অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ বলতে কী বুঝ।

অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ কী
অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ কী

অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ কী

  • অথবা, অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ বলতে কী বুঝ?
  • অথবা, অংশগ্রহণমূলক ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর ভূমিকা : পর্যবেক্ষণের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধরন যথাক্রমে অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ । সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণায় এ দুটি পর্যবেক্ষণের ধারণা সূত্রপাত হয়। 

অংশগ্রহণমূলক ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ দুটি সামাজিক গবেষণায় গবেষককে সহজবোধ্য উপাত্ত প্রদান করে। অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত নমনীয় প্রকৃতির । এতে গবেষককে কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হয় না। 

প্রাত্যহিক যা ঘটছে তা পর্যবেক্ষণ করাই এর কাজ। অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ গবেষণায় অধিক কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদ্ধতি। এতে গবেষক সক্রিয় অংশগ্রহণ না করে পর্যবেক্ষণের কাজ করে।

অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ : যে গবেষণায় গবেষক গবেষণার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দলের মধ্যে বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে উপস্থিত থেকে তাদের দৈনন্দিন আচার আচরণের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন তাকেই অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ বলে। 

এ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষক অর্থাৎ গবেষক সংশ্লিষ্ট দলের বা জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন কার্যক্রম সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত নমনীয় প্রকৃতির। এতে গবেষক কোনো নির্দিষ্ট পূর্বানুমান নিয়ে কাজ করেন না, কিংবা তার কোনো সুনির্দিষ্ট পূর্বানুমান পরিকল্পনাও থাকে না।

Wilkinson and Bhandarkar এর মতে, “অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ হলো পর্যবেক্ষককে দলের সদস্যে পরিণত করে পর্যবেক্ষণাধীন বিষয় উভয়কে একত্রে রাখার একটি প্রচেষ্টা, যেখানে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কের কাঠামোতে পর্যবেক্ষণাধীন অনুভূতি ও কাজ সম্পর্কে গবেষক বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।”

অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ : যে পর্যবেক্ষণে গবেষক নিজে পর্যবেক্ষণীয় গোষ্ঠী বা সংস্থার আচরণ ও কর্মকাণ্ড সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন না কিন্তু সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী বা সংস্থার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেন তাকে অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ বলে। 

অর্থাৎ অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষক অন্যের আচরণ কর্মকাণ্ড ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ, কিন্তু পর্যবেক্ষক নিজে পর্যবেক্ষণকৃত আচরণের অংশীদার হয়ে উঠেন না। 

অংশগ্রহণহীন পর্যবেক্ষণের সংজ্ঞায় Wikinson and Bhandarkar বলেন, পর্যবেক্ষণীয় কার্যাবলিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়াই পর্যবেক্ষকের পক্ষ থেকে যখন কোনো বিচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষক এবং ধারণাকারীর ভূমিকা গৃহীত হয়। তখন তাকে অংশগ্রহণহীন পর্যবেক্ষণ বলে ।”

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অংশগ্রহণমূলক ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবক্ষেণ উভয়ই সামাজিক গবেষণায় গতিশীল প্রক্রিয়া বিশেষ এতে গবেষকগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে গবেষণা পরিচালনা করে থাকে । 

অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে গবেষক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে আর অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণে গবেষক সক্রিয় অংশগ্রহণ করে না। তবে উভয় পদ্ধতিতেই তথ্য সংগ্রহের সময় গবেষককে সতর্কতার সাথে কাজ করতে হয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অংশগ্রহণমূলক ও অংশগ্রহণবিহীন পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ