উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি - Rk Raihan

উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি।

উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি
উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি

উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি

উত্তর ভূমিকা : যেকোনো প্রকার গবেষণা পরিচালনার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে তথ্য বা উপাত্ত। তত্ত্ব শব্দটি বিজ্ঞানভিত্তিক সামাজিক গবেষণায় একটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হলেও মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে রয়েছে এর বহুল ব্যবহার। 

যেকোনো ধরনের সামাজিক গবেষণা পরিচালনার অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে তত্ত্ব। তত্ত্বের রয়েছে কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যা বিষয়টিকে ভিন্নতা প্রদান করেছে।

তথ্য বা উপাত্তের শ্রেণিবিভাগ : বিভিন্ন আঙ্গিকে বা দৃষ্টিকোণ থেকে তথ্যকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। তবে গবেষণার জন্য তথ্যকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ক. প্রাথমিক তথ্য, খ. মাধ্যমিক তথ্য।

ক. প্রাথমিক তথ্য : গবেষক যখন নিজে বা তার তথ্য সংগ্রাহক সমগ্রক বা নমুনা একক থেকে গবেষণার লক্ষ্যকে সামনে রেখে তথ্যসংগ্রহ করেন সেই তথ্যকে প্রাথমিক তথ্য বলে। যে তথ্য সর্বপ্রথম মূল অনুসন্ধান ক্ষেত্র হতে ব্যাপক অনুসন্ধানের মাধ্যমে সরাসরি কোনো সংস্থা কর্তৃক সংগৃহীত হয় তাকে প্রাথমিক তথ্য বলা হয় । 

প্রাথমিক তথ্য হলো পরিসংখ্যানের প্রাথমিক রূপ । একে পরিসংখ্যানমূলক কাজের জন্মগত ফল বলা হয়ে থাকে এবং এর ওপরই প্রথম পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তাই আমরা এ কথাও বলতে পারি যে, তথ্যের ওপর কোনোরূপ পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়নি তাকেই প্রাথমিক তথ্যমালা বলা হয় । 

প্রাথমিক তথ্যসমূহ মূল উৎসের মধ্যে সম্পৃক্ত হয়ে অবস্থান করে বলে তাকে সংগ্রহ করলেও পরিশোধিত অবস্থায় পাওয়া সম্ভব নয় । এটি অবিন্যস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যে কারণে একে কাচা তথ্যও বলা হয়ে থাকে ।

খ. মাধ্যমিক তথ্য : কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গবেষণার প্রয়োজনে অনুসন্ধান ক্ষেত্র হতে প্রত্যক্ষভাবে প্রাথমিক তথ্যসংগ্রহ করে। অতঃপর ঐ প্রতিষ্ঠান তার ওপর পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করে তাকে কতকগুলো তালিকার মাধ্যমে কোনো প্রকাশনা হতে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে । 

আবার কখনও তাকে পূর্বাবস্থায় রেখে দেয়। পরিসংখ্যান উপাত্তের এ বিশেষ অবস্থায় তা অন্য কোনো ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরোক্ষভাবে সংগৃহীত হলে তাকে মাধ্যমিক উপাত্ত বলা হয়। 

ছোটখাটো প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের নিজ প্রয়োজনে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের তাগিদে প্রাথমিক তথ্যসংগ্রহকারী বড় প্রতিষ্ঠান হতে তথ্যসংগ্রহ করে থাকে। 

তাই বলা যায় যে, একই তথ্য কোনো সংস্থার নিকট প্রাথমিক তথ্য, আর কোনো প্রতিষ্ঠানের নিকট মাধ্যমিক তথ্য। উল্লেখ্য, মাধ্যমিক তথ্যের ওপরও যথাযথ পরিসংখ্যান পদ্ধতি আরোপ করা হয় । 

অন্যভাবে বললে, যখন এক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অপর প্রতিষ্ঠান তার কাজে ব্যবহার করে তখন তাকে মাধ্যমিক তথ্য বলে । একই তথ্য এক প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রাথমিক তথ্য, অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য তা মাধ্যমিক তথ্য হিসেবে গৃহীত হয় । 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, যেকোনো ধরনের সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে তত্ত্বের রয়েছে অনন্য সাধারণ ভূমিকা, তবে একজন গবেষককে গবেষণা পরিচালনার পূর্বে গবেষণা তত্ত্ব সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে হবে। 

কারণ তত্ত্ব ব্যবহারের ক্ষেত্রে পদ্ধতি ও আঙ্গিকগত ব্যাপক বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। তাই তথ্যের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা আবশ্যক ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উপাত্ত কত প্রকার ও কি কি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Example.com - Your ACME Website Winner