bangla data

উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর।

উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর
উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর

উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর

উত্তর ভূমিকা : উপাত্ত এক ধরনের তথ্য। তবে সকল ধরনের তথ্য উপাত্ত নয়। গবেষণার মাধ্যমে যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয় তা স্বীকৃতি পেলেই উপাত্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। পরিমাপ বা গণনার সাহায্যে নির্ণেয় ও রাশিমালায় প্রকাশিত 

কোনো বিষয়ের ওপর সংগৃহীত সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্যকে উপাত্ত বলে। পরিসংখ্যান পদ্ধতিসমূহ প্রয়োগের ক্ষেত্র হচ্ছে উপাত্ত। পরিসংখিক গবেষণার কাঁচামালই তথ্যমালা/উপাত্ত । তাই সুনির্দিষ্ট উপায়ে উপাত্ত সংগ্রহ করা বাঞ্ছনীয় ।

উপাত্তের উৎস : সমাজে গবেষণায় উপাত্তের উৎস প্রধানত দুটি । যথা : 

১. প্রাথমিক উৎস ও 

২. মাধ্যমিক উৎস। 

বিশিষ্ট সমাজ গবেষক Wilkinson and Bhandarkar তাদের Methodology and Techniques of Social Research গ্রন্থে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উৎসকে যথাক্রমে 'People' এবং 'Paper' নামে অভিহিত করেছেন। নিম্নে উপাত্তের উৎসসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. প্রাথমিক উৎস : গবেষণার জন্য উপাত্ত প্রাপ্তির মৌলিক ক্ষেত্র অর্থাৎ গবেষণাগার, নির্বাচিত নমুনা এলাকা, মাঠ পর্যায় প্রভৃতিকে উপাত্তের প্রাথমিক উৎস বলা হয়। প্রাথমিক উৎসকে মৌলিক এবং প্রত্যক্ষ উৎস নামেও অভিহিত করা হয়। 

গবেষক নিজে কিংবা উপাত্ত সংগ্রহকারী প্রাথমিক উৎস থেকে সরাসরি উপাত্ত সংগ্রহ করে থাকেন। সামাজিক গবেষণায় গবেষণাগার ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে, বরং ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, নির্বাচিত এলাকা, মাঠ পর্যায়ে প্রভৃতি প্রাথমিক উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় । 

প্রাথমিক বা মূল থেকে সংগৃহীত উপাত্তকে প্রাথমিক উপাত্ত বলে ।২. মাধ্যমিক উৎস : যেসব উৎসে পূর্ব থেকেই উপাত্ত সংগৃহীত থাকে এবং গবেষক কেবল গবেষণার প্রয়োজনে সেখান থেকে প্রয়োজনমাফিক উপাত্ত পরোক্ষভাবে চয়ন করেন, সেসব উৎসকে মাধ্যমিক উৎস বলে। 

মাধ্যমিক উৎসকে গৌণ উৎসও বলা হয়। মাধ্যমিক উৎসগুলো হচ্ছে বই-পুস্তক, প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত গবেষণার প্রতিবেদন, পরিসংখ্যান, দলিলাদি, সংবাদপত্র ইত্যাদি । মাধ্যমিক উৎস থেকে সংগৃহীত উপাত্তকে মাধ্যমিক উপাত্ত বলা হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণার কাজে উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্র হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উৎস দুটি গুরুত্বপূর্ণ। দুটিই উপাত্ত সংগ্রহের উৎপত্তিস্থল । তবে প্রাথমিক উৎস থেকে অনুসন্ধানকালীন সময় প্রকাশিত উপাত্ত সংগ্রহ করা যায়। 

আর মাধ্যমিক উৎস থেকে প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত যেকোনো উপাত্ত সংগ্রহ করা যায়। মাধ্যমিক উপাত্ত যেমন একটি সময় সাপেক্ষ প্রচেষ্টা তেমনি ব্যয় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক উপাত্ত কষ্ট সাপেক্ষ বা ব্যয় সাপেক্ষ নয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উপাত্তের উৎস বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ