শিয়া সম্পর্কে কি জান

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শিয়া সম্পর্কে জানতে চাই জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শিয়া সম্পর্কে জানতে চাই।

শিয়া সম্পর্কে কি জান
শিয়া সম্পর্কে কি জান

শিয়া সম্পর্কে কি জান

উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে হজরত আলী (রা.) এর অনুসরণকারীদেরকে শিয়া বলা হয় । রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে শিয়াদের উৎপত্তি শুরু হলেও পরবর্তীতে তারা ধর্মীয় সম্প্রদায়ে রূপান্তরিত হয়। 

শিয়াদের মতে, হজরত আলী (রা.) বা তার বংশধরদেরই মুসলিম বিশ্বের একমাত্র ইমাম বা নেতা হওয়ার যোগ্যতা ও অধিকার রয়েছে।

→ শিয়াদের পরিচয় : শিয়া শব্দটি আরবি। এর অর্থ হলো গোত্র, সমর্থনকারী ও সম্প্রদায়। ইসলামের ইতিহাসে শিয়া এমন একটি রাজনৈতিক সম্প্রদায় যারা সর্বক্ষেত্রে হজরত আলী (রা.) এর অনুসরণ করতে থাকে । ইসলামের ইতিহাসে হজরত আলী (রা.) এর এই অনুসরণকারীদের শিয়া বলা হয়।

শিয়াদের উৎপত্তি : হঠাৎ করেই শিয়া সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটেনি। তাদের উদ্ভবের পিছনে কতকগুলো ঘটনা বিদ্যমান। ছিল। নিম্নে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

হজরত আলী (রা.) এর খিলাফত লাভ এবং মুয়াবিয়ার সাথে বিরোধ : ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে হজরত আলী (রা.) খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর সিরিয়ার শাসনকর্তা মুয়াবিয়ার সাথে তার বিরোধ বাঁধে। 

অতঃপর সিফফিনের যুদ্ধে মুয়াবিয়া ও আমর বিন আল আসের কূটনীতির নিকট হজরত আলী (রা.) এর পরাজয় এবং পরবর্তীতে খারিজীদের হাতে হত্যাকাণ্ডের হওয়ায় শিয়া আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করে তোলে ।

কারবালার হত্যাকাণ্ড : হজরত আলী (রা.) এর হত্যার পর তাঁর সুযোগ্য পুত্র ইমাম হাসান (রা.) খিলাফতে অধিষ্ঠিত হন। কিন্তু মুয়াবিয়া চক্র তাঁকে বিষপানে হত্যা করে। 

কারবালার এ হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড শিয়াদের প্রতিহিংসার আগুন আরও প্রজ্জলিত করে তোলে । তারা শিয়া নাম ধারণ করে আন্দোলনে নেমে পড়ে ।

কারবালার বিষাদময় হত্যাযজ্ঞের পর শিয়াগণ প্রকাশ্যে হজরত আলী (রা.) এর পরিবারের অনুকূলে আন্দোলন শুরু করে। পরে কিছু সংখ্যক শিয়া উত্তর আফ্রিকায় চলে যায় এবং হাসানের বংশীয় ইদ্রিসের নেতৃত্বে তানজিয়া নামক স্থানে একটি শিয়া রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শিয়া সম্প্রদায় রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদের উত্থান হলেও পরবর্তীতে এরা ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং বর্তমান পর্যন্ত টিকে আছে। তবে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস কুরআন হাদিসের সাথে যথেষ্ট সাংঘর্ষিক।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ শিয়া সম্পর্কে জানতে চাই

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শিয়া সম্পর্কে জানতে চাই। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ