উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত শ্রেণিবিভাগ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত শ্রেণিবিভাগ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উৎসের ভিত্তিতে উপাত্তের প্রকারভেদ বর্ণনা কর।

উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত শ্রেণিবিভাগ কর
উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত শ্রেণিবিভাগ কর

উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত শ্রেণিবিভাগ কর

  • অথবা, উৎসের ভিত্তিতে উপাত্তের প্রকারভেদ বর্ণনা কর।
  • অথবা, উৎসগত দিক থেকে উপাত্তকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ।

উত্তর ভূমিকা : কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে সংগৃহীত সংখ্যায় প্রকাশিত রাশিমালাকে পরিসংখ্যক উপাত্ত বলা হয়। গবেষণা পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট উপাত্ত সংগ্রহ করা প্রয়োজন। 

এক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। উপাত্ত সংগ্রহের বেশ কিছু উৎস রয়েছে। প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য ভেদে উপাত্ত সংগ্রহের উৎস রয়েছে। 

আবার অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এবং উৎস ওপর ভিত্তি করে উপাত্ত সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি উৎসই উপাত্ত সংগ্রহের বিশেষ মাধ্যম। এগুলো থেকে উদ্দেশ্য নির্ভর ও সহজলভ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা যায় ।

উৎসের ভিত্তিতে উপাত্তের শ্রেণিবিভাগ : পরিসংখ্যানিক অনুসন্ধান কার্যসম্পাদন করার জন্য তথ্য সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান ক্ষেত্র ও উৎসের ওপর ভিত্তি করে তথ্যকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা: 

১. প্রাথমিক তথ্য/উপাত্ত এবং 

২. মাধ্যমিক তথ্য/উপাত্ত।

১. প্রাথমিক উপাত্ত : যে তথ্য প্রাথমিকভাবে এবং সর্বপ্রথম মূল অনুসন্ধান ক্ষেত্র থেকে ব্যাপক অনুসন্ধানের মাধ্যমে সরাসরি কোনো সংস্থা কর্তৃক সংগৃহীত হয় তাকে প্রাথমিক উপাত্ত বলা হয়। 

প্রাথমিক উপাত্ত হলো পরিসংখ্যানের প্রাথমিক স্তর। একে পরিসংখ্যানমূলক কাজের জন্মগত ফল বলা যেতে পারে এবং এর ওপরই প্রথম পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। 

তাই আমরা এ কথাও বলতে পারি যে, যে তথ্যের ওপর কোনোরূপ পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তাই যে তথ্যের ওপর কোনোরূপ পরিসংখ্যান পদ্ধদি প্রয়োগ করা হয়নি তাকেই প্রাথমিক উপাত্ত বলা হয়।

২. মাধ্যমিক উপাত্ত : কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ প্রয়োজনে অনুসন্ধান ক্ষেত্র থেকে প্রত্যেক্ষভাবে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে। অতঃপর ঐ প্রতিষ্ঠান তার ওপর পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করে তাকে কতকগুলো তালিকার মাধ্যমে কোনো প্রকাশনা বা পুস্তিকাকারে প্রকাশ করে। 

আবার কখনও তাকে পূর্বাবস্থায় রেখে যায়। পরিসংখ্যান উপাত্তের এ বিশেষ অবস্থায় তা অন্য কোনো ছোটোখাটো প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরোক্ষভাবে সংগৃহীত হলে তাকে মাধ্যমিক উপাত্তও বলে। 

ছোটোখাটো প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের নিজ প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের তাগিদে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহকারী বড় প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। 

সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, একই তথ্য কোনো সংস্থার নিকট প্রাথমিক উপাত্ত আর কোনো প্রতিষ্ঠানের নিকট মাধ্যমিক উপাত্ত। উল্লেখ্য, মাধ্যমিক উপাত্তের ওপর যথাযথ পরিসংখ্যান পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণার কাজে উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপাত্তের ভূমিকা অপরিসীম। দুটি উপাত্ত সংগ্রহের উৎপত্তিস্থল প্রাথমিক উপাত্ত গবেষণার প্রাথমিক স্তর থেকে গ্রহণ করা যায়। 

একে পরিসংখ্যানগত ফলাফলের প্রথম স্তর বলা যায়। আর মাধ্যমিক উপাত্ত গবেষণাকালীন কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত উপাত্ত। এর মাধ্যমে পরিসংখ্যানিক গবেষণার কাজ খুব দ্রুত করা যায়। তথাপি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উপান্ত উভয়ই সামাজিক গবেষণায় সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উৎসের ভিত্তিতে উপাত্ত শ্রেণিবিভাগ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উৎসগত দিক থেকে উপাত্তকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ