উপাত্তের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উপাত্তের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উপাত্তের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উপাত্তের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর
উপাত্তের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

উপাত্তের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

  • অথবা, উপাত্তের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর । 
  • অথবা,  উপাত্তের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তর ভূমিকা : উপাত্ত হলো সামাজিক গবেষণার মূল ভিত্তি। যা গবেষণাকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত করে। এটি কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান। উপাত্ত হচ্ছে প্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধকরণের প্রক্রিয়া। 

উপাত্ত এক প্রকার তথ্য। তবে সব তথ্যই উপাত্ত নয় । মূলত গবেষণার মাধ্যমে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয় তা স্বীকৃতি পেলেই কেবল উপাত্ত হিসেবে বিবেচিত হয় । গবেষণা পরিচালনার মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে উপাত্ত। 

গবেষণা কার্যের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ভর করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সঠিক উপাত্ত সংগ্রহের ওপর । তাই গবেষণা পরিচালনার কাজে উপাত্তের ভূমিকা অপরিসীম।

উপাত্তের বৈশিষ্ট্য : সামাজিক গবেষণায় বিশেষ উপজীব্য বিষয় হচ্ছে উপাত্ত। অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ প্রতিটি এককের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত জ্ঞাত, স্বীকৃত এবং পরিমাপযোগ্য তথ্য হচ্ছে উপাত্ত। উপাত্ত সম্পর্কিত তাত্ত্বিক ধারণা ও সংজ্ঞাসমূহ বিশ্লেষণ করলে উপাত্তের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :

১. সংখ্যায় প্রকাশ : উপাত্ত অবশ্যই সংখ্যায় প্রকাশিত হতে হবে। এটি উপাত্ত প্রকাশের এক অনবদ্য মাধ্যম। উপাত্ত সংখ্যায় প্রকাশ করলে গবেষণায় এর ব্যবহার সহজতর হয়।

২. পরস্পর সম্পর্কযুক্ত : উপাত্তের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ততা। গবেষণার কাজে সংগৃহীত উপাত্তসমূহ একটি অন্যটির ওপর অনেকাংশেই সম্পর্কযুক্ত হয়ে থাকে ।

৩. বিশেষ উদ্দেশ্য : উপাত্ত সাধারণত বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে সংগৃহীত হয়ে থাকে । উদ্দেশ্য নির্ভর উপাত্ত বেশ অর্থবহুল হয় । ৪. নির্ভুল : উপাত্ত হবে নির্ভুল প্রকৃতির । কারণ উপাত্ত সংগ্রহ যত নির্ভুল হবে, প্রাপ্ত ফলাফল তত বেশি নির্ভুল হবে। কারণ উপাত্তের ওপরই ফলাফল নির্ভর করে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পর্যবেক্ষক তার উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ঘটমান বিশ্ব থেকে যা কিছু সংগ্রহ করে অনুমান বা অনুকল্পের সত্য-মিথ্যা বিশ্লেষণ করে তাই উপাত্ত। 

উপাত্ত সংগ্রহ যত নির্ভুল হবে, প্রাপ্ত ফলাফল তত বেশি নির্ভুল হবে এবং ফলাফলের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত সঠিক ও গ্রহণযোগ্য হবে। অর্থাৎ বিশ্ব সম্পর্কে পর্যবেক্ষণই হলো উপাত্ত ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উপাত্তের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উপাত্তের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ