কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ বলতে কী বুঝ।

কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ কী
কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ কী

কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ কী

  • অথবা, কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ বলতে কী বুঝ?
  • অথবা, কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ ।

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় পর্যবেক্ষণ হচ্ছে উপাত্ত সংগ্রহের নিয়মতান্ত্রিক, নির্ভরযোগ্য ও বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতি। সাধারণভাবে পর্যবেক্ষণ হচ্ছে কোনো বিষয়বস্তু বা ঘটনাকে অবলোকন করা । 

বৈজ্ঞানিক অর্থে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তু বা ঘটনাকে সুশৃঙ্খলভাবে অবলোকন করা এবং লিপিবদ্ধ করাই হচ্ছে পর্যবেক্ষণ। আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। 

কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ। কাঠামোগত পদ্ধতি হচ্ছে গবেষণার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। এটি গবেষণার একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি ।

কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ : সাধারণত কার্যকারণ সম্পর্কযুক্ত কোনো প্রকল্প পরীক্ষণ কিংবা ঘটনার সুশৃঙ্খল বর্ণনা প্রদানের উদ্দেশ্যে কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। গবেষণার বিভিন্ন পর্যায়ে পূর্ব নির্ধারিত কাঠামো অনুসরণ করাই এ ধরনের পর্যবেক্ষণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। 

কাঠামোগত পর্যবেক্ষণে গবেষক গবেষণার উদ্দেশ্য, পরিধি, প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ইত্যাদি সম্পর্কে অধিকতর সচেতন থাকেন। পর্যবেক্ষণের পূর্বেই সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত লিপিবদ্ধ করার জন্য তিনি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। 

কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ উপাত্ত সংগ্রহের একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতি সাধারণত গবেষণাগারে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ক্যামেরা, ভিডিও, টেপ রেকর্ডার প্রভৃতি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।

অবকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ : অবকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির সাহায্যে পরিচালিত পর্যবেক্ষণের কোনো পূর্ব পরিকল্পনা থাকে না। গবেষকের নিকট গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকলেও গবেষণার পরিধি, প্রয়োজনীয় তথ্য, তথ্য রেকর্ডের কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে কোনো পূর্ব-ধারণা থাকে না। 

অবকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে গবেষক সাধারণত সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেন। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশে উপাত্ত সংগ্রহ করার কারণে ঘটনার ওপর গবেষকের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে ঘটনার স্বাভাবিকতার মাধ্যমে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এ ধরনের পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি খুব সহজ সরল হয়ে থাকে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণা পরিচালনার জন্য কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এ ধরণের পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ার সাহায্যে সমাজের যেকোনো সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য বের করে আনা যায়। 

বর্তমান আধুনিক সমাজে যেকোনো সামাজিক ইভেন্টের ইতিবৃত্ত অনুসন্ধানে উক্ত পদ্ধতিসমূহ দক্ষতার সাথে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অত্যাবশ্যকীয় পদ্ধতি হিসেবে বিকাশ লাভ করছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কাঠামোগত ও অকাঠামোগত পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে যা জান সংক্ষেপে লেখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ