অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য লেখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য কী কী।

অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য লেখ
অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য লেখ

অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য লেখ

  • অথবা, অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য কী কী?
  • অথবা, অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তর ভূমিকা : অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা তথ্য সংগ্রহের একটি গুৰুত্বপূৰ্ণ প্ৰক্ৰিয়া। সংক্ষিপ্ত সময়ে অংশগ্রহণে ভিত্তিতে জনগণের মতামতের প্রেক্ষিতে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সমাজ গবেষণায় অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির ব্যবহার হয়। 

অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা একটি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতির ব্যবহার খুব প্রাচীন নয়। কোনো বিষয় সামাজিক গবেষণা পরিচালনা করতে গিয়ে যখন দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সংগ্রহের কোনো সুযোগ থাকে না তখন এ পন্থা প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য : সামাজিক গবেষণায় উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে দ্রুতগতিসম্পন্ন একটি প্রতি হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা। নির্ভুল ও যথার্থ উপাত্ত সংগ্রহ করতে অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার পদ্ধতির নিয়ে বৈশিষ্ট্যসমূহ পরিলক্ষিত হয় :

১. মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ : অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গ্রামীণ মাঠ পর্যায় হতে ত সংগ্রহ করা। এ প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার বন্ধুত্ব স্থাপন ব্যতীত সরাসরি মাঠ পর্যায় হতে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এ পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের কাজ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়।

২. দীর্ঘমেয়াদি নয় : সাধারণত স্বল্প সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়। এ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণের ন্যায় দীর্ঘমেয়াদি কোনো পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেই। ফলে দ্রুত সমীক্ষা পরিচালনা করা সম্ভব হয় ।

৩. কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োগ : কৃষি ও কৃষক এ দুটো বিষয় নিয়েই সাধারণত অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। কৃষি ছাড়াও এ পদ্ধতি স্বাস্থ্য খাতেও প্রয়োগ করা হয়।

৪. চেক লিস্ট তৈরি : অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা পদ্ধতিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে গ্রামে যাওয়া হয়। যেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয় সেগুলো পূর্বেই ঠিক করে নেয়া হয় এবং যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হবে তার একটি চেক লিস্ট তৈরি করে নিয়ে যাওয়া হয় । চেকলিস্টে যেসব তথ্য থাকে-

i. এলাকা চিহ্নিতকরণ,

ii. প্রশ্নমালা তৈরি ও

iii. যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হবে ইত্যাদি ।

৫. ম্যাপ তৈরি : এ পদ্ধতিতে গ্রামীণ ম্যাপ তৈরি করা হয়। অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা পদ্ধতিতে জনগণকে গ্রামের ম্যাপ তৈরিতে কাজে লাগানো হয় এবং গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ সে ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়।

৬. কাজের ব্যাখ্যা : গ্রামীণ সার্বিক তথ্যের ব্যাখ্যাদানের জন্য উত্তরদাতাদের পরামর্শ নেয়া হয়। গ্রামের প্রধান উত্তরদাতাদের সাথে নিয়ে গ্রামে যা কিছু দেখা যায় সেসব সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

৭. দলীয় আলোচনা : এ পদ্ধতিতে দলীয় আলোচনা বা সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রধান গবেষক গ্রামবাসীদের দলীয় আলোচনার আয়োজন করেন এবং গ্রামের ইতিহাসের প্রধান প্রধান বিষয় আলোচনা করতে বলেন। তিনি শ্রেণিভিত্তিক বিভিন্ন থানাকে চিহ্নিত করতে বলেন।

৮. সার্বিক চাহিদা নিরূপণ : গ্রামীণ অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রামের লোকদের সহযোগিতায় গ্রামে চাহিদা নিরূপণ করে থাকেন। এতে গ্রামীণ মানুষের অনুভূত চাহিদা ও সম্পদের পূর্ণ নির্ণয় করা হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষা হলো এমন একটি পন্থা যা সরকারি সংস্থা, এনজিও এবং অন্যান্য সংস্থাসমূহের সাথে সংশ্লিষ্ট। এ প্রক্রিয়ায় গ্রামীণ মানুষের জ্ঞান এবং মতামতকে কেন্দ্রীভূত করে পরিকল্পনা এবং প্রকল্প পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণ করাই এর লক্ষ্য।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্য লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অংশগ্রহণমূলক গ্রামীণ সমীক্ষার বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ