নাম সংযুক্ত থাকে। 

তেমনি পূর্ব পুরুষ সেলজুক-বিন- বায়হাকের নামানুসারে উক্ত বংশের নামকরণ হয়েছে সেলজুক বংশ। তারা ধ্বংস হয়ে যাওয়া আব্বাসীয় সাম্রাজ্যকে পুনরুজ্জীবন দান করেন। সাম্রাজ্যের একতা ও সংহতি আনয়ন করেন। 

পরবর্তীকালে গৃহযুদ্ধ ও ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অগ্রাভিযানের কারণে তাদের পতন ঘটে। ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্রি বলেন, “ইসলামের ইতিহাসে এবং খিলাফতে সেলাজুক তুর্কিদের অভ্যুত্থান একটি নতুন এবং বিস্ময়কর অধ্যায়ের সূচনা করে।”

→ সেলজুক : মধ্যে এশিয়ার বিখ্যাত তুর্কিস্থানের কিরঘিজ তুন্দ্রা অঞ্চলের তুর্কি গোত্রীয় ঘুজ বংশোদ্ভূত ছিলেন সেলজুকগণ । তারা ৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে সেলজুক-বিন-বায়হাকের নেতৃত্ব তুর্কিস্থানের কিরঘিজ মালভূমি থেকে সয়হুন নদী অতিক্রম করে দক্ষিণ ট্রান্স অক্সিয়ানার বুখারায় এসে বসতি স্থাপন করেন। 

কালক্রমে তারা ইসলাম গ্রহণ করে সুন্নি মতবাদের ধারক ও বাহক হয়ে ওঠে। এরপর সেলজুকের পুত্র আরসালানের নেতৃত্ব আমু নদী অতিক্রম করে পূর্ব পারস্যে বসতিস্থাপন করেন। সেলজুক-বিন-বায়হাকের নামানুসারে এ বংশের নামকরণ হয় সেলজুক বংশ।

→ সেলজুকদের অভ্যুদয় : গজনীর রাজবংশের দুর্বলতার সুযোগে সেলজুকরা তুমিল বেগের নেতৃত্বে ১০৪০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাসুদকে পরাজিত করে সেলজুক রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। নিম্নে সেলজুকদের অভ্যুদয়ের কাহিনি বর্ণনা করা হলো-

১. ভূমিল বেগ : সেলজুকদের পৌত্র তুমিল বেগ প্রকৃত পক্ষে সেলজুক বংশের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১০৫৫-১০৬৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ৮ বছর রাজত্ব করেন। এ অল্পকালের মধ্যেই বলখ, খারিজম প্রকৃতি স্থান দখল করে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। 

বাগদাদের ভেতর বুওয়াইয়া শ্রমিকদের হাত থেকে আব্বাসীয় খলিফা কাইয়ুম বিল্লাহ রক্ষা পাওয়ার জন্য তুগ্রিলকে বাগদাদ আমন্ত্রণ জানান। খলিফার আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি বাগদাদ প্রবেশ করে সেখান থেকে বুয়াইয়াদের আমির মালিক-আর-রহিমকে বিতাড়িত করেন। 

এ সময় বাসাসিরিয় নামক জনৈক তুর্কি নেতা খলিফাকে সিংহাসনচ্যুত করলে তুমিল তাকেও পরাজিত ও নিহত করেন। এ সাহায্যের প্রতিদান খলিফা তাকে সুলতান উপাধিতে ভূষিত করেন। 

খলিফার উপর অপরিসীম প্রভাবে বিস্তার করে খোরাসানের মার্ভে নগরে রাজধানী স্থাপন করেন। ১০৬৩ খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সগৌরবে শাসনকার্য পরিচালনা করেন ।

২. আলপ আরসালান : তুলি বেগের কোনো পুত্র সন্তান না থাকায় তার মৃত্যুর পর পৌত্র আলপ আরসালান ১০৬৩ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি বাইজান্টাইনদের সাথে যুদ্ধ করে জর্জিয়াও হার্মনিয়া দখল করেন। 

এতে বাইজান্টাইন সম্রাট রোমেনাস পশ্চিম এশিয়া আক্রমণ করতে অগ্রসর হন। মানজিকার্দের যুদ্ধে ১০৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরাজিত ও বন্দি হন। সম্রাট সলিখিত শর্তে বন্দিদশা হতে মুক্তি লাভ করেন। যথা- 

(ক) সম্রাট রোমেনাস তার কন্যাদেরকে আলাপ আরসালানের পুত্রদের সাথে বিবাহ দিনে। 

(খ) যুদ্ধের যাবতীয় ক্ষতি পূরণসহ বার্ষিক রাজস্ব স্বরূপ তিন লক্ষ ষাট হাজার স্বর্ণ মুদ্রা প্রদান করেন। যুদ্ধে বন্দি সকল মুসলমানকে মুক্তি দিতে হবে।

 তিনি মার্ভ হতে রাজধানী ইস্পাহানে স্থানান্তরি করেন। তার সময় সাম্রাজ্যের সুখও শান্তি বিরাজিত ছিল। কারণ তিনি প্রজাহিতৈষী এবং ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। ১০৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিদ্রোহী আততায়ীর হাতে নিহত হন।

৩. মালিক শাহ : আলপ আরসালানের মৃত্যুর পর তার পুত্র মালিক শাহ ১০৬৩ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি সেলজুকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। তার সময়ে সেলজুকরা শক্তিতে পূর্ণতা লাভ করে। 

তার রাজত্বের প্রথমদিকে কয়েকটি বিদ্রোহ দমন করে রাজ্যের সকল শান্তি-শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনেন। তিনি চীন সীমান্ত থেকে ভূমধ্যসাগর বরং জর্জিরা থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিরাট সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন। 

তিনি সাম্রাজ্যের উন্নতির জন্য খাল খনন এবং রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মসজিদ ও রাস্তা নির্মাণ করেন। তাঁর চেষ্টায় বহু স্কুল, কলেজ ও হাসাপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি সাম্রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত গমনাগমন করতেন এবং প্রজাদের অভাব অভিযোগ শ্রবণ করতেন। 

তিনি প্রধান প্রধান পথের ধারে বিশ্রামাগারেও পাহারার ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রসিদ্ধ কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম তার রাজসভার রত্নস্বরূপ ছিলেন। চতুর্দিকে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। একুশ স্বগৌরবে রাজত্ব করে তিনি ১০৯২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন ।

৪. নিজাম-উল-মূলক : মালিক শাহ জনৈক পণ্ডিত খাজা হাসান নিজামুলমূলকে উজির পদের নিযুক্ত করেন এবং তাকে “আতাবেগ' (আমির শাসনকর্তা) উপাধি প্রদান করেন এবং তার উপর রাজ্যে শাসনের সকল ক্ষমতা অর্পণ করেন। 

তার কর্ম কুশালতায় ও বিচক্ষণতার বলেই মালিক শাহের রাজত্বকাল শান্তি, সমৃদ্ধি, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে গৌরবের চরম শীর্ষে আরোহণ করেছিলেন। ঐতিহাসিক Syed Ammer Ali বলেন, “Nizamul- Mulk was probably after yahya Barmalli the ablest minister and administrator Asia has ever produced (Ref: History of the saracans P-31 ) 

তিনি শুধু বিদ্বান ছিলেন না চানক্যের মতো কূটনীতি বিশারদও ছিলেন। মালিক শাহের অনুরোধে তাঁর বিখ্যাত রাজনীতি গ্রন্থ “সিয়াতনামা” রচনা করে। এ গ্রন্থ রচনা করে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি বাগদাদে বিখ্যাত নিজামিয়া মাদ্‌রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এ মহান উজির আততীয়া হাসান বিন সাবাহ কর্তৃক ১০৯১ খ্রিস্টাব্দে নিহত হন। 

নিজামুলমূলক আততায়ী কর্তৃক নিহতের এক বছর পরই মালিক শাহের মৃত্যু হয় । তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে সেলজুকদের গৌরব রবি অস্তমিত হতে থাকে। মালিক শাহের মৃত্যুর পর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েও সেলজুক বংশের পতন ত্বরান্বিত হতে থাকে ।

৫. পরবর্তী সেলজুক শাসকগণ : মালিক শাহের মৃত্যুর পর তার কনিষ্ঠ পুত্র মাহমুদ সিংহাসনে আরোহণ করেন। কিন্তু জ্যেষ্ঠ পুত্র রুকুনুদ্দিন তাকে সিংহাসনচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন। 

তবে তিনিও অতি অল্পসময়ের মধ্যেই ভ্রাতা মুহাম্মদ কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হন। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর সানজার কিছুদিন যাবৎ সুলতান পদে অধিষ্ঠিত থাকেন ।

→ সেলজুক তুর্কিদের অবদান : নিম্নে আব্বাসীয় শাসনামলে সেলজুক তুর্কিদের অবদান আলোচনা করা হলো :

১. সংসহত খিলাফত প্রতিষ্ঠা : পূর্ববর্তী বুয়াইয়া আমিরের অত্যাচার আব্বাসীয় খিলাফতকে খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলে এবং বিদ্রোহীরা ছড়িয়ে পড়লে আব্বাসীয় সাম্রাজ্য দিন দিন সংকুচিত হয়ে পড়ে। 

সেলজুকগণ বুয়াইয়াদের ধ্বংস করে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের অধঃপতন রোধ করতে সক্ষম হন। এরপর অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুদের নির্মূল করে সাম্রাজ্যকে সংঘবদ্ধ ও সুসংহত করেন।

২. সুন্নি ইসলামের সেবা : সেলজুক সুলতানগণ সুন্নি ইসলামের অনুসারী ছিলেন। বুয়াইয়া আমিরগণ শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন বলে তারা সুন্নি আব্বাসীয় খিলাফতকে সহ্য করতে পারতেন না। 

সেলজুকরা সুলতানরা ক্ষমতা গ্রহণ করে শিয়াদের সকল শক্তি খর্ব করেন। এরপর শিয়া মতাবলম্বী আল বাসাসিরী তুঘ্রিল কর্তৃক পরাজিত ও নিহত হন। সুন্নি মতবাদকে সর্বজনীন স্বীকৃত মতবাদ হিসেবে রূপদানের চেষ্টা করেন ।

৩. রাজনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন : মালিক শাহের উজির নিজাম উল মূলক রাজ্য শাসন প্রণালির উপর সিয়াসত নামা নামক একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেন । এই গ্রন্থে তিনি রাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা করেন । সিয়াসত নামা গ্রন্থের মাধ্যমে আব্বাসীয় খলিফাগণ ও মুসলিম বিশ্ব রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা লাভ করে ।

৪. অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান : সেলজুক সুলতানগণ আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করেন। আর এ সাম্রাজ্যের উন্নতির মূলে ছিল নিজাম উল মূলকের অর্থনৈতিক দূরদক্ষিতা। তার যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে সেলজুক সাম্রাজ্য কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রভৃতি উন্নতি সাধিত হয় ।

৫. সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান : সেলজুক সুলতানগণ অত্যাচারী বুয়াইয়া আমিরদের দৌরাত্ম্য রহিত করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সেলজুক আমিরগণ জনগণের নৈতিক চরিত্রের উন্নতির জন্য এবং জনগণের মঙ্গলের জন্য নানাবিধ কার্য করেন। 

সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে, সমগ্র আব্বাসীয় খিলাফতে পারস্য রীতিনীতি শিক্ষাদীক্ষা শিল্পস্থাপত্য জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসারতার সাথে আরবি সমাজকে পারসিককরণ করা হয়।

৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ : সেলজুক সুলতানগণ শিক্ষা- সংস্কৃতির পৃষ্ঠাপোষক ছিলেন। সুলতান মালিক শাহ ও তার উজির নিজাম উল মূলক সাম্রাজ্য বহু স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন। 

নিজাম উল মূলক উচ্চ শিক্ষা সম্প্রসারণের ১০৬৫-৬৭ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় নামে খ্যাত নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ ইমাম গাজালি এই মাদ্রাসায় অধ্যাপনা করেন ।

৭. জ্যোতিবিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষকতা : সুলতান মালিক শাহ ও নিজাম উল মূলক জ্যোতিবিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। উজির নিজামের পরামর্শে ১০৭৫ খ্রিস্টাব্দে মালিক শাহ নিশাপুরে একটি জ্যোতিবিদ সম্মেলন আহ্বান করেন। 

এই সম্মেলনে জ্যোতিবিদ্যা চর্চার সুষ্ঠু পরিকল্পনা গৃহীত হয়। জ্যোতিবিদ্যা চর্চার জন্য নিশাপুরে একটি মানমন্দির স্থাপন করা হয়।

৮. জালালী পঞ্জিকা প্রবর্তন : বিখ্যাত দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ উমর খৈয়ামের নেতৃত্বে নিশাপুরে জ্যোতিবিদগণ চান্দ্র মাসের পরিবর্তে সৌর মাস অনুযায়ী গণনার প্রথা প্রচলন করেন। 

প্রচলিত গণনা পদ্ধতির যাবতীয় ভুল সংশোধন করে একটি নতুন পঞ্জিকা তৈরি করা হয়। মালিক শাহ জালাল উদ্দিনের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় জালালী পঞ্জিকা ।

৯. স্থাপত্যশিল্পের পৃষ্ঠাপোষকতা : স্থাপত্যশিল্পের দিক দিয়ে | মালিক শাহের রাজত্বকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইস্পাহানের জামে মসজিদ নির্মাণে (১০৭৫ খ্রি.) সেলজুক স্থাপত্যরীতি নিজাম উল মূলক প্রথম প্রবর্তন করেন। 

এর অনুকরণে আরদিস্তানে জাওয়ারা এবং গুলপাইগানের জামে মসজিদ নির্মিত হয়। এছাড়া পারস্য  আমলে অসংখ্যা স্থাপত্যরীতির মধ্যে সাভা মসজিদ দামগান মসজিদ বিজ্ঞান মিনার ও রায়ের সমাধি উল্লেখযোগ্য ।

১০. সেলজুক সুলতানদের জনহিতকর কার্যাবলি : সেলজুক সুলতানগণ প্রজাহিতেষী ও জনদরদী শাসক ছিলেন। জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সুলতানগণ সাম্রাজ্যের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতেন। 

এ সময় প্রিস্রামাগার, সরাইখান প্রভৃতি নির্মিত হয়েছিল । সেলজুক আমলে কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সেলজুকগণ আব্বাসীয় খিলাফতের একযুগ সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হয়ে আব্বাসীয় খিলাফতের এবং সুন্নি ইসলামকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতেও তার ব্যাপক অবদান রাখেন। 

সাহিত্য, বিজ্ঞান ও স্থাপত্যের | ক্ষেত্রেও তারা পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। তারাই সর্ব প্রথম | এশিয়া মাইনরে স্থায়ী মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের সূত্র ধরেই পরবর্তীকালে ওসমানী সাম্রাজ্যের পথ সুগম হয়। কিন্তু তাদের পতন ইসলামি সাম্রাজ্যের জন্যই ছিল দুর্দিন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সেলজুক তুর্কিদের অভ্যুদয় ও অবদান বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ