লোক প্রশাসনের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লোক প্রশাসনের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি সংক্ষেপে লেখ।

লোক প্রশাসনের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর
লোক প্রশাসনের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর

লোক প্রশাসনের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর

  • অথবা, লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি সংক্ষেপে লেখ।
  • অথবা, লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি উল্লেখ কর।

উত্তর ভূমিকা : আধুনিক বিশ্বের সব রাষ্ট্রই কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। আর এ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে সরকার। আধুনিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে নাগরিক ও রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় সরকারকে। 

আর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায় লোকপ্রশাসনের ওপর। সুতরাং লোকপ্রশাসনের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করেই লোকপ্রশাসন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া সম্ভব।

লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি : লোকপ্রশাসনের উৎপত্তির ন্যায় এর প্রকৃতির বিষয়টিও সুস্পষ্টরূপে বলা কঠিন ব্যাপার । বস্তুত লোকপ্রশাসন মানবসমাজের মতোই প্রাচীন। বিভিন্ন মনীষী লোকপ্রশাসনের প্রকৃতিকে দুটি মতবাদে বিভক্ত করেছেন। যথা : 

১. অখণ্ডবাদী বা সুসংহত মতবাদ ও 

২, ব্যবস্থাপনাবাদী মতবাদ।

নিম্নে এ দুটি মতবাদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. অখণ্ডবাদী বা সুসংহত মতবাদ : অখণ্ডবাদী মতবাদের মতে, সব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার কার্য সম্পাদনের জন্য কায়িক ব্যবস্থাপনাগত ও প্রযুক্তিগত কর্মের সমষ্টিই হচ্ছে প্রশাসন। 

প্রতিষ্ঠানসমূহের সর্বোচ্চ পর্যায় হতে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত কার্যত সকল ব্যক্তির কার্যকলাপই এ মতবাদের আওতাভুক্ত। 

এ মতবাদের সমর্থক বা বিশ্বাসীদের মধ্যে L. D. White, উড্রো উইলসন, মার্শাল ডিমক ও জন ফিফার অন্যতম। তাদের মতে লোকপ্রশাসন রাষ্ট্রের জনগণের এবং নাগরিকের কল্যাণের জন্য কাজ করে।

২. ব্যবস্থাপনাবাদী মতবাদ : ব্যবস্থাপনাবাদী মতবাদের অনুসারীদের মতে, এমন কিছু ব্যবস্থাপক মানুষকে বুঝায় যারা পরিকল্পনা, সাংগঠনিক, আদেশমূলক, নিয়ন্ত্রণমূলক প্রভৃতি কাজের সাথে জড়িত। 

ব্যবস্থাপনা, সংগতির রক্ষা, নিয়ন্ত্রণ ও সমুদয় কার্যক্রমের সমন্বয় বিধানের কাজই প্রশাসন। ব্যবস্থাপনাবাদী মতবাদের সমর্থকদের মধ্যে সাইমন (Simon), স্মিথবার্গ (Smithburg, থমসন ( Thomson), লুথার গুলিক (Luther Gullick), মারসন (Merson) অন্যতম। 

লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি নিয়ে যারা আলোচনা করেছেন তাদের মধ্যে জেমস ডব্লিউ ফেসলার (James W. Fesler). অন্যতম। ফেসলার তার বক্তব্যের মাধ্যমে দুটি দিক তুলে ধরছেন। যথা 

১. নীতি বাস্তবায়ন ও 

২. নীতি প্রণয়ন করা। 

এ দুটি বিষয়ের মাধ্যমেই লোকপ্রশাসন সঠিক পথে পরিচালিত হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রতিনিয়ত লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি পরিবর্তন ও বিবর্তিত হচ্ছে। আধুনিক রাষ্ট্রগুলো যতই কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করছে, লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি ও কার্যক্রমও ততই পরিবর্তিত হচ্ছে। 

লোকপ্রশাসনকে রাষ্ট্রের কার্যক্রমের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে নিত্য নতুন বিষয়ের সাথে পরিচিত হতে হচ্ছে। তাই লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ লোকপ্রশাসনের প্রকৃতি উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লোক প্রশাসনের প্রকৃতি ও পরিধি আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ