গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গবেষণা পরিবেশগত দিক থেকে পর্যবেক্ষণ কত প্রকার ও কী কী।

গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ কর
গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ কর

গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ কর

  • অথবা, গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের শ্রেণিবিভাগ কর।
  • অথবা, গবেষণা পরিবেশগত দিক থেকে পর্যবেক্ষণ কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর ভূমিকা : পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম হাতিয়ার। সামাজিক গবেষণায় পর্যবেক্ষে অপরিসীম। স্বাভাবিক অবস্থায় মুক্ত পরিবেশে মানুষের সত্যিকারের আচরণ অধ্যয়নই পর্যবেক্ষণের মূল পর্যবেক্ষণকে সমাজ গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহের একটি মৌলিক ও বস্তুনিষ্ঠ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর কিছু প্রকারভেদ চলে আসে। প্রকারভেদ অনুসারে বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের কাজ কর হয়। এ প্রকরণগুলো পরিবেশের ভিত্তিতে, আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে এবং গবেষকের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে প্রতিটি প্রকরণই আলাদাভাবে অভ্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ: গবেষণা পরিবেশের ওপর গবেষকের নিয়ন্ত্রণের পর্যবেক্ষণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :

১. নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ,

২. অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ।

১. নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ : সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে পরিমাপযোগ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ অন্যতম কার্যকরী কৌশল। এক্ষেত্রে একজন গবেষক তার পূর্ব প্রস্তুতি বা পরিকল্পনা অনুযায়ী তার কর্মতৎপরতা চালিয়ে যান। 

তাই বলা যায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যবেক্ষণীয় ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থার স্বাভাবিক পরিবেশের আচরণে বিঘ্ন ঘটিয়ে কিংবা নতুন কানো চলক যুক্ত করে কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে সেগুলোকে পর্যবেক্ষণে কেবল পরিবেশই নিয়ন্ত্রণ করা হয় কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সদস্যদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। 

তথাপি নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ অনেকাংশে পরীক্ষণ পদ্ধতির পরিগ্রহণ করে। নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ সামাজিক গবেষণার জন্য সংগৃহীত উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে থাকে। 

২. অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ : বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রাথমিক স্তর হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ। এ কৌশলের ক্ষেত্রে কোনো কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি না করে, বরং প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক পরিবেশে গবেষণাধীন বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়। এজন অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণকে প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ বলে ও অভিহিত করা হয়। 

অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির প্রভাবমুক্ত থেকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক পরিবেশে তথ্য সংগ্রহ করা। এ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষক সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারেন, আবার নাও পারেন। 

এ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষকের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ থাকে। ফলে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ই যেমন বাদ পড়তে পারে তেমনি অনেক অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এ কৌশলের সাহায্যে কোনো প্রকার নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব ছাড়াই ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক ও সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ করা যায় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণা যথার্থভাবে পরিচালিত করার জন্য নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ দুটিই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করে। নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে এক ধরনের কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ। 

এটি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান অধ্যয়নের ক্ষেত্রে তথ্যের যথার্থতাও নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ হচ্ছে গবেষকের পক্ষপাত নির্ভর একটি পর্যবেক্ষণ। অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ যদিও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান কাজের প্রাথমিক স্তর বিশেষ যা আজ অবধি ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণের শ্রেণিবিভাগ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ