পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে।

পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে

পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে

উত্তর ভূমিকা : গবেষণায় উপাত্ত সংগ্রহের একটি প্রাচীন কৌশল হচ্ছে পর্যবেক্ষণ। গবেষণায় একটি বিশেষ পদ্ধতি হিসেবে পর্যবেক্ষণের ভূমিকা অধিক। এটি সকল বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিস্বরূপ। 

কেননা বিজ্ঞানের সূত্রপাত ঘটে মূলত পর্যবেক্ষণ থেকেই সামাজিক ঘটনার অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের উন্মেষ ও বিকাশ সাধনে এ পদ্ধতি বিশেষভাবে কার্যকর। গবেষণার কাজে একাধিক কৌশলের মধ্যে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। 

পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে যেকোনো ঘটনাকে নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্তভাবে অধ্যয়ন করা হয় । এজন্য পর্যবেক্ষণকে গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহের একটি মৌলিক ও বস্তুনিষ্ঠ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

" পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি : সাধারণভাবে কোনো ঘটনা বা বিষয়কে অবলোকন করাই হচ্ছে পর্যবেক্ষণ। এদিক থেকে চিন্তা করলে সকল মানুষই পর্যবেক্ষক। কেননা, দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি মানুষ কত কিছুই না অবলোকন করছে। 

কিন্তু সাধারণ অবলোকনকে পর্যবেক্ষণ বলা যায় না। বৈজ্ঞানিক অর্থে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তু বা ঘটনাকে সুশৃঙ্খলভাবে অবলোকন করা বা দেখা এবং লিপিবদ্ধ করাই হচ্ছে পর্যবেক্ষণ ।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা :

বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী পি. ভি. ইয়ং (P. V. Young) এর মতে, "Observation may be defined as systematic viewing, coupled with consideration of the seen phenomena." অর্থাৎ দৃশ্যমান প্রপঞ্চকে সুশৃঙ্খলভাবে দেখাকেই পর্যবেক্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।

কেনেথ ডি কেইলি বলেছেন, "The observational method is the primary technique for collecting data on non-verbal behaviour." অর্থাৎ, অমৌখিক আচরণের প্রাথমিক উপাত্ত সংগ্রহের কৌশলকে পর্যবেক্ষণ বলা হয় ৷

মোজার এবং কালটন (Moser and Kalton) পর্যবেক্ষণের সংজ্ঞা দিতে যেয়ে 'The Concise oxford Dictionary' এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, “পারস্পরিক সম্পর্ক ও কার্যকরণ সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রকৃতিতে সংঘটিত ঘটনাবলি সঠিকভাবে দর্শন এবং লিপিবদ্ধ করাই হচ্ছে পর্যবেক্ষণ ।”

বানার্ড এস. ফিলিপ্‌স (Barned S. Phiplips) উল্লেখ করেন, “তথ্য সংগ্রহের জন্য পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি হলো এমন একটি কৌশল যাতে অনুসন্ধানকারী সরাসরি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা না করে তথ্য সংগ্রহ করেন।”

কার্ল উইকস (Karl Wicks) এর মতে, “সাধারণ পরিবেশে সংঘটিত জীবন সংশ্লিষ্ট আচরণ ও অবস্থানসমূহ নির্ধারণ জাগ্রতকরণ, ধারণ এবং সাংকেতীকরণের পদ্ধতি হচ্ছে পর্যবেক্ষণ, যা বাস্তব লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।”

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি হচ্ছে সামাজিক গবেষকদের জন্য একটি মৌলিক হাতিয়ার। বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম হাতিয়ার হলো পর্যবেক্ষণ। 

পর্যবেক্ষণ হলো সামাজিক গবেষণায় পরিবেশকে প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত না করে অবিকল ও অবিকৃত উপায়ে উপাত্ত সংগ্রহের কৌশল। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করা যায়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কাকে বলে। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ