প্রকৃতিভেদে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রকৃতিভেদে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গবেষণা কতপ্রকার ও কী কী।

প্রকৃতিভেদে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী
প্রকৃতিভেদে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী

প্রকৃতিভেদে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী

  • অথবা, গবেষণাকে প্রকৃতি ভেদে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
  • অথবা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গবেষণা কতপ্রকার ও কী কী?

উত্তর ভূমিকা : বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে এক অনাবিল শান্তির সন্ধান। আর শান্তিকামী মানুষ সমাজের কল্যাণ সাধনের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফল হচ্ছে গবেষণা। 

আধুনিক সভ্য সমাজ গবেষণার পথ নির্দেশ ব্যতীত এক পাও অগ্রসর হতে পারে না। সম্পূর্ণ অজানাকে জানা নয় বরং যে বিষয়ে অল্প বা অস্পষ্ট ধারণা আছে প্রয়োজনের খাতিরে তাকে গভীরভাবে জানা ও স্পষ্টতর করার মাধ্যমে সন্তুষ্টি অর্জন করাই গবেষণা ।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গবেষণার প্রকারভেদ : লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গবেষণাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: 

১. বর্ণনামূলক গবেষণা, 

২. ব্যাখ্যামূলক গবেষণা ও 

৩. গঠনমূলক গবেষণা। 

নিম্নে উক্ত গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. বর্ণনামূলক গবেষণা : যেকোনো বিজ্ঞানভিত্তিক সামাজিক গবেষণার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিষয়বস্তুর বর্ণনা ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ । কেননা, বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ব্যতীত গবেষণার পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়া যায় না। 

তাছাড়া সামাজিক গবেষণার ব্যাপক অংশই হলো বর্ণনামূলক। সেসব গবেষণায় কোনো ব্যক্তি, গ্রাম, সম্প্রদায়, জনসমষ্টি প্রভৃতির কোনো সমস্যার প্রকৃতি ও কারণ বর্ণনা করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে ধরনের গবেষণাকে বর্ণনামূলক গবেষণা বলা হয় ।

২. ব্যাখ্যামূলক গবেষণা : সামাজিক বিজ্ঞানে ব্যাখ্যামূলক গবেষণা অতি-গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ব্যাখ্যামূলক গবেষণার একাধিক চলকের মধ্যে কার্যকরণ সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে থাকে। অর্থাৎ ব্যাখ্যামূলক গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য হলো বিরাজমান চলকের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা। 

কোনো সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এবং বিশেষ বর্ণনা প্রাপ্তির পরেই এ অবস্থায় ‘কেন' সম্পর্কিত প্রশ্নটি উঠে আসে। এই কোনো কিছুর ‘কেন’ জানার বা ব্যাখ্যার আকাঙ্ক্ষাই হলো ব্যাখ্যামূলক গবেষণার উদ্দেশ্য।

৩. উদঘাটনমূলক গবেষণা : কোনো গবেষণার বিষয় নির্ধারণ বা উদঘাটন বা গবেষণার অনুমান গঠনে সহায়তা করার জন্য যেসব অনুসন্ধান পরিচালিত হয় তাকে উদঘাটনমূলক গবেষণা বলা হয়। 

গবেষক যে সমস্যা বা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী উদঘাটনমূলক গবেষণা উক্ত বিষয় বা সমস্যা সম্পর্কে পরিচিতি লাভে গবেষককে সাহায্য করে। 

গবেষণার সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নির্ধারণে, প্রত্যয়সমূহকে সুষ্পষ্টকরণে এবং পরবর্তী গবেষণার মধ্যে অগ্রাধিকার নিরূপণে উদঘাটনমূলক গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজ গবেষণার এ সকল প্রকারভেদ সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তার কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্যই মূলত গবেষণা পরিচালিত হয়। মূলত এসকল গবেষণা সমাজের সমস্যা শনাক্তকরণ ও অনুসন্ধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণাকে প্রকৃতি ভেদে কয়ভাগে ভাগ করা যায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রকৃতিভেদে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ